পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઇર્ષ সংখ্যা । আলোচনা – প্রযুক্ত 'অৰ্দ্ধসপ্তাহিক পদই অশুদ্ধ, আমাদের প্রযুক্ত আৰ্দ্ধদপ্তাহিক ও তাহার বৈকল্পিক রূপ ‘অৰ্দ্ধসপ্তাহিক’ এই দুইটিই ব্যাকরণ-সম্মত। অৰ্দ্ধাৎ পরিমাণস্ত পুৰ্ব্বস্ত তু বা ; নতঃ পরস্ত' (পাণিনি ৭-৩-২৬ ও ২৭ ) । মনঃস্থই যে আদিম সংস্কৃত রূপ তাহ কে না জানে, কিন্তু বাংলায় মনস্থই উচ্চারণতঃ ও অভিধানতঃ শিষ্টপ্রয়োগ বলির স্বীকৃত । ( দ্রষ্টব্য --রামকমল বিদ্যালঙ্কারের প্রকৃতিবাদ অভিধান, জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বtঙ্গলা ভাষার অভিধান, ও সাহিত্যপরিষৎ-প্রকাশিত যোগেশচন্দ্র রায়ের বাঙ্গালী শব্দকোষ ) ] “আ 93. গৌড় ব্রাহ্মণ গৌড় ব্রাহ্মণ সম্বন্ধে আজকাল “প্রবাসী "বঙ্গবাণী" প্রভূতি মাসিক পত্রিকাগুলিতে আলোচনা চলিতেছে । পাঁচকড়ি বন্দ্যেtপাধ্যায় মহাশয় অশ্বিন মাসের "বঙ্গবাণী” পত্রিকায় ‘বাঙ্গ|লীর জাতি পরিচয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছিলেন। ঐ প্রবন্ধ কাৰ্ত্তিক সংখ্যা “প্রবাসী" পত্রিকায় পুনমুদ্রত হইয়াছে । উক্ত প্রবন্ধের মধ্যে তিনি লিখিয়াছেন "বাঙ্গালীর কুলীন ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ ইহার কেহই খাটি বঙ্গলী নহে। ইহার কাগুকুঞ্জ হইতে আমদানী-ক4 মানুষ । স্কন্দপুরাণ অনুসারে ভারতবর্যে বৌদ্ধযুগের পরে পুন: ব্রাহ্মণ্য-প্রতিষ্ঠার কালে দশবিধ ব্রাহ্মণ মাস্ত ও গ্রাহ হইয়াছিলেন ; আধ্যাবৰ্ত্তের পঞ্চ গৌড় এবং দক্ষিণাত্যেক পঞ্চ দ্রাবিড় ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণ্য-মৰ্য্যাদা লাভ করিয়াছিলেন । পঞ্চ গৌড়ের মধ্যে গৌড় উৎকল মৈথিল সারস্বত এবং কান্তকুজ এই পঞ্চ শ্রেণীর মান্ত । গৌড় ব্রাহ্মণই খাটি বাঙ্গালাব ব্রাহ্মণ অথচ এখন বাঙ্গালাদেশে একটিও গৌড় ব্রাহ্মণ পাইবেন না।” এদিকে ঐীযুক্ত হরিলাল চট্টোপাধ্যায় মহাশয় তাহার “ব্রহ্মণ-ইতিহাস" নামক পুস্তকের ৩৪শ পৃষ্ঠায় কাগুকুঞ্জ হইতে আগত রাটী বারেন্দ্র ব্রাহ্মণকে ‘গৌড় ব্রাহ্মণ' বলিয়াছেন । বঙ্গদেশে খাটি গৌড় ব্রাহ্মণ বৰ্ত্তমানে আছেন কি না এবং বর্তমানে কোন ব্রাহ্মণ-সম্প্রদায় খাটি গৌড় ব্রাহ্মণ তাঁহাই আলোচ্য। যে সময়ে মনুসংহিতাব রচনা হয সে সময় বঙ্গদেশে ব্রাহ্মণাবাদ হয় নাই ; তীর্থযাত্র-প্রসঙ্গ ভিন্ন বঙ্গদেশে দ্বিজাতিগণের গমনাগমন নিযিদ্ধ হইয়াছিল। কিন্তু পরবত্তীকালে মহাভারতীয় যুগের পুৰ্ব্বে বঙ্গদেশে ক্ষত্রিয় রাজগণের আবাস প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল এবং উহাদের প্রয়োজনবশতঃ সঙ্গে সঙ্গেই ব্রাহ্মণবাস হইয়াছিল। মনু মহারাজের নিষেধ বাক্যের প্রতিষেধ হইয়াছিল । মহারাজ যুধিষ্ঠিরের আদেশে ভীমসেন পেও,াধিপতি বাসুদেব ও বঙ্গাধিপ সমুদ্রসেনকে পরাজয় করিয় রাজস্বয় যজ্ঞে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আইসেন। অতএব ৪• • • হাজার বৎসর পুর্বে বঙ্গদেশে ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়েব বসবাস হইয়াছিল । মহারাজ যুধিষ্ঠির তীর্থযাত্রাকালে অঙ্গে বঙ্গে ও কলিঙ্গে যঞ্জীয়গিরিশোভিত সতত-দ্বিজসেবিত পুর্ণ অর্যাক্ষেত্র সন্দশন করিয়tছিলেন, যথা— “এতে কলিঙ্গাঃ কৌন্তেয় যত্র বৈতরণী নদী। যত্রাযজত ধৰ্ম্মোহপি দেবাঞ্ছরণম্ এত বৈ ৷ ঋষিভিঃ সমুপযুক্তং যজ্ঞীয়-গিরি-শোভিতম্। উত্তরং তরম্ এতা ধি সততঃ-দ্বিজ-সেবিতম্৷”--বনপৰ্ব্ব । কলিঙ্গদেশ গঙ্গানদীর মোহান হইতে কৃষ্ণানদীর মোহন পৰ্য্যস্ত fo foi ( Indian Shipping, p. 144) : মহাভারতীয় যুগের অবসালে ও কলির প্রারস্তে মাহ্যিবtঞ্জস্তবর্গ কর্তৃক তাম্রলিপ্ত রাজ্য MAAS AAAAAS SASAAAAAS AAAAAS AAAASS AAAA S AAAAA MMS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S গোঁড় ব্রাহ্মণ 8సిన్ SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSMMM MM eS eSM MM SAS A SAS AAA AAASA SAASAASAASAASAAAS ۔یہ .م-جی. --محمی ۔۔ ۔می x سی م^rصہ বিচ্ছিন্ন হইয়া ছিন্নাবয়ব কলিঙ্গরাজ্যের সীমা সুবর্ণরেখা নদীর দ্বার সীমাবদ্ধ হইয়াছিল । “অঙ্গ-চ কলিঙ্গস্তন্ত্রলিপ্তকা ।”—হরিবংশ অতএব তাম্রলিপ্তেব পাশ্বেই কলিঙ্গ দেশ ছিল দেখা যাইতেছে। তাম্রলিপ্ত রাজ্য বিচ্ছিন্ন হইবার পর কলিঙ্গ দেশের উত্তরাংশ স্বাধীন হইলে "উৎকলিঙ্গ বা উৎ কল” স্বতন্ত্র রাজ্য গঠিত হইয়াছিল । পৌবাণিক যুগের পর খৃঃ ৭ম শতাব্দীতে চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ, ভারত-ভ্রমণে অসিয়া দেখিয়ছিলেন যে দক্ষিণ বঙ্গের রাজধানী তমলুক ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মে আলোকিত ছিল। বৌদ্ধমঠ অপেক্ষ পঞ্চগুণাধিক হিন্দু দেবমন্দিরের উচ্চচুড়ায় মুশোভিত ছিল । এই-সমস্ত দেবমন্দিরের সেবক ব্রাহ্মণগণ গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ । বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই তমলুকের পুর্ব-গৌধব-গাখ৷ গাহিয়াছেন। এই তমোলুক হইতেই মহিষ্য রাজস্যবর্গ গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ সহ সমগ্র ভারতসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে উপনিবেশ স্থাপন করিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম প্রবর্তিত করিয়াgBBBSBBB BBBBB BBBB BBBBB BBBBB BBBBBB S চীন দেশীয় পৰ্য্যটক ফাহিয়ান খৃঃ ৪ৰ্থ শতাব্দীতে যবদ্বীপে বৌদ্ধধৰ্ম্মবিদ্বেষী বঙ্গ সংখ্যক হিন্দুব্রাহ্মণ দেপিয়া যান। ইষ্ঠীরাও গৌড়ীয়-ব্রাহ্মণ-বংশধর । ভারতে দশপ্রকার ব্রাহ্মণ বৰ্ত্তমান আছে, যথা— সারস্বতীঃ কান্তকুজী গৌড় মৈথিলোৎকলাঃ । পঞ্চগৌড়ঃ সমাখ্যাত বিন্ধ্যস্যেক্তিরবাসিনঃ ॥ কর্ণাটীশ্চৈব তৈলঙ্গ ৷ গুর্জররাষ্ট্রবাসিনঃ ॥ অন্ধ শ প্রাবিডাঃ পঞ্চ বিদ্ধ্যদক্ষিণবাসিনঃ ॥—স্বন্দপুরাণ সাবস্বত কান্তকুঞ্জ গৌড় মৈথিল ও উৎকল ব্রাহ্মণগণ বিন্ধ্যগিরির উত্তরদিশ্বাসী পঞ্চগৌড়ী আর কর্ণাট তৈলঙ্গ গুর্জর অন্ধ, ও দ্রাবিড় ব্রহ্মণগণ ধিগ্ধ্যগিলির দক্ষিণদিশ্বাসী পঞ্চদ্রাবিড়ী । রাঢ়ীয় বরেন্দ্র ঠাকুবগণের পূর্বপুরুষ ব্রাহ্মণ পঞ্চক যখন বঙ্গদেশে আগমন করেন নাই, যপন বঙ্গেল সমস্তরাজ শ্যামলবৰ্ম্মদেব উtহার শাকুমসত্র সম্পাদন করিবাব জন্য পাশ্চাত্য বৈদিক ঠাকুরগণের আদিপুরুষ শুনক-গোত্রীয় যশোধব মিশ্র মহাশয়কে অtহান করেন নাই, এমন কি মুসলমান-দুন্দুভি দিল্লীৰ দ্বারে মগন প্রতিধ্বনিত হয় নাই এবং গজনির মামুদ ভারত আক্রমণ কবিবার জন্ত সিন্ধুনদী অতিক্রম করিতেও সাহসী হন নাই, সেই সময়ের বহুপূৰ্ব্ব হইতে বঙ্গদেশে গৌড়ীয় ব্রাহ্মণগণ আর্য্যসমাজের কর্ণধার ছিলেন : ৮ম শতাব্দী হইতে পালবংশীয় রাজাধিরাজ গোপালদেব হইতে আরম্ভ করিয়া ১১শ শতাব্দীতে মদনপাল পর্য্যস্ত গৌড়রাজলক্ষ্মী পাল-বংশের অঙ্কশায়িনী ছিলেন । শাণ্ডিল্য গোত্রীয় বেদপারগ গৌড়ীয় ব্রাহ্মণগণ বংশাবলীক্ৰমে পলি-রাজবংশের মস্ত্রী ছিলেন । দিনা র গরুড়-স্তস্তে ২৮টি শ্লোকে উক্ত মস্ত্রীবংশের ক্ষমতা ও যশোগtথী কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । পালবংশীয় নৃপতিগণ বৌদ্ধমতাবলম্বী হইলেও তখন বৌদ্ধধর্মের খরস্রোতের বেগ মৰ্ম্মীভূত হইয়া আসিতেছিল এবং ধীরে ধীরে সাধারণের মনে ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের প্রভtল পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইতেছিল। তাই দেখিতে পাই বৃহস্পতি-তুল্য কেদার মিশ্রের যজ্ঞস্থলে সাক্ষাৎ ইন্দ্রতুল্য শত্রুসংহারকী নানা-সাগল-মেখলাভরণা বস্থঙ্করার চিরকল্যাণকামী শ্ৰীশূরপাল নরপ{ল স্বয়ং উপস্থিত হইয়। অনেকবার শ্রদ্ধসলিলা ত হৃদয়ে নতশিরে পবিত্র ( শান্তি ) বারি গ্রহণ করিয়াছিলেন । যে ব্রাহ্মণদিগের নীতিকৌশলে পালরাজগণ নৃপহস্তীর মদজলসিক্ত শিলাসংহতিপূর্ণ নৰ্ম্মদীর জনক বিন্ধ্যপৰ্ব্বত হইতে আরম্ভ করিয়া মহেশ-ললটশোভিত ইলুকিরণেউদ্ভাসিত হিমাচল পৰ্য্যস্ত এক স্বর্যের উদয়স্তকালে অরণরাগে রঞ্জিত জলরাশির অধীর পূর্ব ও পশ্চিম সমূত্রের মধ্যবৰ্ত্তী সমগ্র ভূভাগ করপ্রদ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, সেই ব্রহ্মণ্য-শক্তির আশ্রয় না লক্টলে পাল