পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8షా e একখণ্ড বই হত ; আর আজ, ৭ দিনে ১০,০০০ খানা বই বের করা অতি সাধারণ কাজ । এক্ষেত্রে মানুষ নিজের শক্তি সাক্ষাৎ ভাবে কাজে লাগাচ্ছে না। প্রথমে শক্তি দিয়ে তৈরী করছে যন্ত্র, তার পর যন্ত্র মামুষের জায়গা নিয়ে কাজ করে দিচ্ছে। আজকাল যন্ত্র তৈরী করার যন্ত্রেরও অভাব নেই। মানুষ শুধু মানসিক শক্তি খরচ করে, প্রকৃতি যন্ত্ররূপ ধারণ করে মামুষের কাজ বাকিটুকু সবই করে’ দেয়। নূতন নূতন উপায় উদ্ভাবন করে মানুষ সমান খরচে বেশী কাজ করে নিচ্ছে। উদ্ভাবনা যন্ত্রেরও হতে পারে, কাৰ্য্যপ্রণালীরও হতে পারে । যেমন ভোগ্য উৎপাদনের উপকরণ ও উপায়গুলি নানা ভাবে ব্যবহার করা যায় । ক-পরিমাণ প্রকৃতি ( অর্থাৎ প্রাকৃতিক জিনিস ) কপরিমাণ মানুষ (অর্থাৎ মামুযের শ্রম, মানসিক বা দৈহিক ) ও ক-পরিমাণ মুলধন দিয়ে থ পরিমাণ ভোগ্য উৎপাদন হয় ; আবার ; ক-পরিমাণ প্রকৃতি, 2ক পরিমাণ মানুষ ও ২ক-পরিমাণ মূলধন দিয়েও খ-পরিমাণ ভোগ্য পাওয়া যেতে পারে। হয়ত ২ক প্রকৃতি +২ক মানুষ +২ক মূলধন ২২থ ভোগ্য দান করবে। হয়ত ১•ক প্রকৃতি +৫ক মানুষ + ১০ক মূলধন ১৫খ ভোগ্য উৎপাদন করবে। কি উপায় বা প্রণালী অবলম্বনে সব চেয়ে বেশী লাভ হবে, মামুষের উদ্ভাবনা-শক্তি সৰ্ব্বদা তাই দেখছে । কি উপায়ে অপব্যয় ও অপচয় নিবারণ করা যায়, তা ঠিক করাও উদ্ভাবনার কাজ। কারখানায় কোনো বস্তু প্রস্তুত করতে গিয়ে সব সময়ই আমুষঙ্গিক নানা বস্তু বেরিয়ে পড়ে ; যেমন গ্যাস তৈরী করতে কোকু, অলকাৎরা ও কার্বন, বা তক্তা তৈরী করতে কাঠের গুড়ি । এ-সব আনুষঙ্গিক দ্ৰব্যগুলির ( Bye products ) সদ্ব্যবহার করতে পারলে লাভ আছে। এও উদ্ভাবনার ক্ষেত্র। এক মণ তেল পুড়িয়ে একটা চুল্পী জলতে পারে ; আবার সমানই তাপ দেয় এমন চুল্লীর উদ্ভাবনা হতে পারে যাতে মাত্র অাধ মণ তেল পুড় বে। তেল না হয়ে কয়লাও হতে পারে । ভোগ্যকে যেমন ভোগীর পক্ষে সহজলভ্য করে’ দিলে ভোগ্যের স্বাচ্ছন্দ্যদান-ক্ষমতা বেড়ে যায় (যথা, প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩•. SAMeMAMA AJASJA MMeSeM AMSMSMSAMM AMMAMAMJJMMMAMMMMMMM [ २०ष्णं खॉं, २ेन ५९) ‘নদীতে মাছ আছে ধরে খাও গিয়ে না বলে এই নাও মাছ’ বললে মাছ খাওয়ার স্থখ বেড়ে যায় ) তেমনি ভোগ্য উৎপাদনের উপকরণগুলিকেও সহজলভ্য করতে পাৰ্বলে লাভ আছে । মানুষকে যদি সব সময় “কোথায় ধান, কোথায় কয়লা, কোথায় পাট, কোথায় লোহা, কোথায় মূলধন,” ইত্যাদি চীৎকাব করে ঘুরতে হয় তা হলে উৎপাদন-কাৰ্য্য শক্ত হয়ে পড়ে । ঠিক কাজের জায়গায় ও সময়ে যদি উৎপাদনের উপকরণগুলি পাওয়া যায়, তা হলে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (এক বছর, ছমাস, যাই হোক) নির্দিষ্ট পরিমাণ উপকরণ দিয়ে বেশী ভোগ্য উৎপাদিত হতে পারে। অর্থাৎ কি না, উৎপাদনের উপকরণগুলি অচল অটল হলে সামাজিক আয়ের ক্ষতি হয় । কোনো জায়গায় লোহা অসংস্কৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তা গলিয়ে বিশুদ্ধ লোহা বের করার জন্য কয়লাও পাওয়া যায় ; অথচ যদি শ্রমজীবীরা সেখানে না যেতে চায়, বা গোড়ার বন্দোবস্ত ও কাজ স্বরু করার মত মূলধন না পাওয়া যায় বা বহুকষ্টে পাওয়া যায়, তা হলে সামাজিক আয়ের দিক থেকে ক্ষতি হবে। কাজেই সামাজিক আয়ের স্ববিধার দিক্‌ থেকে উৎপাদনের উপকরণগুলির অচল ভাব যত কমে আসে ততই ভাল । অর্থাৎ উপকরণের সচলতার উপর তার কার্য্যকারিতা বিশেষ ভাবে নির্ভর করে। যে-কোন কাজে উপকরণগুলি কি কি হারে ব্যবহৃত হবে এবং শ্রেষ্ঠ বন্দোবস্ত কি তা ঠিক করতে উদ্ভাবনা-শক্তির দরকার। সাধারণভাৰে উপকরণগুলিকে সচল করে তুলতেও উদ্ভাবনা-শক্তির প্রয়োজন। মূলধন ধার দেবার জন্যে যে-সব বন্দোবস্ত । আছে (যেমন ব্যাঙ্ক, লোন আফিস ইত্যাদি ; মহাজন কাবুলিওয়ালারাও বাদ পড়ে না), সেগুলি মূলধনকে সচল করে তোলে। আবার সংবাদ-প্রকাশ, দ্রুতগামী ট্রেন, ইত্যাদি, এরাও কাজের জায়গায় ও সময়ে উপকরণগুলিকে পৌছে দেবার সাহায্য করে। যেমন কৰ্ম্মখালির বিজ্ঞাপন দেখে লোকে কাজের জায়গায় রেলগাড়ী চড়ে’ হাজির হয়। নূতন খনি আবিষ্কৃত হয়েছে শুনলেই বা ংবাদপত্রে পড়লেই সেই দিকে সামাজিক মূলধন ও মানুষ ছুটুতে স্বরু করে । শিক্ষার অভাবে অজ্ঞানত বৃশ্বতঃ