পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] خاصی عصبیسیم. অক্ষুণ্ণ অাছে বলিয়; বোধ হয় না। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পরে ঐতিহাসিক উপন্যাস বাঙ্গালা দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে নাই । আধুনিক কথা-সাহিত্যের যুগে ঐতিহাসিকের আখ্যানের আদর নাই, এমন কি বঙ্কিমচন্দ্রের ঐতিহাসিক রচনাও কিয়ৎপরিমাণে শ্রদ্ধা হারাইয়াছে । সেইজন্য কিন্তু বাঙ্গালা সাহিত্যে ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা স্থগিত ছিল না এবং এখনও নাই । শ্ৰীযুক্ত শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বর্তমান শতাব্দীতে অনেকগুলি ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা করিয়াছেন। তাহার মধ্যে দুই-একখানির দ্বিতীয় সংস্করণ পর্যন্ত প্রকাশিত হইয়াছে। লব্ধপ্রতিষ্ঠ উপন্যাস-লেখক শ্ৰীযুক্ত হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ও ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় সিদ্ধহস্ত। কিন্তু ইহাদের রচনায় প্রাচীন বা মধ্যযুগের পারিপাশ্বিক ঘটনা বা বর্ণনায় ইতিহাসের মর্য্যাদা অক্ষুঃ নাই। উপন্যাস হিসাবে হরিসাধন-বাবুর “কঙ্কণচোর” অথবা শচীশ-বাবুর “রাজাগণেশের” স্থান বাঙ্গালা সাহিত্যে কোথায় তাহ নির্দেশ করিবার স্পৰ্দ্ধা আমি রাখি না , কেবল যে ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া আমি জীবিকা অর্জন করিয়া থাকি তাহারই খাতিরে কতকগুলি কথা বলিতে বাধ্য হইলাম। “কঙ্কপচোরের” ভূমিকায় শ্রদ্ধাস্পদ হরিসাধনবাবু লিখিয়াছেন, “চিবকাল মোগল-পাঠানের ঘটনাসম্পৰ্কীয় উপন্যাস লিখিয়া আসিয়াছি, কিন্তু প্রাচীন হিন্দু রাজত্বকালের উপন্যাস-রচনায় আমার এই প্রথম উদ্যম ।” গ্রন্থের আরস্তেই দেখা গেল, যে, চিত্রে অশ্বপৃষ্ঠে যে রাজমূর্তি আছে তাহা উনবিংশ শতাব্দীর অথবা বিংশ শতাব্দীর রাজপুত-বেশধারী যুবার মুক্তি। যীশুখৃষ্টের জন্মের তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে রাজা বা প্রজ, ধনী বা দরিদ্র—কেহই এইরূপ পোষাক পরিত না । একথা কেবল আমিই বলিতেছি না, ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সম্বন্ধে যে কেহই এবিযয় লইয়া আলোচনা করিয়াছেন তিনিই একথা বলিতে বাধ্য হইবেন । রাজার পশ্চাতে যে ছুই জন অশ্বারোহী চিত্রে দেপিতে পাওয়া যায়, বাঙ্গালার গবর্ণর সাহেবের শরীররক্ষীদের আদর্শে শিল্পী তাহীদের চিত্রিত করিয়াছেন। বলা বাহুল্য, আফগান কুল্লা ও আফ্রিদী পাগড়ী তখনো ভারতবর্ষে চলে নাই ঐতিহাসিক উপন্যাস AASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASASAM SMSM SMSMSMMSAAAAAAS SSAAAASA SAAAAS AAAAA AAAASAAAA 86 X এবং আকৃবরের রাজ্যকালে রোশেনিয়া জাতির বিদ্রোহের পূৰ্ব্বে চলিয়াছিল কি না সন্দেহ । চৌরদ্ধরণিক যে পোষাক পরিয়া বাহির হইয়াছে তাহ অনেকটা লক্ষেীয়ের নব নাগরের ভাবে এবং সহিসের আকার বিংশতি শতাব্দীর পদস্থ ইংরেজের সহিসের মত। কথাটি বলা নিতান্তই আবশ্বক, তাহা না হইলে একথার উত্থাপন করিতাম না। কারণ অল্পদিন পূৰ্ব্বে কলিকাতার কোন একটি থিয়েটারে স্বগীয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের “চন্দ্রগুপ্ত” নামক নাটকের অভিনয় উপলক্ষে আমার এক আত্মীয় আমাকে বলিয়াছিলেন, যে, হরিসাধন-বাবুর মত লব্ধপ্রতিষ্ঠ প্রথিতযশা গ্রন্থকারের লিখিত গ্রন্থে যখন এই জাতীয় চিত্র বাহির হইয়াছে তখন রাজার এইরূপ পোষাক খৃষ্টপূৰ্ব্ব তৃতীয় শতাব্দীর রাজবেশ বলিয়া ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে । যে পোষাক হরিসাধন-বাবুর গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায়, ভারতবর্ষের লোকে সে পোষাক খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে ব্যবহার করিত না, স্বতরাং খৃষ্টপূৰ্ব্ব তৃতীয় শতাব্দীতে তাহার ব্যবহার অচিন্তনীয়। হরিসাধন-বাবুর গ্রন্থে এমন অনেক জিনিষ আছে যাহা গ্রন্থকার ইচ্ছা করিলে অতি সামান্ত চেষ্টায় সংশোধন করিতে পারিতেন । যেমন মহাপ্রতীহার শব্দের পরিবর্তে কোটোয়াল শব্দের প্রয়োগ, নীলন স্থলে নলামদ এবং খৃষ্টপূৰ্ব্ব তৃতীয় শতাব্দীর লোক চাণক্যকে দিয়া মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রের আলোচনা । হরিসাধন-বাবু যদি কলিকাতা মিউজিয়ম্ বা ইস্পীরিয়াল লাইব্রেরীতে গিয়া স্বয়ং অনুসন্ধান করিয়া দেখিতেন অথবা র্যাহারা প্রাচীন ইতিহাসেব চর্চা করেন র্তাহীদের কাহাকেও জিজ্ঞাসা করিতেন তাহা হইলে তাহার উপন্যাসে এই জাতীয় ভুল বা কালামুচিততা-দোয থাকিত না । চাণক্যকে দিয়া মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র পড়ানো ধীশুখৃষ্টকে বা বুদ্ধকে দিয়া অস্কার ওয়াইল্ড, বা হাইনরিক ইবসেনের গ্রন্থ পড়ানোর মত দেখায়। ঐতিহাসিক উপন্যাসে ইহা অপেক্ষ বিসদৃশ দুখ আর কিছুই হইতে পারে না। ভূতপূৰ্ব্ব এবং অধুনা সিংহাসনচ্যুত সাহিত্যসম্রাট, vবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পত্র শ্রযুক্ত শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত “রাজা গণেশ’ নামক ঐতিহাসিক