পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88b স্বরূপ লাভ করে। মৃত্যুকালে সেই বাট আবার বুদ্ধ মহেশ-বাবুর বংশধরদিগকে প্রত্যপণ করিয়াছিল । প্রায় অৰ্দ্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বে এখানে বসন্ত রোগ সংক্রামক হইয়া মহেশ-বাবুর পরিবারবর্গকে আক্রমণ করায় তাহার স্ত্রী, এক ভাইঝি ও দুইটি ভাইপে একদিনেই মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাহাতে মহেশ-বাবু পাগলের মত হইয়া পুলিশের কৰ্ম্ম,ত্যাগ করেন এবং কিছুদিন একৃস্ট্র এসিষ্টাণ্ট কমিশনরের বেঞ্চ, ক্লার্কের কৰ্ম্ম করিয়া চাকরি ছাড়িয়া দেন । কিন্তু তিনি নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়া থাকিবীর পাত্র ছিলেন না। অচিরেই চিনি ও লবণের কারবার আরম্ভ করেন। এই ব্যবসায়ে প্রভূত ধন উপার্জন করেন। এই মহকুমার অন্তর্গত করে নামক একটি গ্রাম আছে। প্রায় তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে বঙ্গের কৃষ্ণনগর হুগলী প্রভৃতি স্থান হইতে বাঙ্গালীর আসিয়া এখানে উপনিবেশ স্থাপন করেন। এক্ষণে করোর আদি বাঙ্গালীর বাঙ্গালীত্ব হারাইয়াছেন ও স্থানীয় লোকদের সহিত চাষ-বাস করিয়া দিন যাপন করিতেছেন । করোর আদি আচার্য্য মহাশয় রামেশ্বর তর্কালঙ্কার তিন শতাব্দীর পূৰ্ব্বে আগত উপনিবেশিকদিগের সমসাময়িক । মহেশ-বাবু এই করে গ্রামে দ্বিতীয়বার বিবাহ করিয়াছিলেন। বৃদ্ধা আজিও জীবিত আছেন। মহেশ-বাবুর ভ্রাতুষ্পুত্রত্ৰয়ের মধ্যে বর্তমান বাবু দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় স্থানীয় মোক্তার। প্রায় ৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে দেওঘর এবং কুণ্ডার মধ্যবৰ্ত্তী প্রায় ৩০০ একর অর্থাৎ প্রায় সহস্ৰ বিঘা পরিমাণ নিম্ন জলাভূমি স্থানে স্থানে জঙ্গলে পরিবৃত ছিল। ঐ ভূখণ্ড মহেশ-বুৰুি মহন্ত মেঘনাথ পুরীর নিকট হইতে মক্ররী বন্দোবস্ত করিয়া লয়েন এবং সমস্ত জঙ্গল কাটাইয় তাহাতে করহনী ধান্তের আবাদ করেন। এই হেতু ঐ স্থানের নাম “করণীবাদ" হইয়াছে। এই করণীবাদ ভুলক্রমে অনেকে করণীবাগ কহিয়া থাকেন। এখানে বহু বাঙ্গালী ও মাড়বারীর বাস হইয়াছে। এদেশে মহেশ-বাবুর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি স্ব প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । বৈদ্যনাথের মন্দিরে দৈনিক বন্ধনী অর্থাৎ সরকারী পূজার পূৰ্ব্বে পাণ্ডা ছাড়া অন্ত কোন লোক ঠাকুর স্পর্শ করিতে পারে না। কিন্তু ইহার পরিবারবর্গের সে অধিকার আছে, প্রধান পুরোহিত স্বৰ্গীয় পণ্ডিত প্রবাসী-মাঘ, УӘа• [ २७* छाँग्रं, २ग्न थ९ AAAAAASA SAASAASAASAASAA AA ASASASA AAA AAAA AAAA AAAA YAMASAeSAeS ঈশ্বরীনন্দ ওঝা ইহার বংশধরগণকে এ অধিকার দিয়া গিয়াছেন । মহেশ-বাবু বন্দুকচালনায় স্বদক্ষ ছিলেন, অতি উৎকৃষ্ট অশ্বারোহী ছিলেন। একদিন ৬০ মাইল পথ অশ্বারোহণে গিয়া তৎক্ষণাৎ প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন এবং আর একদিন বীরভূম হইতে অশ্বারোহণে দেওঘর গিয়াছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্য্যন্ত তিনি অশ্বারোহণ করিয়াছিলেন। ১৯০০ খৃষ্টাব্দে ৮৫ বৎসর বয়সে হঠাৎ হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হইয়া মহেশ-বাৰু মৃত্যুমুখে পতিত হন । র্তাহার সমসাময়িক ঘটওয়াল বৈদ্যবংশীয় তিনকড়ি রায় সাওতাল-বিদ্রোহের পূৰ্ব্বে শিমরাতে আসিয়া বাস করেন । তাহীদের পর রামলাল কবিরাজ মহাশয় বাকুড়া তিলোড়ী হইতে আসিয়া এখানে বাস করেন। বোঝাগড়ীতে আজিও তাহার বাড়ী আছে। তিনি স্বনামপ্রসিদ্ধ গঙ্গাধর কবিরাজের সহপাঠী ছিলেন। তাহাদের প্রায় সমসাময়িক বাবু প্রসন্নকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ২৪-পরগণা হালিসহর হইতে আসিয়া আদালতের মুহুরী হন। রোহনী গ্রামে ও তাহার নিকট কয়েকঘর বাঙ্গালী বহুদিন হইতে বাস করিতেছেন। রিখিয়ায় একটি বাঙ্গালী উপনিবেশ গঠিত হইয়াছে। রোহনী ষ্টেটের জনৈক বাঙ্গালী ম্যানেজার বহুদিন হইতে এখানে আছেন । তিনি দেওঘরের সর্দার পাণ্ডার নিকট হইতে “শিকূদার” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। ডাক্তার কেদারনাথ সেন, বাবু শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙ্গালী পুরানদাহায় আছেন। এখানে স্বনামধন্ত স্বৰ্গীয় শিশিরকুমার ঘোষ মহাশয়দিগের একখানি ভদ্রাসন আছে । বাঙ্গালী তান্ত্রিক ব্রহ্মচারী ব্ৰহ্মানন্দজী ২৫৩ বৎসর পূৰ্ব্বে স্থানীয় চোল পাহাড়ে বাস করিতেন। রাণাঘাটের অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট রামচরণ চৌধুরী মহাশয় তাহার গুরু প্রসিদ্ধ বালানন্দ ব্ৰহ্মচারী মহাশয়ের জন্য “তপোবন” পাহাড়ে আশ্রম করিয়া দিয়াছেন, ইহা তীর্থস্থানের স্কায় অসংখ্য যাত্রীর দর্শনীয় হইয়া আছে। চৌধুরীমহাশয় করণীবাদে র্তাহার স্বকীয় জমীতে আর-একটি আশ্রম ও শিবমন্দির করিয়া দিয়াছেন । স্ত্র জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস