পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪থ সংখ্যা ] ASAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAASASASS তার পরেই পায়ের শব্দে চম্কে, মুখ থেকে হাত সরিয়ে দেখলে—রতন ঠিক ঝড়ের মতই ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ।

  • নারী-সমস্যা”

S S S S S S S AAAA S AAAAA MM AeSAS SSAS SSASAAA MMAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAA SS S SAAAAA م م جمہ --مصـ م۔ s . دی۔ AASAASAASAASAA AAAAMAMMMAAAS حمیہ মাটির উপরে আছড়ে পড়ে একান্ত আৰ্ত্তস্বরে স্বমিত্র। ব’লে উঠল—“যাবেন না রতন-বাৰু, যাবেন না, যাবেন ना !” ( ক্রমশ: ) শ্ৰী হেমেন্দ্রকুমার রায় “নারী-সমস্যা 33 অনেক লোকের ধারণা, যে, টাকা-কড়ি ফল-মূল ঔষধপত্র অথবা হাতী-ঘোড়ার মত স্বাধীনতা একটা-কিছু জিনিষ যাহাতে সকল মানুষেরই জন্মগত অধিকার নাই ; তবে দরকার বোধ করিলে উপরওয়ালার ব্যক্তিবিশেষ বা জাতিবিশেষকে তাহা অল্পবিস্তর দান করিতে পারেন । একটা বিদেশী জাতি আমাদের জfতকে স্বাধীনতা দিবে কি না-দিবে ভাবিতে বসিলে আমাদের রাগ হয় ; আমর। বলি, আমাদের স্বাধীনতা কি উহাদের লোহার সিন্ধুকের মোহর যে কৃপা করিয়া উহারা না দিলে আমরা পাইব না। অথচ নিজেদের ঘরে বসিয়া আমরা সৰ্ব্বদাই মাথায় হাত দিয়া ভাবিতেছি, “তাই ত, স্ত্রীলোককে কি স্বাধীনতা দেওয়া উচিত ?” স্ত্রীলোক নিজেও ভাবিয়া পাইতেছেন না, যে, তাহার জীবন সম্বন্ধে তিনি নিজে ব্যবস্থা করিবেন কি না ; পুরুষও ভাবিয়া পাইতেছেন না, স্ত্রীলোককে বিধিদত্ত মস্তিস্কটার সদ্ব্যবহার করিতে দেওয়া উচিত কিনা। কিন্তু এই কথাটা উভয়েই ভুলিয়া যান, যে, স্বাধীনতা একটা দেনা-পাওনার জিনিষ নয়, মামুষের দেহ মন মস্তিস্কের মত ইহাও মানুষ ভগবানের নিকট হইতেই লইয়৷ আসিয়াছে। নিৰ্ব্ব দ্ধিতার ফলে দেহ মন কি মস্তিষ্ককে মানুষ যেমন নিজেই নষ্ট করিতে পারে, ইহাকেও তেমনি নষ্ট করিয়া ফেলিতে পারে ; পরের অত্যাচারে মানুষ যেমন অঙ্গহীন কি জড়বুদ্ধি হইতে পারে, তেমনি পরাধীনও হইতে পারে। পরে যখন মামুষের কোনো অঙ্গহানি বা শারীরিক কোনো ক্ষতি ঘটায়, তখন তাহার শরীরট পরের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হয় না ; পরে কাহারও স্বাধীনতা হরণ করিলেও পরকেই মালিক বলিয়া মানিয়া লইতে কেহ বাধ্য হয় না। কি পুরুষ কি নারী—মানুষ মাত্রই স্বাধীন হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে। “পুরুষ-স্বাধীনতা” কিম্বা “স্ত্রী-স্বাধীনতা” কাহারও অপরকে দিবার অপেক্ষা ভগবান কিম্বা প্রকৃতি রাখেন নাই। তবে স্ত্রী ও পুরুষ বহু ক্ষেত্রে অপরের স্বাধীনতা হরণ করিয়াছেন, কেহ বা নিজ স্বাধীনতা হেলায় হারাইয়াছেন, কেহ বা নিজ স্বাধীনতার অপব্যবহার করিয়া “স্বাধীনতা" নামের মর্য্যাদা নষ্ট করিয়াছেন । স্বাধীনতা ও অধিকার সম্বন্ধে আমাদের দেশের বহু লেখকলেখিকার বহু ভ্রান্ত ধারণা আছে । ইহাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, যে, স্ত্রীজাতিকে যে-সকল অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখা না হয়, সেইখানেই তাহারা নিজেদের কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া স্বভাব ও প্রকৃতিকে লঙ্ঘন করিয়া পথভ্রষ্ট হন । সমাজ অথবা আইন স্ত্রীজাতিকে যেসকল অধিকার হইতে বঞ্চিত এখনও করেন নাই, সেইসকল অধিকারের দাবীই স্ত্রীজাতি সৰ্ব্বদা করিতেছেন কি না, একথা তাহারা ভাবিয়া দেখেন না । পুরুষের উদাহরণ দিয়া এই কথাটা সহজেই বোঝান যায়। আমদের দেশের আধুনিক সমাজ কিম্বা আইন পুরুষ মাত্রকে অবিবাহিত থাকিবার অথবা সন্ন্যাসী হইবার অধিকার দিয়া রাখিয়াছে ; অর্থাৎ তাহারা যদি বিবাহ না করেন, সন্ন্যাপী হন, তাহাতে সমাজ কিম্বা আইন বাধা দিবে না। কিন্তু কাৰ্য্যত দেখা যায়, অধিকাংশ পুরুষই তাহীদের এই অধিকার অনুসারে চিরকুমার থাকিতে বা সন্ন্যাসী হইতে ভুলিয়া যান। তবে মেয়েদের এই অধিকারটা হইতে বঞ্চিত না করিলেই যে র্তাহারা সকলে কুমারী থাকিবেন, এমন মনে করিবার কিছু কারণ আছে কি ? যে গৃহকৰ্ম্ম নারীর প্রধান ও শ্লেষ্ঠ কৰ্ত্তব্য বলিয়া পরিচিত,