পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] প্রকার পরীক্ষার উল্লেখ আছে। গত শ্রাবণের প্রবাসীতে ভারতের প্রাচীন বিচার-পদ্ধতি শীৰ্ষক প্রবন্ধে উক্ত নয় প্রকার পরীক্ষার কথা বলা হইয়াছে । এই নয় প্রকার পরীক্ষার মধ্যে চালপড়া বা তণ্ডুলপরীক্ষা একটি । যখুঁ। — “ধটোইগ্নিরুদকঞ্চৈব বিষং কোষঞ্চ পঞ্চমম্। যষ্ঠঞ্চ তণ্ডুলাঃ প্রোক্তাঃ সপ্তমং তপ্তমাষকম। অষ্টমং ফালমিত্যুক্তং নবমং ধৰ্ম্মজং স্মৃতং।” - —বৃহস্পতি । কাত্যায়ন ও দিব্যতত্ত্বে আবার এই নয় প্রকার পরীক্ষার প্রয়োগ-বিধি ও মন্ত্রাদি বিস্তৃত বর্ণন আছে। সামান্ত চাউল উত্তমরূপে ধুইয়া শুষ্ক হইলে, দেবতার স্নান-জলে একটি নূতন মাটির পাত্রে উহা এক রাত্রি ডিজাইয়া রাখিবে। পরদিন বিচারক শুচি হইয়া বসিবেন এবং চোরের দলকে স্বান করাইয়া পূৰ্ব্বমুখে বসাইবেন। সামাজিক আয়বৃদ্ধির আয়োজন 8bసి পরে একখানি ভূৰ্জপত্রে বা অশথ-পাতায় এই মন্ত্র লিখিবেন,— আদিত্য-চন্দ্রাবনিলোহনলশচ দেীভূমিরাপে হৃদয়ং যমশচ। অধশ্চ রাত্রিশচ উভে চ সন্ধ্যে ধৰ্ম্মে হি জানাতি নরস্ত বৃত্তং । এই মন্ত্র-লেখা পাতা পর পর এক-একজনের মাথায় রাখিয়া, উক্ত ভিজান চাউল সামাগু চৰ্ব্বণ করিতে দেওয়া হয় এবং অন্যত্র একখানি অশথ-পাতায় চৰ্ব্বিত চাউল রাথিতে বলা হয়। এইরূপে ক্রমাম্বয়ে সকলকে এই নিয়মে চাউল চিবাইতে দেওয়া হয় । ইহাদের মধ্যে ধtহার চৰ্ব্বিত চাউলে রক্ত দেখা যাইত, সেই দোষী বলিয়া সাব্যস্ত হইত। চাউল চৰ্ব্বণ করিবার সময় দোষী ব্যক্তির তালু শুষ্ক হইয়া যাইত এবং সে কঁাপিতে থাকিত । শ্ৰী বিমলকান্তি মুখোপাধ্যায় সামাজিক আয়বৃদ্ধির আয়োজন যে ভোগ্য-সমষ্টিকে সামাজিক আয় বলা হয়, তা উৎপাদিত হয় তিনটি উপকরণের সাহায্যে —প্রকৃতি, মানুষ, ও মূলধন। সামাজিক আয় বাড়াতে হলে এই উপকরণগুলির পরিমাণ ( আলাদা আলাদা বা একসঙ্গে ) বা ভোগ্য-উৎপাদন-ক্ষমতা বাড়াতে হয়। প্রকৃতির কোনো সঞ্চিত ধন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তাকে খুঁজে বের করা ( যেমন, খনি, আকৰ্ষিত জমি, বা অল্প চেষ্টায় ব্যবহারযোগ্য হয় এমন জমি, জলশক্তি, ইত্যাদি), মামুষের শক্তির অপচয় নিবারণ করা, মামুষের লুকান ক্ষমতাগুলিকে ফুটে উঠবার স্থযোগ দেওয়া, মূলধন বৃদ্ধির চেষ্টা বা অপচয় নিবারণ, ইত্যাদি নানা ভাবে সামাজিক আয় বৃদ্ধির আয়োজন করা যেতে পারে। সামাজিক আয় বৃদ্ধির তিনটি উপায় সাধারণ ভাবে নির্দেশ করা যায়। ১ । আবিষ্কার, ২ । উদ্ভাবনা, ৩ । সংরক্ষণ । আবিষ্কার বলতে অজানা অবস্থায় অব্যবহৃত ভাবে যে-সব ভোগ্য বা তার উপকরণ পড়ে ছিল, তাকে কাজে লাগান বুঝায়। যেমন কোন নদীতে মাছ আছে তা আবিষ্কার কর!, বা এমন কোনো জলপ্রপাত খুজে বের করা যার শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করা যায়, অথবা কোন ঝরণার জলে ঔষধের কাজ হয় আবিষ্কার করা, ইত্যাদি । অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই আবিষ্কারকে উদ্ভাবনার সাহায্যে কাজে লাগাতে হয়। তবুও আবিষ্কারকে আলাদা করে? ধরাই উচিত। আবিষ্কারের জন্য সমাজের উচিত, কোথায় কি আছে দেখে খুজে বেড়াবার লোক নিযুক্ত করা। খনিজ পদার্থ কোথায় কি আছে, জলশক্তি কোথায় কিরূপ আছে, স্বাভাবিক অবস্থায় কোথায় কোন ভোগ্যের ভাণ্ডার পড়ে আছে, এই-সব খোজ করে বের করাই এদের কাজ হবে । তার পর উদ্ভাবনা । যন্ত্রের উদ্ভাবনা, উপায়ের উদ্ভাবনা, ব্যবহারের উদ্ভাবনা, সবই উদ্ভাবন। মানুষের বুদ্ধি সৰ্ব্বদাই অল্পশ্রমে কাজ সারবার উপায় খুজছে। এই থেকেই যন্ত্রের উৎপত্তি। পুরাকালে, দিনের পর দিন লিপে