পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8{ nesn') بین-گیبستهای بیسیم: AMMAMeAAASAASAASSAAAAAAS AAAAAS তা সেট নাকি মিথ্যা । তা ষা হোক—কৰ্ত্তারা গরিব হরি-বাবুকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দিলেন । গৌর-বাৰু ছিলেন মিউনিসিপ্যালিটির একজন কমিশনার-তিনি ইচ্ছে করলে নাকি হরি-বাবুকে কাজে রাখতে পারতেন। কিন্তু তিনি বললেন—“চোরকে পাবলিক কাজে রাখতে আমার ঘোর আপত্তি আছে।” হরি-বাবু গৌর-বাবুর ওপর চটে' গেলেন । এবং আর কোথাও কোনো রকম স্ববিধে করতে না পেরে সম্পাদক হয়ে বসলেন। হরি-বাবুর কাগজ পড়ে সবাই বলতে লাগল— “হরি-বাবুর ল্যাটিন ইন্সপেক্টারের" কাজ গিয়ে ভালই হয়েছে । ওঁর যে এত বিদ্যে — তা না হলে কেউ কোনো দিন জানতেও পাবৃত না । গৌর-বাবু আবার ওঁকে চোর বলেন কোম্ হিসেবে ? গৌর-বাবু ত ডাকাত ! আমাদের কাছ থেকে এতদিন দু’পয়সার কাগজের জন্যে চার পয়সা করে নিয়েছেন”—ইত্যাদি ইত্যাদি । গৌর বাবু ব্যাপার কিছুই বুঝতে পার্বুলেন না। তার কাগজের সব খবর হরি-বাবুর কাগজে কেমন করে যে যায়—এ তার বুদ্ধির অগম্য বলে মনে হল। প্রথম তার মনে হল যে হয়ত তারই কোনো লোক গোপনে চন্দ্র-সম্পাদককে খবর বিক্রি করে । সবাইকে সন্দেহ করতে করতে গৌর-বাবুর এমন অবস্থা হল যে নিজের স্ত্রীকেও তিনি মাঝে মাঝে সমোহ করতেন। রাত্রে একদিন গোর-বাবু কি একটা খসখস শব শুনতে পেলেন। কান খাড়া করে তার মনে হল যে শবট। তার দেরাজ থেকে আসছে। আস্তে আস্তে তিনি উঠে বস্লেন। তার পর শক্ত করে’ লাঠিটা বাগিয়ে ধরে দুয়ারের দিকে গেলেন। জুয়ারের কাছে গিয়ে পাশের ঘরের দেরাজের কাছে দেখলেন যে কে একজন তার কাগজ-পত্র ঘাটাঘাটি করছে। গৌর-বাবুর মনটা হঠাৎ বেজায় খুলী হয়ে উঠল। মনে ভাব লেন-এতদিনে ধরেছি—দাড়াও বাবা, আমার ফাইল চুরি করা—হ ! তার পর গৌর-বাৰু হঠাৎ দুয়ারের শিকল বদ্ধ করে’ দিয়ে বাড়ীর জন্য সবাইকে চীৎকার করে ডাকৃতে আরম্ভ করে দিলেন। কাছেই প্রেস এবং আপিস, সবাই ছুটে সম্পাদকের বিপদ 8や〉 ۶Nsيخيمير এল—ডাগু এবং আলো নিয়ে। সকলের মুখে খুব একটা উত্তেজনার ভাব এই মনে করে’ ষে—এতদিন পরে আসল চোর ধরা পড়লে কৰ্ত্ত আর-সবাইকে অনাবশ্যক সন্দেহ হতে রেহাই দেবুেন । লোকজন সব এসে পড়লে গৌর-বাবু দুয়ারের দু'পাশে সবাইকে বেশ সার দিয়ে দাড় করিয়ে দিলেন। জানালার নীচেও দু জন করে' লোক ভাগু উচিয়ে দাড়িয়ে রইল, চোর যদি লাফ দেয় তাকে পিটিয়েই তার দফা সেরে দেবে- ই—একেবারে । কেউ কেউ বলল যে পুলিশ ডেকে আনা ভাল, কারণ চোরটা কোনো রকম শব্দ করছে না, হয়ত তার হাতে পিস্তল আছে । গৌর-বাবু বললেন-চোরকে জাগে ধরে’ তার পর পুলিশ ডাকাই ভাল । গৌর-বাবু তার দু-নলা বন্দুটিকে বাগিয়ে ধরলে পর আস্তে আস্তে হুয়ার খোলা হ’ল । সকলে দেখল ঘরের কোণে জড়সড় হয়ে সৰ্ব্বাঙ্গে কাপড় মুড়ি দিয়ে কে দাড়িয়ে রয়েছে। গৌর-বাৰু এক লাফে তার কাছে গিয়ে তাকে ঝপাত করে জড়িয়ে ধরে একদম বাইরে টেনে আনলেন । লোকর তখন সবাই ভাও হাতে চোরকে ঘিরে দাড়িয়েছে—পাছে সে পালায় । তার পর গৌর-বাবু যেই চোরের মুখের কাপড় জোর করে টেনে খুলে দিলেন আর তার মুখে আলো পড়ল, অমনি সবাই হঠাৎ চে-টা দৌড় দিল! গৌর-বাবুর হাতের বন্দুকটা পড়ে গেল এবং হঠাৎ তার থেকে একটা গুলি বেরিয়ে গিয়ে ছাতের কোণের জলের টবে লাগল এবং টব ফুটে হয়ে গিয়ে তার জল ফিনকি দিয়ে ছুটে এসে গৌর-বাবুর দাড়ি এবং চুল আল্পত করতে লাগল । গৌর-বাবু উদাসভাবে আপনার ঘরে চলে গেলেন। চোর আর কেউ নয় গৌর-বাবুর বড় ছেলের বউরাত্রে ছেলে কঁাছিল বলে একটা মোমবাতি আর দেশলাইয়ের জন্তে শ্বশুরের ঘরে এসেছিল। ছেড়া কাগজও কিছু নেবার ইচ্ছে ছিল—জালিয়ে স্কুধ গরম করবার জন্তে । এর পর গৌর-বাৰু তিন দিম অম্বরে যান নি। পুত্রবধু তবুও বাপের বাড়ী চলে গেল।