পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা 1 অনেক সময় লোকে নিৰ্ব্বোধের মত মূলধন অকেজো অবস্থায় ফেলে রাখে ও শ্রম করতে সক্ষম হয়েও এবং সমাজে কাৰ্য্যাভাব না থাকৃলেও লোকে নিজের বাসস্থানে কাজবিহীন অবস্থায় কষ্ট পায় । শিক্ষা মানুষের মনকে উদ্যোগী ও সজাগ করে তোলে ; শিক্ষাই মানুষকে অনেক দূর অবধি দেখতে শেখায়। শিক্ষার বিস্তার মুলপ্ৰল ও মানুষকে সচল কলে’ তোলে। উৎপাদনের উপকরণগুলিকে সচল করে তুলতে হলে শিক্ষাব একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে মূলধন সচরাচর বিনা কাজে ও কোনো ফল প্রসব না করে’ পড়ে' থাকে। মূলধন সচল করে তুলতে হলে আরও ব্যাঙ্কের প্রয়োজন, এবং সেই-সব ব্যাঙ্ক জাতীয় কারবারগুলিকে মূলধন সরবরাহ করে বাড়িয়ে তুলবে। শ্রমজীবীকে সচল করে তুললে ও শিক্ষা দিলে, নানা প্রকার কাজে সহজেই কাৰ্য্যক্ষম লোক পাওয়া যাবে এবং ফলে সামাজিক আয় বেড়ে চলবে। দেশের বেশীর ভাগ লোকই বছরের বেশীর ভাগ সময় বসে থাকলে সমাজের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি অসম্ভব। কাজেই সমাজের প্রধান সম্পত্তি যে মানুষের শ্রম তার অপচয় নিবারণ সৰ্ব্বাগ্রে দরকার । স্বগৃঙ্খল ও সংঘবদ্ধভাবে কাজ করলে কাজ বেশী হয়। এই স্বশৃঙ্খলতা ও সংঘবদ্ধতাও উদ্ভাবনার ফল। কারবারের আয়তন, শিল্প অনুসারে, ছোট বড় হলে কাজ কম খরচে হয়। যেমন ছবি আঁকার কাজ— হাজার খানেক চিত্রকর এক ঘরে বসে’ কেউ আকাশটুকু আকৃছে, কেউ জলটুকু আকৃছে, কেউ গাছগুলি অীকৃছে, এ প্রকারে শ্রমবিভাগ করে হয় না। ছবিতে, চিত্রকরের মনের ভিতর যে ভাব আছে, তাই রংএর ও রেখার সাহায্যে ব্যক্ত হয় বলে’ তাতে শ্রমবিভাগ চলে না। একজনের সৌন্দৰ্য্যবোধ অপরের চেয়ে এমন ভিন্ন রকমের হতে পারে, যে, দুইয়ের মিশ্রণে কদৰ্য্যতা স্বই হওয়া আশ্চৰ্য্য নয়। কিন্তু অন্য কোনো শিল্পে শ্রমবিভাগ ও বৃহৎ আয়তনের কারখানাই শ্রেষ্ঠ বন্দোবস্ত হতে পারে। যেমন গ্যাস প্রস্তুত। এক্ষেত্রে যদি প্রত্যেক tHD TCLLL uL Lu HHH Hu u u সামাজিক আয়বৃদ্ধির আয়োজন 8sS معماری مایع مس -میر করে, তা হলে গ্যাসের জন্য খরচ হবে অসম্ভব রকম । এক্ষেত্রে অনেক লোক ও অনেক মুলধন একত্র করে বহু পরিমাণ কয়লা জোগাড় করে’ গ্যাস্ প্ৰস্তুত করলে গ্যাস সস্তায় হবে এবং আনুষঙ্গিক মালগুলিও বিক্রয় করে ব্যবসা আরও লাভবান হবে । বলাই বাহুল্য, যে, এইসব ক্ষেত্রে শ্রমজীবীদের কেউ শুধু কয়লা বইবে, কেউ চুল্লী ঠিক রাখবে, কেউ অন্য কাজ করবে, অর্থাৎ শ্রম বিভাগ করে” কাজ হবে। তার পর কি ভাবে বেতন দিলে কাজ ভাল পাওয় যায়, কি পরিমাণ বেতন দিলে শ্রমজীবী কৰ্ম্মক্ষম থাকে, কি ধরণে ব্যবসা করলে বৃহৎ আয়তনের কারবার সম্ভব হয় ( যৌথ কারবার, সমবায় ইত্যাদি ), কি ভাবে শ্রমজীবীদের কাজ করালে যন্ত্র ( মূলধন ) হতে বেশী কাজ পাওয়া যায়, কতক্ষণ কাজ করলে ও কি ভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করলে কৰ্ম্মক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকে, ই হ্যাদি ঠিক করতেও উদ্ভাবনাশক্তির ও তত্ত্বাতুসন্ধানের প্রয়োজন । সামাজিক সম্পত্তি যেটুকু আছে, যা থেকে সমাজের উপকার স্থায়ী ভাবে হতে থাকে, সেটুকুর সংরক্ষণ দরকার। যেমন বন জঙ্গল সংরক্ষণ, নদী ভরাট না হয়ে যায় দেখা, বা মানুষের স্বাস্থ্য ও সকল প্রকার ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখা, ইত্যাদি । শেষ কথা এই, যে, আবিষ্কার, উদ্ভাবনা ও সংরক্ষণ, সাধারণতঃ সবই পরস্পরের সাহায্যে হয় এবং সবগুলিই সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে প্রয়োজনীয়। কোনটি বেশী, কোনটি কম, আলোচনায় লাভ নেই। উৎপাদনের উপকরণগুলি ( প্রকৃতি, মানুষ ও মূলধন ) কি ভাবে ব্যবহার করলে তাদের দ্বারা সব চেয়ে বেশী উৎপাদন করা যেতে পারে এবং তাদের সচল ( অর্থাৎ ঠিক্‌ স্থানে ও কালে পাওয়ার উপায় ) করে তুলবার কি কি ব্যবস্থা সমাজে আছে, দেখবার আগে ভোগ্যের দাম (টাকায় ) কি ভাবে সমাজে নির্দিষ্ট হয়, তা দেখা দরকার। দাম কথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে—মূল্য নয়—তার কারণ মূল্য কথাটির সঙ্গে লোকে সাধারণত: প্রয়োজনীয়তার একটা সম্বন্ধ আছে বলে ধরে নেয়। পাছে প্রয়োজনীয়তা ও মূল্য fars reffAufA ss. rxSass rU vifaarte Ftæi ræfra“