পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(t:R প্রবাসী—মাঘ, sరిరి { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SMMSMAMMMMAMMMAMMMMAMMMJJMAMMMMMMeMMMMMMMAMMMAMMMMAMAMMMMeMAMMAMAMMMMAMAMMMAMAMMAMMMAMMMAMAMAMMAAAA উপন্যাসের তৃতীয় সংস্করণ ১৩২৮ বঙ্গাব্দে মুদ্রিত হইয়াছে। এখন বাঙ্গল দেশে অশ্লীলতা-বিবর্জিত গ্রন্থের তৃতীয় ংস্করণ দেখিলেই বুঝা উচিত যে, রচনাহিসাবে গ্রন্থকারের কিছু মূল্য আছে ; তাহ না থাকিলে উপন্যাসের বাঙ্গালী পাঠিক কখনই দুইহাজার বই কিনিয়া পড়িতেন না। “রাজা গণেশ” ঐতিহাসিক উপন্যাস । ঐতিহাসিক উপন্যাসের দুইটি উদ্দেশ্য থাকিতে পারে,—প্রথম উদ্দেশু, উপন্যাসের আকারে ঐতিহাসিক সত্য জনসাধারণের মধ্যে প্রকাশ, এবং দ্বিতীয় উদ্দেশু, ঐতিহাসিক ঘটনার আবরণ দিয়া একটা নূতন গল্প রচনা । প্রথম উদ্দেশ্য রাজা গণেশে সিদ্ধ হয় নাই, কারণ গ্রন্থকার ছাপা ইংরেজী বা বাঙ্গালা ইতিহাসে রাজা গণেশ বা তাহার সমসাময়িক ব্যক্তিগণের সম্বন্ধে যাহা লিখিত হইয়াছে তাহাও পাঠ করেন নাই । দ্বিতীয় উদ্দেশ্যও সফল হয় নাই, কারণ তিনি রাজা গণেশ ও থষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম পাদের ইতিহাসের কোনরূপ আলোচনা করিয়াছেন বলিয়া বোধ zł RI I 3<{>Jfçã3 ('ontributions to the History and Geography of Bengal officia of Hiffit সোসাইটীর পত্রিকায় ইংরেজী ১৮৭০-৭৫ পয্যন্ত প্রকাশিত হইয়াছিল ; ভরজনীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তীর ‘গৌড়ের ইতিহাসের” দ্বিতীয়খণ্ড ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে মুদ্রিত হইয়াছিল তথাপি ১৯২১ খৃষ্টাব্দে পুনমুদ্রিত “রাষ্ট্র। গণেশের” তৃতীয় সংস্করণে “সুলতান সৈয়ফ উদ্দীন আসলতান" নামক ইংরেজী আরবী পারুশ ও বাঙ্গলা ভায। মিশ্ৰিত অসম্ভব নাম দেখিতে পাওয়া যায় । বিন কারণে বাঙ্গাল ভাষার উপরে এতটা অত্যাচার করিবার কি প্রয়োজন আছে ? “আসলতান" কোন রাজার নাম নহে, শচীশ-বাবু বোধ হয় কোন ইংরেজী গ্রন্থে “অস্-স্বলতান” নামক আরবী কথাটি পাঠ কবিয়া নিজের ইচ্ছামত তাহাকে বাদশাহের নামের একটা অংশ করিয়া লইয়াছেন । ইহার কৈফিয়ৎ তাহার দেওয়া উচিত। সিকন্দর শাহের পুত্রের পুরা নাম গিমাস্-উদ্দীন আজমশাহ, তাহার পুত্রের নাম সৈফ-উদ্দীন হমজা শাহ । এই নাম যখন "সৈমৃফ -উদ্দীন আসলতান" আকার ধাপণ করিয়া বাঙ্গ{লী উপন্যাস-লেখকেপ উপহাসে অবতীর্ণ হইয়াড়ে তখন আমাব মত পেশাদী ব প্রত্ন" বু ব্যবসায়ীরও তাহা চিনিয়া লওয়া কষ্টকর। সমস্ত মুসলমানী নামই এমন বিকৃত হইয়াছে যে তাহ চিনিয়া ওঠা কঠিন । ঐতিহাসিক উপাখ্যানও বিশ্বাসযোগ্য নহে । হম্জা শাহের পুত্রের নাম ‘আলিন সা” নহে, এ নামে ইলিয়াস শাহের বংশে কোন ব্যক্তির অস্তিত্বের প্রমাণ নাই। হম্‌জা শাহের পুত্রের নাম বায়াজিদ শাহ, রিয়াজউস-সালাতীন-প্রণেতা বলেন যে, বায়াজিদ জারজ পুত্র। গণেশের উত্থান এবং তাহার পুত্রের ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণের মধ্যে যে ঐতিহাসিক সমস্ত নিহিত আছে, উপন্যাসে অবশ্য কেহ তাহার সন্ধান করিতে যায় না ; কিন্তু যে লেখক মুদ্রিত গ্রন্থ পড়িয় রাজার নাম স্পষ্ট পড়িতে পারেন না, তিনি ঐতিহাসিক উপন্যাসের আকারে আখ্যানকে রচনা করিতে গিয়া হাস্যাম্পদ হন কেন ? “রাজা গণেশ” নামক গ্রন্থে গ্রন্থকার শ্ৰীযুক্ত শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাদটীকায় কতকগুলি অসত্য প্রচারের চেষ্টা করিয়াছেন । তাহার প্রতিবাদ ঐতিহাসিক মাত্রেরই আবখ্যক । তিনটিমাত্র দুষ্টান্ত দিলাম,—(১) পাঠান রাজত্বকালে “খ”, “খা সাহেব”, “সিংহ” উপাধি ছিল । শুধু ভাদুড়ী চক্রের অধিপতি “খ। সাহেব” উপাধি পাইয়াছিলেন । (পৃ. ১১) ( ২ ) বন্দুক বিশেষ। যে সময়ের কথা বলা হইতেছে সে সময় দেশে বন্দুক বা কামান ছিল না। জালালউদ্দীনের সময়ে কামান প্রথম দেখা যায়। তাহার নামাঙ্কিত আগ্নেয়াস্ত্র গৌড়ের মধ্যে পাওয়া গিয়াছে । ( পূঃ ৩৪ ) (৩) পাল, সেন রাজাদের সময়ে রমণীরা ঘাগর পরিধান করিত। পাঠান কর্তৃক বঙ্গ-বিজয়ের পর দেশ যত দরিদ্র হইয় পড়িতে লাগিল, ততই স্ত্রীলোকের ঘাগর ছাড়িয়া পাটের পাছড়া পরিতে আরস্ত করিল ; কিন্তু সন্ধান্ত বংশীয় রমণীর। তখনও রেশমের প্রস্তুত ঘাগর পরিতেন । ( পুঃ ১৩৫ ) তিনটিই ঘোর অসত্য। “রায়” হিন্দু উপাধি । সিংহ ও হিন্দু উপাধি । “খ” ও “খা সাহেব” মুসলমানের উপাধি, হিন্দু যবনদোষ গ্রস্ত না হইলে এই উপাধি গ্রহণ করিত না । জালালউদ্দীনেব সময় কামান ছিল না এবং তাহার নামাঙ্কিত আগ্নেযাস্ত্র বাঙ্গলার বা ভারতবর্ষের কোনস্থামে