পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳԵ আমাদের আগেকার অভ্যাস। গয়ার পাওীরা কি গয়াকে বড় করতে পারে? না তার মন্দির পারে ? • * * আমাদের একথা মনে রাখতে হবে পুণ্যধৰ্ম্ম মাটিতে বা হাওয়ায় নেই। চিন্তার দ্বার, সাধনার দ্বারা পুণ্যকে সমর্থন করতে হবে। তীর্থে মানুষ উত্তীর্ণ হয় বলেই তার নাম তীর্থ। এমন অনেক জায়গা আছে-যেখানে এসে সকলে উত্তীর্ণ হয় না ; সমস্ত পথিক যেখানে আসে চলে যাবার জন্তে, থাকুবার জন্তে নয়। যেমন কলকাতার বড়বাজার-সেখানে এসে প্রীতি মেলে না, বিরাম মেলে না, সেখানে এসে যাত্র শেষ হয় না। সেখানে লাভলোক্‌দানের কথা ছাড়া আর কথা নেই। আমি কলকাতায় জন্মেছি—সেখানে আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছি না । সেখানে আমার বাড়ী আছে, তবু সেখানে কিছু নিজের আছে বলে’ মনে করতে পারছি মা । মানুষ যদি নিজের সেই অশ্রয়টি খুজে নী পেলে তো মমুমেন্ট দেখে বড় বড় বাড়ী ঘর দেখে তার কি হবে ? ওখানে কার আহবান আছে ? বণিকুরাই কেবল সেখানে থাকুতে পারে। ও তীর্থক্ষেত্র নয়। এ ছাড়া আমাদের যেগুলো তীর্থক্ষেত্র আছে – সেখানে কি হয় ? সেখানে যারা পুণ্যপিপাসু তারা পাণ্ডাদের পীয়ে টাকা দিয়ে আসে, সেখানে তো সব দেশের মানুষ মেলুবার জন্যে ভিতরকীর আহবান পার না । যে জীবনে কোনো বড় প্রকাশ নেই, ক্ষুদ্র কথায় যে-জীবন ভরে উঠেছে, বিশ্বের দিকে যে-জীবনের কোন প্রবাহ নেই, তারা কেমন করে? তার মধ্যে থাকে! কি করে তারা মনে তৃপ্তি পায়। ( শাস্তিনিকেতন-পত্রিক, অগ্রহায়ণ) ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাল বংশের রাজত্বকালে বাংলার অবস্থা নেপালে গিয়ে শুল্লাম কলেজ-লাইব্রেরী আছে, তাতে অনেক পুথি আছে। দেখতে গিয়ে দেখি পুধি আছে ১৫• • বৎসব আগেকার, হাতের লেখ । ১৯৪৭ সালে রামচরিত পেলাম । রামচরিত ভীষণ বই, ৪ সর্গ, তার প্রত্যেক কবিতায় এক দিকে রামায়ণ অtর এক দিকে রামলীলা। কিছুই বোঝা গেল না । খসড়া ঠিক করে ছাপতে ১• বৎসর লেগেছে। এই রামপাল-চরিত বইখালীর প্রথম সর্গে ৩৬টি কবিতা আছে, তায় তিন পুরুষের ইতিহাস আছে। বিগ্রহ (? ) পাল ও তার দুই ছেলে রাজত্ব করেছিল। রামপাল-চরিতে ৫-৬০ বৎসরের ইতিহাস পাওয়া যায়। বোধ হয় একাদশ শতাব্দীতে গৌড়ে খুব প্রবল-পরাক্রাস্ত রাজা ছিলেন, ২ জন বড় বড় রাজা ১ • • বৎসর রাজত্ব করেন । একজনের নাম গাঙ্গেয় দেব, অর একজনের নাম কর্ণচেৰ্দী । এর বাঙ্গালার অনেক অংশে বিহার স্থাপন করেছিলেন, বীরভূমেও করেছিলেন, আর আর দেশেও করেছেন। বীরভূমে এদের উৎকীর্ণ লিপি পাওয়া যায়, মিথিলায় বহু উৎকীর্ণ লিপি পাওয়া যায় । রামপাল কর্ণচেীকে তাড়িয়ে দূর করে দিয়ে সমস্ত দেশে রাজত্ব করেছিলেন। সেজষ্ঠ রামপালকে বলে কলিকালের রাম, সন্ধ্যাকর নন্দী কলিকালের বাল্মীকি । এই রাজত্বের বিবরণ কতক উৎকীর্ণ লিপিতে, কতক রামপাল-চরিতে পাওন্স যায়, আর কোন জিনিষে পাওয়া যায় ন—আর পাওয়া ধায় তিব্বতে, তার খানিক ইতিহাস তিব্বত থেকে ক্লশিয়ায়, রশিল্পী থেকে জাৰ্ম্মানিতে, জাৰ্ম্মানি থেকে ইংলণ্ডে গেছে। সে-সকল বই থেকে কিছু কিছু পাওয়া যায় । এর থেকে আমাদের ইতিহাস হল । কিন্তু পাল বংশের আইন, ইতিহাস, সাহিত্য প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩• S AASAASAASAASAASAASAASAASAAMMAAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAA MAMAMAJA AMMMAeAMMAMMMAMMMMAMMAMAAAA [ २०* उfoj, २झ थ७ خنجیبی خیابیس گامبیا সম্বন্ধে বই আছে ; সে বই অধিকাংশ আমাদের দেশে নেই, আছে নেপালে । নাথদের