পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& 8 বিষয়ে টাকা খরচ করা হবে। প্রতি বছর গভর্ণমেণ্টপক্ষীয় ও জনপক্ষীয় মন্ত্রীর যুক্ত অধিবেশনে পরামর্শ করে? ঐ টাকা ভাগ করে” নেবেন । জনসাধাবণের মন্ত্রী ও গভর্ণমেণ্টের পারিষদ—এ দুইএর পদমর্য্যাণ৷ সমান হবে। তবে জনমস্ত্রীদের বেতন-নিৰ্দ্ধারণ আইনসভা হতে হবে ; গভর্ণরের Casa oi consolid ited fund বা পাক তহবিলের অন্তর্গত থাকৃবে ; তাতে আইন-সভা হাত দিতে পারবেন না। বাজেট আইনসভায় পাশ হয়ে গেলে গভর্ণর ও তার পর ভারত-সচিব (Secretary of State) outs; on Ordinanceএর দ্বারা পাশ হতে পারবে । যদি গভর্ণর জনমস্ত্রীর কথা না শুনেন তো মন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন বা পদে থাকুতেও পারেন। যদি তিনি পদ না ছাড়েন তো সেট। আইন-সভার সভোর পচ্ছন্দ না করলে অনেক উপায়ে তারা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন । এটা নিতান্ত কম ক্ষমতা নয়। দেশের পক্ষে হিতকরী দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা সম্পর্কে আইন জন প্রতিনিধি রই সভাতে পাশ করবেন ; তারা তা না করলে দেশের লোকের আস্থ। হারাবেন ও পরবারের নিৰ্ব্বাচনে তাদের উপযুক্ত ভোট না পাওয়ারই সম্ভাবন।। ভারত-গভর্ণমেণ্ট, আপাতত: কেবল পালর্ণমেণ্টের কাছেই দায়ী ; জনসাধারণের কাছে দায়িত্ব বলে’ কোন কিছু তাদের নেই ; স্বতরাং প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্ট - গুলির মত এখানে দু-শরিক হয় নি ; জনসাধারণের আধা অংশ - ও ব্রিটিশ-রাজের আধা ভাগ—এ ভাবে ভারত-গভর্ণমেণ্ট কে এখনও ভাগ দেওয়া হয় নি। প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্টের হাতে অনেক বিষয় ছেড়ে দেওয়াতে ভারত-গভর্ণমেণ্টের হাতে যা বাকী আছে তা সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত এ দুভাগে ভাগ না করলেও চলে এই বিবেচনায় প্রাদেশিক নীতি এখানে অনুস্থত হয় নি। ভাইসরয়ের বা বড়লাটের পরিষদে (Executive Councilএ ) তিনজন সরকারী ও তিনজন বেসরকারী দেশী সভ্য আছেন । ভারতীয় আইন-সভা এখন হতে বরাবর জনসাধা প্রবাসী—মাথ, లిరి * S AAAAAA AAAA S AAA S AAAAAASAAAAS S AAAA S AAAAS t २७° छो*, २झ थ७ SS SSAAAASA SAAAAS AAASASASAS SSAS SSAS SSMSAMSMSAS A SAS A SAS SSASASAeSMSMMS SSAAAS রণের নির্বাচিত সভ্যদের দ্বারা গঠিত হবে। Indirect Election বা পরোক্ষ নির্বাচনের সাহায্যে প্রাদেশিক সভান্তর হতে প্রতিনিধি নিয়ে গড়া হবে না । এ ব্যবস্থা ভাল। এখানে নিম্নসভায় ১৪৪ জন সভ্যের মধ্যে ১০৩ জন নিৰ্বাচিত সভ্য আর মনোনীত সভ্যের এক তৃতীয়াংশ বেসরকারী সভ্য, হওয়া চাই । এই সভার সভাপতি এখন বড়লাট কর্তৃক নিৰ্ব্বাচিত হন । আর এক বছর পরে সভ্যগণই তাদের মুধ্যে থেকে সভাপতি নির্বাচন করবেন। আর ভারতীয় আইন-সভার উপরিতন সভা হ’ল কতকটা বিলাতের লর্ডস সভার মত । এর নাম কাউন্সিল অব ষ্টেট । এখানে ৬০ জন সভ্য থাকেন ; তার মধ্যে ৩৩ জন নিৰ্ব্বাচিত ও ২৭ জন মনোনীত ; এই ২৭ জনের মধ্যে ২০ জনের বেশী সরকারী সভ্য থাকৃতে পারেন না। এখানে বড়লাট সভাপতিত্ব করতে পাবেন না। এই সভাতেও নিৰ্ব্বাচন-নীতি চালান হয়েছে ; তা লর্ড সে নেই, সেখানে মাত্র কয়েকজন আইরিশ ও স্বচ, পিয়ার বা লর্ড অভিজাত, ব। লর্ডদের মধ্য হতে গৃহীত হন । উচ্চ ও নিম্ন আইনসভার এ দুটি ভাগ থাকাতে কতকগুলি সুবিধাও আছে। তার মধ্যে একটি সুবিধা এই যে একটি মাত্র সভা হওঁ! কৰ্ত্ত হ’লে তাড়াতাড়ি আইন পাশ হওয়ার যে ভয় থাকে আইন গৃহীত হওয়ার আগে পর পর দুটি সভায় আইন পাশ হওয়ার নিয়ম থাকাতে একটু ধীরতার সঙ্গে সকল দিক্ ভেবে কোন একটা নৃত্তন আইন তৈয়ার হওয়ার বা নূতন কিছু পরিবর্তনের সম্ভব হয়। নিম্ন ও উচ্চ সভা কোন আইন পাশ করলে তা বড়লাটের অঙ্কমত হলে গৃহীত হয় । এই দুই সভাই বাজেট আলোচনা করতে পারেন। নিম্ন সভাকে বাজেট আলোচনার পর টাকা মঞ্জুরের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ; উচ্চ সভাকে তা দেওয়া হয় নি ; নিম্ন সভা কোন বিষয়ে টাকা দিতে ও পারেন নাও পারেন। এ বিষয়ে তার ক্ষমতা কতকট হাউস অব কমন্সের মত। রাজ্যসংক্রান্ত ঋণের স্বদ বেতন পেনশান রাজ্যরক্ষা প্রভৃতি কতকগুলি রক্ষিত ( reserved ) বিষয় ছাড়া আইন-সভা অন্য সকল বিষয়ে ভোট দিতে পারেন।