পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

له من 8 ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASASASAMMeMAMAAAS গানের মাধুর্ঘ্য সম্পূর্ণ রক্ষা হয় না লয়ের গতিবেগের ক্রমও ( rate ) নির্দিষ্ট হওয়া দরকার ; কোনো গান দ্রুত লয়ে এবং কোনো গান বিলম্বিত লয়ে গীত হলেই ভালো শোনায় । সুতরাং যে গান দ্রুত লয়ে গীত হবে সে গানের মাত্রাও অল্পক্ষণ স্থায়ী হবে, আবার বিলম্বিত লয়ে গাওয়া হলেই মাত্রার স্থায়িত্ব-ব fলেরও বুদ্ধি হবে । কাজেই দেখা যাচ্ছে সঙ্গীতে মাত্রার কোনো বাধাবাধি স্থায়িত্বকাল নির্দিষ্ট নেই, গান-ভেদে মাত্র-পরিমাণ ও বিভিন্ন হয় । সঙ্গীতে ধ্বনিপ্রবাহের এই গতিক্রম বা লয় অনেক প্রকার হতে পারে ; কোনো গান দ্রুত লয়ে, কোনো গান অতিদ্রুত, বিলম্বিত, অতিবিলম্বিত, ঈষৎবিলম্বিত বা মধ্য লয়ে গাওয়া হয় । কিন্তু এ বিশেষণগুলো সবই আপেক্ষিক শব্দ, এগুলো গায়ক বা শ্রোতার ঐতিশক্তির উপর নির্ভর করে । আমি যে লয়টিকে প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ f [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ہ محمحصبحصرحمہم سماہنامہ۔بیحے দ্রুত মনে করছি তুমি হয়তো তাকেই মধ্য বা বিলম্বিত মনে করতে পার। স্বতরাং গানের লয় বা গতিক্রম বিভিন্ন ব্যক্তির শ্রীতিরুচির উপর নির্ভর করে বলে’. এ লয় ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন হয় । যাতে এ ভিন্নত না হয়ে সৰ্ব্বত্র লয়ের সমভ রক্ষণ হয় সেজন্যে অনেক সময় মাত্রামাণ ( metronome ) নামক যন্ত্রের সাহায্য লওয়া হয়। ওই যন্ত্রের সাহাঘো প্রতি মাত্রার স্থায়িত্বকাল স্বনিদিষ্ট করা যায়, সুতরাং গানের সর্বত্র গতিসাম্য বা লয় এবং ব্যক্তিনিৰ্ব্বিশেষে গতিক্রম বা লয়ের প্রকারভেদ ও স্থির থাকে । যাহোক, এবিষয়ে আমাদের বিশেয আলোচনা নিম্পয়োজন। এখন আমরা কবিতায় এই মাত্রা ও লয়ের প্রয়োজনীয়তা কতখানি তাই দেখতে চেষ্টা করব । ( ক্রমশ: ) শ্ৰী প্রবোধচন্দ্র সেন সম্পাদকির বিপদ ‘গোলক’ কাগজের সম্পাদকের নাম গৌরচরণ বস্থ । বয়সে প্রবীণ-দাড়ি গোপ যে পাকা এবং মেজাজ যে কড়া—এই প্রবীণতার জন্তেই। পাকা সম্পাদক— লেখার মধ্যে বীজ বুেশ থাকে। আর যাকে খোচ দেওয়া হয়—তার পেটে খোচা বেশ কোৎ করে' লাগে । গৌর-বাবু কাগজখানার জন্তে অনেক পয়সা খরচ করেছেন। এমন একটা সময় গেছে, যখন গৌর-বাবু সমস্ত দিন রাত্রি আপিস এবং প্রেসেই কাটিয়েছেন । গত দু-বছর থেকে কাগজের আয় একটু বেড়েছে— এখন আর গৌর-বাবুকে তত বেশী খাটুতে হয় না। হঠাৎ একটা গোলমাল মাঝখানে এসে পড়ল— যার জন্তে গৌর-বাবুর “গোলকে’র কাটুতি কমে' গেল। সহরের কে একজন হরি-বাবু আর-একথানা কাগজ বার করল—তার নাম হ’ল "চন্দ্র” । চন্দ্রের দাম গোলকের চেয়ে কম—অথচ গোলকে যে খবর যেমন ভাবে থাকে চন্দ্রেও সেই-সব তেমনি ভাবেই পাওয়া যায়। গৌর-বাৰু দেশের বড় বড় সব সহরে লোক রেখে, তাদের মাইনে দিয়ে নানা খবর আনাতেন। গৌর-বাবুর বড় প্রেস । গৌর-বাবুর আপিসে এবং প্রেসে অনেক লোক দিন রাত্রি খাটে—সব সময় গমৃগম করে। গৌর-বাবু দিন রাত কড়া চোখে এবং চট। মেজাজে সব কাজ দেখে বেড়ান। "চন্দ্র'কাগজের প্রেস একটা টিনে-ছাওয়া ঘরে । সেই প্রেসে জন দশেক লোক কাজ করে—প্রেস মাত্র একটা । আপিস আর প্রেস এক জায়গাতেই। হরি-বাবুর প্রেসে এবং আপিসে দিনে কোন কাজ হয় না । যা কাজ হয় কেবল রাত্রে—তাও দশটার পর আরম্ভ হয় । অথচ মজা এমন যে হরি-বাবুর কাগজের কাটুতি গৌরবাবুর কাগজের চেয়ে কম ত হ’লই না—বরং মাসে মাসে বেশ বেড়েই যেতে লাগল। লোকে দাম কম দিয়ে হরি-বাবুর কাগজে সব খবরই পায়—কাজেই তারা আর ভাল দাম দিয়ে গৌর-বাবুর কাগজ কিনবে কেন। চন্দ্র-সম্পাদক হরি-ৰাবু কাগজ বার করুবার আগে মিউনিসিপ্যালিটির ল্যাটিন-ইন্সপেক্টার ছিলেন । তার পর তার নামে ঘুম নেবার একটা নালিশ হয়—