পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83sb" AMAMAMAMAeAMAMMA AMMMAAA AAAA AAAA AAAA MMAMAMM AMAAA AAAA AAAAe ভরাট হইয়া যাইতেছে, পূৰ্ব্বের স্বাভাবিক জলনিকাশে বাধা পড়িতেছে। কারমাইকেল টেঙ্ক কটাইয়। এইরূপ বাধা ঘটিয়াছে কি না, দেখি নাই। যদি পূর্বে সেখানে ডোবা ছিল, নীচু জমি ছিল, তাহ হইলে বোধ হয়, এখন এই পুকুরে পাড়ার জল জমিয়া থাকে । বঁকুড়ায় পচা এ ধো ডোব দেখিয়ছি। মাটি দিয়া ভরাইতেই হইবে। কারমাইকেল টেঙ্কের জল পচিয়া গিয়াছে। হয়, উহার চারি পাড়ের বাড়ী ভাঙ্গিয় সমভূমি করিয়া উহাকে অরোমে পরিণত করিতে হইবে । না হয়, পাড়ার জলের জন্ত পথ খুলিয়া দিয়া উহাকে প্রাচীর দিয়া খিবিয়া দিতে হইবে । দুই কল্পেই অর্থব্যয় । শুনিয়াছি, কাটাইতে অনেক টীকা খরচ হইয়াছে, উহার দোষ সংশোধন নিমিত্ত পরে অtর কত টাক লাগিবে ভtবিবার কথা । ২। প্রতিবাদে অন্ত যে তিনটি বিষয় লিখিত হইয়াছে, তাহার উত্তর অনাবখ্যক । কারণ প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার আলস্ত, নিশ্চেষ্টতা, কষ্টসহিষ্ণুতা স্পষ্ট প্রমাণিত হইতেছে । ডাকঘরের কথা বলি। আমি তখন বাঁকুড়ার ব্যাপার জtfনতাম না । মনি-অর্ডার পঠাইতে গিয়। আমার পত্রবাহক পুনঃ পুনঃ ফিরিয়া আসিত, বলিত ডাকঘরে এত ভিড় যে সেদিন কাজ হইতে পারিল না। এইরূপ, বীর বীর গুনিবাব পর একদিন নিজে গিয় ডাকঘরের বারাওtয় ১টা হইতে ৩টা পৰ্য্যন্ত ষ্ট্ৰীড়াইয়াছিলাম, মনি-অর্ডার পাঠাইতে পারিলাম না । প্রথমে মনে হইল কেরাণীর ক্ষিপ্রতার অভাবে লোকের ভিড় হইতেছে। পরে বুঝিলাম ওঁtহার দেtল দিলে চলিবে না, মামুযের কৰ্ম্ম-সামর্থেরও সীমা আছে । একদিন নয়, দুইদিন নয় ; এক ঘণ্ট নয়, অtধ ঘণ্টা নয় ; প্রত্যহু ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই কৰ্ম্ম করিতে করিতে, হয় নিজীব যন্ত্র, নয় পাগল হইবার কথা । টকা-কড়ির কৰ্ম্ম : বুদ্ধি জাগ্রত রাখিতে হয়। নইলে ভুল ; ভুলের পর ভৎ সনা, ভৎসনাব পর জরিমান, জরিমানার পর বেতন হ্রাস ব| কৰ্ম্মহানি, ইত্যাদি ইত্যাদি বিভীষিকার স্রোত প্রবল । আঞ্চদিকে মাসের শেষে কয়েকটা টাকা—যাহাতে অতিকষ্টে দিনযাত্র। নিৰ্ব্বাহ হয়। ফলে পাগলামি, অর্থাৎ মেজাজ খিট-পিট হইয় পড়ে, অধিকার-মদের মত্ততার লেtভ জন্মে। দৈব হউক, স্বকৰ্ম্ম হটক, নিজের প্রতি অসন্তোষ, থিট-খিটু ব্যবহারে প্রকাশিত হয় আর, অধিকার-মদ নীচে যত, উপরে তত লয় । কনষ্টবলেব যত, দারোগীর তত নয় : দ্বারোগীর যত, ডেপুটী হাকিমের তত নয় ; এইরূপ অধিকার অল্প হইলে মত্তত অধিক হয়, আইনের ধারা প্রচণ্ড হইয় উঠে । কারণ, ব্যাপ্তির অভাবে তৃপ্তি অল্প পরিসরে আবদ্ধ হয় । উৎকোচ গ্রহণ, তৃপ্তির অীর-এক পথ। উপরি পাওনার প্রবল আকাঙ্ক্ষার প্রধান হেতু এই। দোকানে খরিদ্ধারের যত ভিড় হয়, দোকানীর মুখে হাসি, বাক্যে বিনয় তত ফুটিয় উঠে। কিন্তু রেলষ্টেশনের টিকিটকট বাবুর, আদালতের মামলা-মুহুরীর চিত্ত কাজের ভিড়ে অপ্রসন্ন হইয় উঠে। কড় হুকুমে, যুদ্ধ বন্ধ হইতে পারে না, অবিনয়ও অন্তৰ্হিত হয় না। বেতনের সঙ্গে কমিশনের অর্থাৎ উপরি লাভের আশ্চৰ্য্য গুণ ইংরেজ ব্যবসায়ী বিলক্ষণ বুঝে। ইংরেজ সরকার বুঝেন না কেন ? ইত্যাকার চিন্তা চলিতেছে, এমন সময় শুনিলাম, "তিনটা বেজেছে, অীজ আর इएष ना ” उथन७ श्राप्ने म* छन थार्थो मैंiप्लांश्ञ| ; झश् ७क खन আমার আগে আসিয়ছিল । “তিনটা”,—এই ধ্বনির নিকট যুক্তি চলে না, কাল ও সাগর-বেল কাহারও অপেক্ষীয় থাকে না । লোকগুলি বিরক্ত-মিরক্ত হইয়৷ চলিয়া গেল। একজনের উক্তি শুনিয়া কৌতুক অমুভব করিয়াছিলাম। “চিরকালই এক !” কারণ মনিঅর্ডার-বাবুর দোষ নাই, দোষ তাহার নিজের । কাল এক নয়, নিত্যপরিবর্তিত : সে মনে করিতেছিল এক । প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৯ MMAMAeeMAMMAMAMAMAMMAAAA { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রতিকার জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলিয়ছিলেন, "লোকে কষ্ট ভুগিয়াও কিছু বলে না, আমরা কি করিব। পচিশ বছর আগে পীচ জন কেরাণী ছিল, এখনও পাঁচ জন।” কৰ্ত্তার। আমাদের কথা শোনেন না, Ron Public complaint कझे । fës poli, Public complaint es ? कट्टेमश्मूिठ अभिांप्मन्न বার আন কষ্টের কারণ। কষ্ট লাঘবের উপায় চিন্তা করি না ; মনে করি জন্মিলে যেমন মরণ আছে, দুঃখভোগ তেমনই স্বাভাবিক। অলড়ি দেশে সাড়া পাইলে আনন্দ হয়, প্রতিবাদ পাইয়া অামার আনন্দ হইতেছে। আমি ভুল লিখি, আর যাহাই লিখি, কিছুই যায় আসে না । যায় আসে দুঃখ-অনুভবের অভাবে । শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় “বাংলায় প্রথম আৰ্দ্ধসপ্তাহিক” আনন্দবাজারেব পূৰ্ব্বে কয়েকখানি অৰ্দ্ধসাপ্তাহিক কাগজ বাঙ্গল ভাযtয প্রকাশিত হইয়াছে, যথা :– ধুমকেতু (২৩শে শ্রাবণ ১৩২৯ ), বিশ্ববাণী, স্বনীতি ( চট্টগ্রামের ) । বাহার চট্টগtমেব “হনীতি” পত্রিকাই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রথম আৰ্দ্ধসপ্তাহিক (?), উহ। ১৩২৯ সালের প্রথম হইতে প্রকাশিত । শ্ৰী করুণাশেখর দত্ত অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে বিবিধ প্রসঙ্গে উল্লিখিত শিরোনামায় ‘অ’ লিথিয়াছেন – "আনন্দ-বাজার পত্রিকার পরিচালকেরা উহাদের কাগজের আর্থ সপ্তাহিক সংস্করণ বাহির করিতে মনস্থ ?) করিয়াছেন। আমরা যতদূব জানি, বাংলা অৰ্দ্ধদপ্তাহিক (?) কাগজ এই প্রথম ......” 姆 8 ● ● ● 路আনন্দবাজারের পূর্বে অলুন ৫খন বাংলা অৰ্দ্ধদীপ্তাহিক পত্র বাহির হইয়াছিল – (১) সমীচীর-চন্দিক ( ১৮২২ । । (৩) সংবাদমজনরঞ্জন ( ১৮৪ • ) । (৪) ধূমকেতু (১৯২২) । এ-ছাড়া আরো যে ২১ খান ছিল না, তা" বলা যায় না |•••••• শ্ৰী রাধাচরণ দাস পত্ৰলেখক মহাশয়ের একটু মনোযোগ দিয়া মন্তব্যটি পড়িলেই বুঝিতে পারিতেন যে এখানে দৈনিক কাগজের আর্দ্ধদপ্তাহিক সংস্করণের কথা বলা হইয়াছে, স্বতন্ত্ৰ আৰ্দ্ধদপ্তাহিক কাগজের কথা বলা হয় নাই। দৈনিক কাগজে যে লেখাগুলি বাহির হয়, সেইগুলি একত্র করিয়া সপ্তাহে দুইবার একটি সংস্করণ বাহির করার রীতি ইংরেজী কাগজের ( যথা বেঙ্গলীর ও অমৃতবাজারের ) আছে। বাংলা দৈনিক কাগজের এইরূপ সাপ্তাহিক সংস্করণ আছে ( যথা বসুমতীর, হিতবাদী যতদিন দৈনিক ছিল ততদিন হিতবাদীর), কিন্তু আৰ্দ্ধদপ্তাহিক সংস্করণ যতদূর জানি বোধ হয় ছিল না । অগ্রহায়ণের প্রবাসীর স্বল্প-পরিসর মন্তব্যটির আগে-পরের বাক্যে সংস্করণ কথাটি আছে, কিন্তু মন্তব্যটির মধ্যে “এ ধরণের কথাটি পড়িয়া গিয়া বোধ-সৌকর্য্যের হানি ঘটাইয়াছে দেখিতে পাওয়া যাইতেছে। শেষের পত্ৰলেখক সংস্কৃত-জ্ঞানের পরিচয় দিয়া আমাদের ব্যবহৃত “আৰ্দ্ধদপ্তাহিক” ও “মনস্থ পদ দুইটিকে নিজেই সংশয়-চিহ্নে অঙ্কিত (২) রসরাজ ( ১৮৩৯ ) । (৪) সংবাদ-রত্নীকর (১৮৪৭ )