খুজে খুজে মুলগ্রন্থ পেলাম, সেখানার নাম “মহাকোঁলজ্ঞানবিনির্ণর ” নাথপন্থী যার অাছে তারা একেবারে বৌদ্ধ নয়, এর কৌল। কেীল-সম্প্রদায়ের অনেকে শৈব ; ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ভিতরও অনেকে আছে। এই কৌল সম্প্রদায়, যাদের আমরা নাথ বলি, তাদের উৎপত্তি চন্দ্রদ্বীপে । চন্দ্রদ্বীপ-বরিশাল জেলা । সেখানে অনেক জেলে ছিল, সে জেলেদের উপাধি ছিল কৈবৰ্ত্ত কেবট ধীবর । মহাদেব সেখানে আবিভূর্ত চলেন, মহাদেবের স্ত্রী পাৰ্ব্বতী জ্ঞান বিতরণ করেন । জ্ঞান হারিয়ে গেলে—খোজ খোজ-কোথাও পাওয়া গেল ন । অনেক বইতে লেখে জ্ঞান কোলধৰ্ম্ম । তাই ত জ্ঞান কোপায় গেল ? পাৰ্ব্বতী বল্লেন-অমুক জায়গায় আছে। — তবেই হয়েছে ! কীৰ্ত্তিক সেটা সমুদ্রের জলে ফেলেছে। সমুদ্রের জলে পাওয়া গেল না। বড় বড় মৎসেন্দ্র ধীবর ছিল, তার জাল পাত ল। শেষে একটা মস্ত মাছ ধরা হল । তার পেট চিরে জ্ঞান বের করল। মহাদেব বল্লেন, জ্ঞান কাউকে দিবে না, কাৰ্ত্তিকও যেন টের না পায় । কিন্তু অtবার কীৰ্ত্তিক সেটা জলে ফেলে দিল। এবার খেয়ে ফেল্ল প্রকাও এক তিমি মাছ । মহাদেব জাল টানলেন, কিন্তু মাছ উঠে না ; যে জ্ঞানের বলে মহাদেব হয়েছেন সে জান যখন নেই, কি করে মাছ উঠবে ? শেষে পাৰ্ব্বতী সেটাকে উঠালেন। তার পেট থেকে জ্ঞান বেঙ্কল। তখন মৎস্যেন্ত্রের দল জ্ঞান পেল । এটা অনেক আগে সপ্তম শতাব্দীর শেষে কি ৮ম শতাব্দীর গোড়ায় । বইখানি একাদশ শতাব্দীর । সুতরাং আমি বুঝি এই নাথ যার বলে তার কৌল-ধৰ্ম্মাবলম্বী শৈব । দক্ষিণ ভারতে হিন্দুস্থান পাঞ্জাব ও নেপালে অনেক শৈব তছে ; কিন্তু এই নাথ-সম্প্রদায় বরিশালের বাইরে কেবল কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে আছে। এই নাথের বৌদ্ধ নাথদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মিশে গিয়েছে ; সে মিশার থেকে তাদের বহির করা কঠিন। আমরা ৮৪ জন নাথের উল্লেখ পাই। এই ৮৪ জনের মধ্যে কতকগুলি নিশ্চয়ই আমাদের কেীল নাখ, কতকগুলি বৌদ্ধ-বেীদ্ধেতে অীর শৈলে কতকটা মিলমিলি হয়ে গেছে — এ হ’ল প্রথম জিনিষ - পালেদের আগে । তার পর পালের উপস্থিত হল। রাজা ধৰ্ম্মপালের সময় দুই দল হয়েছিল। এই দুইদলে ৭ম শতাব্দীতে ক্রমাগত ঝগড়া কাটাকাটি মরমারি চলছিল । ঝগড় বেশী হলে যে দল হাৰ্বল তারা চীন মঙ্গলিয়ায় চলে গেল। খুব যখন ঝগড়া সে সময় ধৰ্ম্মপাল বাংলা দেশের, উত্তর ভারতের, রাজা হলেন । তিনি দেখলেন এই, ঝগড়া মিটাতে হবে ; সেজন্য চন্দ্রভাগ ( ) পণ্ডিতকে ধরলেন। তিনি বল্লেন, দেখ, এই ঝগড়া মিটিয়ে দেব। অস্তুত উপায়ে ঝগড়া মিটালেন । মূল গ্রস্থেব দুই টীকা ছিল, দুই টীকা একত্রিত করে তিনি এক টকা করলেন। সে ঢাকায় এই ঝগড়া মিটে গেল। কিন্তু অীর একটা জিনিষ এসে হাজির হল। এই যে শৈব ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে, এই শৈব ধর্মের অনেক জিনিষ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে পাই ; প্রথম জিনিষ মহাস্থবাদ । দেশে একজন রাজা ছিলেন, তিনি মহাসুখবাদ"এর মধ্যে বজ্রযান মত প্রচার করেন। তার পুত্র সিংহলে ও জামাই তিব্বতে প্রচার করতে গেলেন, মেয়ে দেশে রইল ; ছেলে জামাই মেয়ে বজ্রযান পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিল । বজ্রযানের কথ। এই—নিৰ্ব্বাণ পেলে কি অবস্থ হবে ? বুদ্ধ বলতেন জিজ্ঞাসা ক'র না, তুমি জন্ম জরা মৃত্যু এ বুঝতে পারলেই নিশ্চিন্ত থাক, তার বাইরে যাবার কোন দরকার নেই। কিন্তু মন তাতে তৃপ্তি লাভ কৰূল না, ক্ৰমে চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে