পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা 1 বেনো-জল Gł o ) SMMMAMAM MAMMA AMAAMMASJMSMAMMM MMAMMMMMJAAA AAAA SAAAAAS MMMSMMMMMeMAM AAAA AAAASAASAASAASAASAASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASAASAA AAAA SAAAAA AAAAMMAAAS AAASASASS নাম। সকল বাড়ীর বড় মেয়েই জেঠি, মেজ মেয়ে মাইলি, সেজ মেয়ে সইলি, ছোট মেয়ে কাঞ্চি।” এই ধারণাটি একেবারেই ভুল । আমাদের মধ্যেও প্রথম কস্তাকে বড়, মধ্যমাকে মেজ, তৃতীয়াকে সেজ এবং কনিষ্ঠীকে ছোটই বলা হইয়া থাকে। তবে পাহাড়ীদের এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য এইটুকু, আমরা বড় 'মেজ' সেজ’ বা 'ছোট” বলিয়! কাহাকেও ডাকি না, কিন্তু ইহার তাহ করে। এগুলিকে ‘নাম বল*িযায় বলিয়া আমার মনে হয় না । ইঙ্গীদের প্রত্যেক পরিবারের প্রত্যেক মেয়েরই একটি করিয়া নিজস্ব নাম আছে । তবে নিতান্ত প্রয়োজন বোধ না করিলে সে নামে ইহাদিগকে ডাকে না । স্বধু মেয়েদের বেলায় নয়, পুরুষদের বেলাযও ইহার কোনও ব্যতিক্রম হয় না ; তাহাদিগকে "জেঠী' 'মায়লা’ ‘সায়ল', “কঁtয়লা,’ ‘অস্তরে "যন্তরে মস্তরে ‘কাঞ্ছ’ ইত্যাদি ক্রমেই ডাকা হয় । বিবাহের পরে ইহার মেয়েদের নাম ধরিয়া ডাকিতে লজ্জা বেtধ করে। সেইজন্য মেয়ের স্বামী যদি শ্বশুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র হয় এবং তাহার পদবী যদি ‘কুসুয়াব’ হয় তাহ হইলে বিবাহের অব্যবহিত পরেই মেয়ে সে পিতার বড় মেজ ছোট যে মেয়েই হউক না কেন জেঠি হনুয়ারনী বলিয়া অভিহিত হয়। অবগু ইহা কেবল জ্যেষ্ঠ পুত্র এব" "হুনুয়ার ভীতির পক্ষেই মহে ; পরস্তু যে-কোন পুত্র এবং যে-কোন জাতির মধ্যেই এইবাপ হয় । প্রবন্ধে আছে, “ছোট মেয়ে কাঞ্চি,” ক (ট ‘কাঞ্চি নহে, “কাঞ্ছি" । পরিশেষে বক্তব্য, যদি নেপালবাসী নেপালী এবং দার্জিলিংপ্রবাসী নেপালী ছাড়া অদ্য কোনও ‘পাহাড়ী দেব কথা প্রবন্ধে লেখা হইয়া থাকে, তাক হইলে স্থা;শব এ প্রতিবাদ নিবর্থক, কারণ অঙ্ক স্থানেব পাহাড়ীদের সম্বন্ধে কিছু জানার সৌভাগ্য আমার আজি প{্যন্তও হয় নাই । * _ سير---

  1. বারিদ কান্তি বস্থ

বেনে-জল বিশ বৈকালের পরেই সকলে আবার পুরীর দিকে যাত্রা করলেন । আনন্দ-বাবুর মোটেই এত তাড়াতাড়ি ফেরবার ইচ্ছ। ছিল না, কিন্তু সুমিত্র যখন বাৰ বার অভিযোগ করতে লাগল যে, তার শরীর বড় খারাপ হয়ে পড়েছে, সে আর এক ঘণ্টাও এখানে থাকুতে রাঙ্গি নয়, তখন তাকে বাধ্য হয়েই ফিরতে হ’ল । গরুর গাড়ী পুরীর দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হু’ল, আনন্দ-বাবু তখনে কণারকের শু্যামল ছবির পানে পিপাসী চোখে তাকিয়ে রইলেন । কিন্তু সে ছবির স্নিগ্ধ রং সন্ধ্যার অন্ধকারে দেখতে দেখতে নিঃশেষে মুছে গেল ; আনন্দ-বাবু দুঃখিতভাবে একটি নিশ্বাস ফেলে বললেন, “শুনছ রতন ?” পাশের গাড়ী থেকে রতন সাড়া দিলে, “আজ্ঞে ?” —“আবার আমরা কণারকে আস্ব !” —“বেশ তো, আমার তাতে কোনই আপত্তি নেই।” —“কিন্তু এবারে আর আমি শাস্ত্র-বাক্যে অবহেল করব না।” —“তার মানে ?” —“শাস্ত্র বলছেন ‘পথে নারী বিবর্জিতা । কথাটা ভারি খাটি হে ! এই দেখনা আমাদের সঙ্গে মেয়েস্কটে। না থাকুলে তো এত শিগগিব পাত তাড়ি গুটোতে হ’ত না !" পূর্ণিমা শুনতে পেযে অন্ত গাড়ী থেকে বললে, “এ তুমি অন্যায় বল্‌ছ বাব ! কণারকে আসতে আমার কোনো আপত্তি নেই, আমার আপত্তি ঐ মশাদের জন্যে !” আনন্দ বাবু বললেন, “কিন্তু আমি সেজন্যে আপত্তি করছি না কেন ? তার কাবণ, আমি হচ্ছি পুরুষ, আর তুমি হুচ্ছ নারী ! অতএব ভবিষ্যতে কণারকের পথে তুমি বিবর্জিত হবে ; বুঝেছ ? এই আমার প্রতিজ্ঞ!!” পূর্ণিমা হাসতে হাসতে বললে, “আচ্ছ। বাবা, তুমি দেখে নিও, ভবিষ্যতে আমি একটি মশারি সংগ্রহ ক’রে নিশ্চয়ই তোমার প্রতিজ্ঞ। ভঙ্গ কবুব !” গাড়ীর ভিতরে বসে বসে তিনজনে এম্নি কথাবাৰ্ত্তা কইতে কইতে এগিয়ে চললেন,–কিন্তু সে কথাবার্তায় সুমিত্র। একেবারেই যোগ দিলে না। গাড়ীর ভিতরে দুই চোপ মুদে চুপ ক’রে শুয়ে শুয়ে সে খালি এক কথাই ভাবছে-কখন এ পথ শেয হবে, কখন এ পথ শেষ হবে । খানিক পরে চাদ উঠল। পূর্ণিমা বললে, “রতন-বাবু, আমুন এইবারে আমরা গাড়ী থেকে নেমে পড়ি ।” রতন গাড়ীর ভিতর থেকে চেয়ে দেখলে, মরুভূমির বিশুষ্ক অসীমতাকে স্নিগ্ধ ক’রে বালিয়াড়ির শিখরের পর