পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や8 میمه خیص حمایی به تعبیر میی গোর-বাৰু চন্দ্রখানা হাতে পেয়েই দেখলেন গোলকের কোনো খবরই তাতে নেই। “চন্দ্রে রয়েছে তার হাতের তৈরী সব নিছক মিথ্যা খবরগুলো । * সেদিনকার “চন্দ্রে” প্রকাশিত খবরগুলো একেবারে বাজে। কারণ-( ১ ) মহারাজা গজেন্দ্রচন্দ্রের জমিদারী নিলাম হবার কোনো কারণ নেই—এবং কোনো কালেও তা হবে না । (২) লাট সাহেবের পদত্যাগ ব্যাপার স্বপ্নে হতে পারে, বাস্তবে নয় । (৩) জাষ্টিস্ বোস সেদিনও আস্ত বেঁচে অছেন এবং রীতিমত আদালত করছেন। ( 4 ) ভজহরি-বাৰু পুলিশ সাহেবের বন্ধু । ( ৫ ) টাউন হলে কোনো বক্তৃত হবার কথা নেই, তা ছাড়া মৌলান রমজান সাহেবের জেল কোনো কালেও হয় নাই । তার উপর সেবার তিনি খ! সাহেবী বকৃসিশ পাইয়াছেন। (৬) চাম্বন ব্যাঙ্ক, ফেল করার কথা একেবারে বাজে । সেদিন বেলা যত বাড়তে লাগ ল—হরি-বাবুর আপিসে ততই লোকজনের ভীড় হতে লাগল। কেউ হরি-বাবুকে মাৰ্বতে চায়, কেউ দাড়ি ছিড়তে চায়, কেউ বা তাকে জলে চোবাতে চায়। এক একজন মানুষের আকৃতি, প্রকৃতি এবং রুচি এক এক রকমের। সকলেই আপন আপন রুচি অনুসারে হরি-বাবুর ব্যবস্থা করতে চায়। যাদের নামে বাজে খবর বেরিয়েছিল তারা সবাই মিলে হরি-বাবুকে হেঁই-মারে-কি-র্তেই-মারে । চীন দেশে চুরিচামারির শাস্তিই হচ্ছে গলায় মস্ত ভারি একটা কাঠের চাকা পরিয়ে রাস্তায় টেনে নিয়ে বেড়ান। এই চাকাটার, সরকারী নাম হচ্ছে ক্যাং। একদিন এক জন চীনাকে এই ক্যাং গলায় দিয়ে রাস্তায় বেড়াতে দেখে তার বন্ধু জিজ্ঞাসা কবুলে—“ব্যাপার কি ?” সে বললে—“আরে ভাই, রাস্তায় এক গাছা দড়ি পড়েছিল প্রবাসী-মাঘ, ১৩৩০ هي معمر هجوم جمعيمهم سعيد [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড یحیی می به همینیستهای مهم এদিকে চায়না-ব্যাঙ্কের দরজায় হাজার হাজার লোক জমা হয়ে গেছে-সবাইকার মুখে হাহাকার। ব্যান্ধের কর্তারা অবাক হয়ে গেলেন এমন ব্যাপার দেখে । তার পর সব ব্যপার দেখে শুনে লোকজনদের অনেককে টাকা দিয়ে অনেককে বুঝিয়ে বাড়ী পাঠালেন এবং শেষে পুলিশকেস করলেন “চন্দ্রে'র নামে । ব্যাপার যখন অনেক দূর গড়িয়েছে—তখন চন্দ্রআপিসে পুলিশ-সাহেব একদল পুলিশ নিয়ে হাজির হল। সে অনেক কষ্টে লোকজনের ভীড় ঠেলে হরি-বাবুকে কোনো কথা বলবার অবসর না দিয়ে একেবারে সোজা হাজতে চালান কবুল । হরি-বাবুর নামে নালিশ হয়েছে গোট বারো। তবে গৌর-বাবু অনেক কষ্টে হরি-বাবুকে জেল থেকে বঁাচালেন । হরি-বাবু প্রেস ইত্যাদি সব বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে গেলেন। লোকে বলে বিদেশে তিনি সাইকেল এবং ষ্টোভ মেরামতের দোকান করেছেন। তা সত্ত্বেও, গেীর-বাবুর আপিসের নিয়ম হল-প্রেসের কোনো রকম কাগজপত্র-প্রুফ ত দূরের কথা-বাইরে ফেলা হবে না, এবং এর জন্যে বিশেষ করে’ একজন লোক রাখা হল । তার নাম হচ্ছে হুঁশিয়ার সিং, তাই মাইনে হল সাড়ে ন’টাকা এবং সে দিনবাত্রি একটা থাটিয়ার উপর ঘুমোয় প্রেসের সামনে । হেমন্ত চট্টোপাধ্যায় তাই কুড়িয়ে নেওয়াতেই এই ফ্যাসাদে পড়েছি।” বন্ধুটি তার ডবল পয়সার মতন গোল গোল দুটি চোখ বিস্ফারিত করে বললে—“দেশ দিন দিন অরাজক হল দেখ ছি—দড়ি নেওয়াতেহ এত কঠিন শাস্তি!” চীনা বললে—“ত ঠিক নয়, তবে দড়িটার একধারে একটা বলদও বাধা ছিল কি না।” ঐ বীরেশ্বর বাগছী