পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86tb’ SAAAAAA AAAAMMASAMAMAMMMSAMAMAMAMAMAMAMAMM ও সমান স্থায়ী। কিন্তু গানে সব মাত্রা সমান ভাবে চলে না, তার গতির বিচিত্র ভঙ্গী ও লীলা আছে। স্বতরাং কবিতার মাত্রা একঘেয়ে ও একরঙ ; কিন্তু গানের মাত্রার স্বরূপ বিচিত্র। সেজন্তেই কবিতা গানের তুলনায় অনেকটা একঘেয়ে শুনতে হয় । এসম্বন্ধে যথাস্থানে আরে দু-একটা কথা আলোচনা করব। এখন গানের মাত্রা ও কবিতার মাত্রার পার্থক্যটি বিশদ করতে চেষ্টা করব । দুটো বিশিষ্ট উপায়ে গানের মাত্র কবিতার মাত্রা থেকে পার্থক্য ও আভিজাত্য লাভ করে শ্যসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। প্রথমত, কবিতায় অক্ষরগুলোর মাত্রার তারতম্য বিশেষ নেই, সবগুলো অক্ষরই প্রায় একমাত্রায় একভাবেই প্রবাহিত হয়ে চলে । আমরা আগেই দেখেছি কবিতার অক্ষরগুলো হয় একমাত্রিক নয় দ্বিমাত্রিক হবে ; অন্যথা হবার জো নেই। + ቀ জগতের মাঝে কত বিচিত্ৰ তুমি হে— •p তুমি বিচিত্ররূপিণী --রবীন্দ্রনাথ এখানে কেবল চিহ্নিত অক্ষরগুলো দ্বিমাত্রিক, বাকি সবগুলো একমাত্রিক । সৰ্ব্বত্রই এই রকম। কবিতায় কোনো বর্ণের দুয়ের অধিক্ট বা একের কম মাত্রা থাকে ন। কিন্তু গানে একেকটি বর্ণ ত্রিমাত্রিক চতুমৰ্পত্রিক প্রভৃতি বহুমাত্রিক তো হতে পারেই, আবার অন্যদিকে একেকটি বর্ণ অৰ্দ্ধমাত্রিক সিকিমাত্রিক প্রভৃতি অনেক প্রকার ভগ্নমাত্রিক ও হতে পারে । পুৰ্ব্বেই বলা হয়েছে যে এই মাত্রাবৈচিত্রের ফলে ছন্দ ( মাত্রাবৃত্ত ) তরঙ্গিত হয়ে উঠে ; মধ্যে মধ্যে দ্বিমাত্রিক বর্ণের অস্তিত্ব-হেতুই মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ওরকম গতিভঙ্গীতে দুলে উঠতে পারে, নতুবা এ ছন্দ একেবারে একঘেয়ে হয়ে পড়ত। উপরের পদ্যাংশটি পড়লেই এর যথার্থ উপলব্ধি হবে ; শুধু তিনটি গুরু স্বরের প্রভাবেই এ ছন্দের স্বরটা কেমন তরঙ্গায়িত হয়ে উঠেছে। ঠিক এই কারণেই গানের স্থরপ্রবাহ এমন বিচিত্র উপায়ে নৃত্যপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু কবিতায় কোন বর্ণ গুৰু এবং প্রবাসী—মাঘ, SOHO” [ २०- छां★, २ग्न थe ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAS কোন বর্ণ লঘু হবে তা পুৰ্ব্ব থেকেই নির্দিষ্ট হয়ে আছে বলে’ ছন্দ-রচয়িতার স্বাধীনতা কম, কেবল লঘু গুরু বর্ণের সন্নিবেশ-কৌশলের উপরেই তার কৃতিত্ব নির্ভর করে । কিন্তু গানে মাত্রা-পরিমাণ নির্দেশ করা সম্বন্ধে সুর-রচয়িতার প্রায় সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তা ছাড়া তার স্বাধীনতার ক্ষেত্রের পরিসরও খুব বেশি ; তিনি সিকি মাত্রা বা তার নীচু থেকে চার মাত্রা বা তার উদ্ধেও বিচরণ করতে পারেন। কিন্তু কাব্য-ছন্দ-রচয়িতার শুধু একমাত্রিক এবং দ্বিমাত্রিক বর্ণ নিয়েই কারবার ; স্থতরাং তার বিচরণ-ভূমি অতি ংকীর্ণ। কবিতায় একটি বর্ণ এক মাত্রার কম ব৷ ছু মাত্রার বেশি হতে পারে না ; কিন্তু গানে একটি বর্ণ সিকি-মাত্রিক থেকে বহু-মাত্রিক হতে পারে। সেজন্যই গানের গতি-বৈচিত্র্য কবিতার চাইতে ঢের বেশী। যেখানে কয়েকটি সিকি-মাত্রিক বর্ণ একত্র হয়েছে সেখানে গানের ধ্বনি-প্রবাহ অত্যন্ত খরগতি ; যেখানে একেকটি বর্ণের পরিমাণ অৰ্দ্ধমাত্রা, সেখানকার গতি অনেকটা মন্থর ; আবার যেখানে একেকটি বর্ণই বহুমাত্রা-ব্যাপী সেখানে স্বরের গতি খুব বেশি ধীর এবং গম্ভীর। এইরূপে মাত্রা-বৈচিত্র্যে স্বরের গতিবেগ অতি অদ্ভুত উপায়ে নিয়ন্ত্রিত হয় । যে-কোনো একটি গানের গতির প্রতি লক্ষ্য রাখলেই গানের যাত্র-বৈচিত্র্যের এই অসীম শক্তি ধরা পড়বে। গানে মাত্রা-বৈচিত্র্যের আরেকটি গৌণ ফল প্রতি পাদের অন্তর্গত অক্ষরংখ্যার অসমতা। আমরা পূৰ্ব্বেই দেখেছি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে পাদের অক্ষর-সংখ্যা খুবই অনিয়মিত ; গুরু স্বরের আধিক্য বা অল্পতা হেতু অক্ষর-সংখ্যা কমে কিংবা বাড়ে । + + স্নিগ্ধ সজল মেঘ-কজল দিবসে বিবশ প্রহর অচল অলস আবেশে —রবীন্দ্রনাথ এখানে প্রথম ছত্রে দুটো গুরু স্বর অক্ষর-সংখ্যা কমিয়ে তেরো করেছে ; দ্বিতীয় ছত্রে ওরকম গুরু স্বর নেই বলে’ অক্ষর-সংখ্যা পনেরো । কিন্তু উভয় ছত্রেই মাত্রা-সংখ্যা সমান অর্থাৎ পনেরো । গানের এক