পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१३ প্রবাসী— AeMAMAMA SAMM AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMMAeMMAe eMe eMAeMAe eMAAAS নির্বাচনের অধিকার পেয়েছিল ; সে নিৰ্ব্বাচন-ব্যাপার পর্দার আড়ালেই হয়ে যেত, দেশে তার সাড়া পাওয়া যেত না । বর্তমান শাসন-সংস্কার আইনে চাষী শ্রমজীবী ব্যবসায়ী দোকানী অন্যান্য ব্যবসায়ের লোক এবং সহরবাসী ও পল্লীবাসী সকলকে আইন-সভার সভ্য নিৰ্ব্বাচনের জন্য ভোটের অধিকার পূৰ্ব্বের চেয়ে অনেক বেশী দেওয়া হয়েছে। সত্য কথা বলতে গেলে মিণ্টেমিলি সংস্কারের লক্ষ্য ঠিক গণতন্ত্র শাসনের স্বত্রপাত করার দিকে ছিল না। গণতন্ত্রের অত্যাবশ্যক জিনিস নিৰ্ব্বাচন-গণ্ডী ( electorate ) তখন বাস্তবিক কোন কিছু ছিল না, এখন তা কিছু হয়েছে। এই ইলেক্টরেট বা নিৰ্ব্বাচন-গণ্ডী গণতন্ত্রের অট্টালিকার ভিত্তি। এদেশে শতকরা ৯০ জন কৃষিজীবী ও পল্লীবাসী । এদের মধ্যেই নিৰ্ব্বাচন-অধিকারের বহু-প্রসার সমস্যার বিষয় ছিল । লেখাপড়া অনেকেই জানে না, সেজন্য নির্বাচনের অধিকার বা ভোটের ক্ষমত দিতে লেখাপড়ার কথা ধরা হয় নি। দুৰ্দশ জনও যাতে অধিকার পায় সেই মতলবে আয় ও সম্পত্তির পরিমাণ খুব কমই ধরা হয়েছে । ইউরোপীয় ব্যবসায়ী, মুসলমান সম্প্রদায় ও মান্দ্রাজের অব্রাহ্মণদের জন্য বিশেষ নিৰ্ব্বাচন-বিধির প্রবর্তন করা হয়েছে। সাধারণ নিৰ্ব্বাচন-প্রথায় এই সম্প্রদায়গুলি মনের মত প্রতিনিধি নাও পেতে পারেন—এই আশঙ্কায় এই বিশেষ ব্যবস্থার আশ্রয় নেওঁয়া হয়েছে। বঙ্গের ব্যবস্থাপক বা আইন সভাতে এক জন প্রেসিডেন্ট, বা সভাপতি শাসন-সংস্কারের প্রথম চার বছরের জন্ত নিযুক্ত হয়েছিলেন ; এই সভাপতি বিলাতের হাউস অব কমন্সের স্পিকারের মত ; তবে স্পিকার সভ্যদের স্বারা সভ্যদের মধ্য হতেই নিৰ্ব্বাচিত হন ; আমাদের সভার সভাপতি এবারের মত বাইরে হতে গভর্ণর কর্তৃক মনোনীত হলেন ; ইনিও বেতনভোগী ; চার বছর পরের থেকে সভাপতি সভ্যদের মধ্য থেকে সভ্যদের দ্বারাই নির্বাচিত হবেন । তাদের এই প্রথম দশায় পালামেন্টের কাজ চালানর সম্বন্ধে ভাল-রকম অভিজ্ঞতা ও ধীরতার অভাব হতে পারে—এই আশঙ্কায় যিনি সাবধানতার সঙ্গে কাজ চালাতে পারবেন এমন একজনকে বাইরে হতে বেছে , రిరి. [ २०° छांनं, २ग्न थ७ خاتمی هخامنیتخمیر حبیبی خمیر নেওয়া হয়েছিল। বিলাতে কমন্স সভায় স্পিকারের ক্ষমতা সৰ্ব্বোপরি ; বিভাগীয় মন্ত্রীরাও ঐ সভার সভ্য হলেও সভার মধ্যে র্তারা স্পিকারের কথা শুনতে বাধ্য। আমাদের এখানেও সভাপতির ক্ষমতা বেশীই দেওয়া হয়েছে। এখানে এক ডেপুটী সভাপতি সভ্যগণের মধ্য হতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিলাতের হাউস্ অব, কমন্স, সভা, মন্ত্রীরা নিজ নিজ বিভাগের জন্য যে টাকা চান সে টাকা মঞ্জুর করার আগে, কমিটিতে পরিণত হয় ; এই কমিটিতে বাজেট বা দেশের বিভিন্ন বিভাগের খরচের কথা আলোচনা হয় ; এ সময় স্পিকার আর সভাপতি থাকেন না, আর-একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় ; কিন্তু বাংলার আইন-সভায় এ ব্যবস্থা এখনও হয় নি ; সভাকে কমিটিতে পরিণত না করে’ই বাজেট আলোচনা হয়। বিলাতে হাউস অব কমন্স ই টাকা মঞ্জুর করার কর্তা ; বাংলার আইনসভয় কোন কোন বিষয়ে এই নীতি কতকটা চালানর চেষ্টা হচ্ছে । - ভারত-গভর্ণমেণ্ট যে কয়টা আয়ের বিষয় বাংলা গভর্ণমেণ্ট কে ছেড়ে দিয়েছেন তাতে বাংলার বার্ষিক ব্যয় চলছে না ; প্রায় দেড় কোটি টাকার স্বল্পতা নিয়ে কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। পাটের রাজস্ব শুধু বাংলা হতেই আদায় হয়। এতে আয় প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা । কিন্তু সে টাকাটা ভারত-গভর্ণমেণ্টের রাজস্বের অস্তভুক্ত বলে ধরা হচ্ছে। প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্টে দেশীয় দলের মন্ত্রীদের উপর ষে বিভাগগুলির ভার দেওয়া হয়েছে । সেগুলির কাজ ভাল চললে দেশে স্বায়ত্তশাসনের পথ খুলে যায় ; মরা জাতির ধড়ে জীবন-সঞ্চার করতে হ’লে নিশ্চয়ই প্রথমে শিক্ষণ শিল্প ও স্বাস্থ্যের দিকে ঝোক দিতে হয় ; বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার আইন পাশ হয়েছে ; যে-কোন মিউনিসিপ্যালিটি ও ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড, ইচ্ছা করলেই কাজ আরম্ভ করতে পারেন ; কিন্তু অর্থাভাব । শিল্পবিভাগেও উন্নতির জন্ম রেলওয়ে, ষ্টীমার প্রভৃতি হাতে থাকার দরকার। স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ স্বরু হয়েছিল যাত্র। লর্ড, রোনাল্ডশের চেষ্টায় দেশের মধ্যে দু-একটি ছোট জায়গা বেছে