পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(t a SeSeM AJeS AASAASAASAASAASAASAASAA রচনা করিয়া থাকেন। বঙ্কিমচন্দ্র একমাত্র “মৃণালিনী”তে ভারতবর্যের প্রাচীন ঐতিহাসিক যুগের কথা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। মৃণালিণী যখন রচিত হইয়াছিল তখন মগধে হিন্দু বা বৌদ্ধ কে রাজা ছিল বঙ্কিমচন্দ্র তাহ। জানিতেন না ; সে যুগের প্রধান ঐতিহাসিক রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয়ও তাহ জানিতেন কি না সন্দেহ ; তখন মগধের সঙ্গে গৌড়েব কি সম্বন্ধ ছিল তাহাও কেহ জানিত না ; সেইজন্যই বঙ্কিমচন্দ্র মগধরাজপুত্রের নাম হেমচন্দ্র করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। তখন যতটুকু ঐতিহাসিক প্রমাণ আবিষ্কৃত হইয়াছিল, বঙ্কিমচন্দ্র তাহা গ্রহণ করিয়াছিলেন । ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে কানিংহাম গয়ার বিষ্ণুপাদ-মন্দিরের চত্বরে গোবিন্দপাল দেবের নামযুক্ত শিলালিপি আবিষ্কার করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু ঐতিহাসিক ক্রমপর্য্যায়ে গোবিন্দপালের স্থান তখনও নির্দিষ্ট হয় নাই । বিংশতি শতাব্দীর প্রথম পাদে নেপালরাজ্যের গ্রন্থাগারে ও কেস্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত গোবিন্দপাল দেবের নামযুক্ত হস্তলিখিত গ্রন্থের পুপিকাসমূহ আবিষ্কৃত হইলে গোবিন্দপালের কাল ও স্থান নিদিষ্ট হইয়াছিল। একটি নামের অভাবে “মৃণালিনীর” অঙ্গহানি হয় নাই। ধৰ্ম্মাধিকার পশুপতি, চেীরোদ্ধরণিক শান্তশীল প্রভৃতি নাম, দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম পরিচ্ছেদে রাজকৰ্ম্মচারীদিগের নাম, বিজ্ঞানসম্মত প্রণালীতে লিখিত ইতিহাস হইতে গৃহীত হইয়াছিল ; স্বতরাং ঐতিহাসিকের নিকট "মৃণালিনী” সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর। ভারতবর্মের মধ্যযুগের ইতিহাস অবলম্বন করিয়া যে কয়খনি উপন্যাস রচিত হইয়াছে তাহীদের মধ্যে ইতিহাসের মর্য্যাদা রক্ষিত হয় নাই । ইহার প্রধান কারণ গ্রন্থকারদিগের আলস্য । প্রাচীন ঐতিহাসিক যুগের কথা সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ আছে, শিলালিপি বা তাম্রশাসনও সংস্কৃত ভাষায় লিখিত, স্বতরাং তাহ পড়িতে বা বুঝিতে বাঙ্গালী হিন্দুর পক্ষে বিশেষ অস্ববিধা হয় না। প্রাচীন ঐতিহাসিক যুগ সম্বন্ধে বাঙ্গালায় ও ইংরেজী ভাষায় বহু আলোচনা হইয়া গিয়াছে, সুতরাং এই যুগে উপাদানের অভাব নাই, নাম তারিখ ঘটনাবলী সমস্ত সহজে পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩ ASAAAS A SAS SSAS A SAS SSAS SSAS MM MAS SSAS SSAS MAAAS AAAAAASA SAAAeS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২৩শ ভাগ, २३ ६७ - പണ്. --് -്. -്. --ു. -്. -് സ്. സ്. -- মধ্যযুগের ইতিহাস, প্রাচীন ইতিহাস হইতে একেবারে স্বতন্ত্র। এই যুগে মুসলমান-রচিত ইতিহাসবিলম্বন ব্যতীত উপায়াস্তর নাই, তাহার উপর এই যুগের মুসলমান ঐতিহাসিক একদেশদর্শী, স্বতরাং তাহার প্রমাণ বিজ্ঞানসম্মত প্রণালীতে লিখিত ইতিহাসে গ্রহণ করিতে হইলে বিশ্বাসযোগ্য অপর প্রমাণ দিয়া সমর্থন করাইয়া লইতে হয়। দ্বিতীয় প্রকারের প্রমাণ ভারতবর্ষের সর্বত্র স্থলভ নহে। সৰ্ব্বাপেক্ষ। কঠিন কথা—মুসলমান-লিখিত ইতিহাস অধ্যয়ন, কারণ তাহা তুর্কী আরব্য অথবা পারস্য ভাষায় লিখিত । এই-সকল কারণেই এক রাজপুতনা ব্যতীত ভারতবর্ষের অপর অপর প্রদেশের মধ্যযুগের ইতিহাস উপন্যাস-লেখকের নিকট সহজে বোধগম্য নহে । ভারতের আধুনিক যুগের ইতিহাস মোগল ঐতিহাসিকের কুপায় ও ইংরেজ অমুবাদকের দয়ায় সৰ্ব্বত্রে সুপরিচিত। সীতারাম ও রাজসিংহ সম্বন্ধে কাহারো কোন আপত্তি নাই, যদিও অধ্যাপক যদুনাথ সরকারের ন্যায় মনস্বী লেখক রাজপুতনার গিরিরন্ধ পথে সপরিবার বাদশাহ আওরঙ্গজেবকে বন্ধন ঐতিহাসিক ঘটনা বলিয়া স্বীকার করেন না, তথাপি রাজসিংহ আধুনিক উপন্যাসের ন্যায় অস্বাভাবিকতা-দোষে দুষ্ট হয় নাই। “দেবীচৌধুরাণী” “আনন্দমঠ” ও “চন্দ্রশেখর” আধুনিক ঐতিহাসিক যুগের বহিভূত, কারণ ইংরেজ বণিকের অধিকার-যুগের ইতিহাস রচিত হইবার প্রকৃত সময় এখনও উপস্থিত হয় নাই। সুতরাং "দেবীচৌধুরাণী” বা "চন্দ্রশেখরকে” ” ঐতিহাসিক উপন্যাস-শ্রেণীভুক্ত করিতে পারা যায় না। “আনন্দমঠ” উপন্যাস কি রূপক তাহার বিচার এখনো হয় নাই । উনবিংশ শতাব্দীর শেষ বৎসর পর্য্যন্ত যে-সমস্ত ঐতিহাসিক উপন্যাস বাঙ্গালা ভাষায় রচিত হইয়াছে, তাহাতে ইতিহাসের মর্য্যাদা অক্ষুণ্ণ আছে বলিয়াই বোধ হয়। সুপরিচিত গ্রন্থকর্তাদের লিখিত উপন্যাসে বিসদৃশ নাম বা ঘটনা দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু বিংশতি শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে যে-সমস্ত উপন্যাস রচিত হুইয়াছে, তাহাতে সকল সময়ে ইতিহাসের মর্য্যাদা