পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓፋይ SMMMA Ae eeAMA AMMAJJJAJAMAMAMAMAMAMMAMMS যেমন চৈতন্তের ভাবময় ধৰ্ম্মের বিকৃতি এখন ঘটেছে। সেজন্ত প্রতিষ্ঠান বা যন্ত্র স্থাপন করে করে কাজ করে যেতে হবে, অর্থাং কাজ স্থায়ী করতে গেলে কৰ্ম্মশৃঙ্খলার organisations: খুবই দরকার অাছে। কৃষক, শ্রমজীবী, শিক্ষক, শিল্পী, সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীর মধ্যেই অর্থাৎ সামাজিক অংশবিশেষগুলির নিজেদের ভিতরেও সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার বহুল প্রয়োজন । এই-সকল সঙ্ঘের যতই প্রতিষ্ঠা হয় ততই রাষ্ট্রীয় মঙ্গল ও শাস্তি হয় । কারণ, রাষ্ট্র বা state—ধৰ্ম্মাধিকরণ, ধৰ্ম্মসভা, কলেজ, মিউনিসিপ্যালিটি প্রভৃতি সমাজ-জীবনের কতকগুলি মূল সঙ্ঘ নিয়ে—একটা মহাপঙ্ঘ বই আর কিছুই নয় ; সৰ্ব্বোচ্চ সভ্য ষ্টেটের মধ্যে অনেক ছোট ছোট সমাজ বা সঙ্ঘ এইভাবেই লুকিয়ে আছে । এখন সমাজজীবনের জটিলতার সঙ্গে যুঙ্গে তার কাজ অবাধ করতে হলে নব নব সভ্য সামাজিক জীবনের সর্বাঙ্গে বিকশিত করে’ তুলতে হবে। স্বতরাং সঙ্ঘ-বন্ধনের দ্বার কাজে আগুয়ান হয়ে চলতে হবে, নইলে কাজ টিক্বে না । এই ভাবেই আমাদের জাতীয় আত্মার মুক্তিপ্লাবনকে বাহিক বাধ উৎকণ্ঠিত ( কবীর ) এই বিবশিত তচু মন মোর যৌবনে ঢল-ঢল— দিয়েছে আমারে প্রিয়ের বারত, তাই চিত চঞ্চল ! পেয়েছি সে লিপি, তাই তার লাগি মাঙ্গাথনি গাথি’ আছি নিশা জাগি ; মিলন-আশায়, বল, কত কলি রহিব গে, পথ চাহি ! ওগো অবিনাশী, ওগো প্রিয়তম, ক্ষয়-ভয় অাছে সময়ের মম,— তোমার ত তাহা নাহি । হে অনাদি, তব জ্বরা নাহি তাই, গেলে তব ক্ষণ কোন ক্ষতি নাই ; নিঃস্ব করি এ যৌবন যাবে, কেমনে সহিব বল । ঐ গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায় প্রবাসী-মাঘ, ১৩ee [ २०* छीनं, २ग्न थ७ സ്പ് দিয়ে রক্ষা করে’ বহমান করে নিয়ে যেতে হবে ও তাকে মত্ততা থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে। এরকমে সমাজের সৰ্ব্বক্ষেত্রে মুক্তিসঙ্ঘ ফুটে উঠলে জাতীয় আত্মা অপ্রতিহত ও অবাধ হয়। মানুষই এযুগের দেবতা ; তাকে নিয়েই সব ; তাকে চেপে রেখে নয়, তার বিকাশ ও মুক্তি দিয়েই যুগের সকল সাধনার সিদ্ধি ; অস্মিজ্ঞান ও কৰ্ম্মে সামঞ্জস্য লাভ করে’ সামাজিক মুক্তির ভিতরে চরিতার্থ হওয়াই, নবযুগের মামুষের লক্ষ্য । সুতরাং তার জীবনের লক্ষ্য অকুশরেই আসন্ন গণতন্ত্রের সামাজিক যন্ত্রের লক্ষ্য স্থির হবে, জাতি ধৰ্ম্মনির্বিশেষে সকলের অধ্যাত্ম-প্রয়াস সফলের এ-দিনে যুগ যুগীয়ত সাধারণ ইচ্ছার পরিণতি করতেই এ-যুগের মানুষ অfজ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল ব্যাপারে নিজ স্থান অধিকার করবেন ; তার স্বরেই সমাজ-যন্ত্রের সুর বঁfধ হয়ে যাবে ; যন্ত্রেব গর্ভে তখন প্রাণের হিল্লোল খেলে যন্ত্রকে স্পদিত বেগবান ও প্রাণময় করে তুলবে ; শাসক-শাসিতভাব ধরা হতে মুছে গেলে দরবেশী গণতন্ত্রের ভ্রাতৃপ্রেমে সারা ধরা জাগবে । শ্ৰী প্রফুল্লকুমার সরকার ওয়ান্ট হুইটম্যান শুভক্ষণে হে মহান কবি, বসি বসি’ একরঙা ছবি সাঞ্জাইলে মানবের মনের গুহায় ; প্রাণ দিলে, ভাষা দিলে তায় । অপূৰ্ব্ব সে সাম্যসাম, অপূৰ্ব্ব সে আনন্দের গীত। বিশ্ববাসী হ’ল বিমোহিত । আনন্দের জয়-ভেরী উঠিল বাজিয়া । রহিয়া রহিয়া প্রাণহীন দেশে তার আসিছে আভাস । তাই মোরা পাই যে আশ্বাস । তোমার সে গীত যেন বহি-মুখে শিখার মতন। তোমার সে বাণী যেন প্রলয়ের জীমূত-গর্জন । বিশ্বেরে জেনেছ সত্য নিজের স্বদেশ,— মাই হিংসা, নাই কোনো দ্বেষ । অকাতরে কুণ্ঠাহীন গাহিয়াছ শুধু সাম্য-সাম । হে গণতান্ত্রিক কবি, ভারতের ল ও গে প্রণাম । ঐ হেমচন্দ্র বাগচী