পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] കുക. കുക്കുക്കു আনন্দ ও জ্ঞানাতুশীলন পিছনে রাখিয়া, পূৰ্ণবয়স্ক নীরোগ ও শক্তিমান পুরুষমাত্রই যে যুদ্ধদানবের সর্বনাশী অগ্নিলীলার ইন্ধন যোগাইতে ছুটিয়াছিল, একথা কি শিক্ষিত মানুষমাত্রই জানেন না ? কিন্তু সমস্ত পুরুষশক্তির এই নিৰ্ম্মম অবহেলার ফলে ইউরোপের বৃদ্ধ বৃদ্ধ শিশু ও নারীগণ কি জহর-ব্ৰত করিয়া একসঙ্গে পুড়িয়া মরিয়া বিরহবেদনা ও সংসারভার মোচন করিয়াছিল ? যুদ্ধশেষে ভগ্নহৃদয় অবসন্ন অঙ্গহীন পীড়িত ক্ষুধিত তৃষিত নিরানন্দ ও স্নেহভিক্ষু পুরুষগণ কি দেশে দেশে ফিরিয়া আসিয়া সংসারচক্রকে স্তব্ধ ও মুছিত দেথিয়া হতাশায় ধূলায় লুটাইয়া পড়িয়াছিল ? বর্তমান ইউরোপের চলতি ইতিহাস ত সে সাক্ষ্য দেয় না। এই বিরাট মহাদেশের জটিল জীবনযাত্রা-পথের সকল প্রয়োজন সিদ্ধি করিয়াছিল ইউরোপের নারীরা ; তাহারা ক্ষুধিতের অল্প যোগাইয়াছিল, বস্ত্রহীনের বস্ত্র বুনিয়াছিল, নিরানন্দের হৃদয়ে আনন্দ সঞ্চার করিয়াছিল, বাণিজ্যব্যবসায়, আপিসআদালত, যানবাহন, কলকজা, চিকিৎসা-সেবা, দেনপাওনা, কাগজপত্র হিসাবনিকাশ, সকল ব্যাপারের তত্ত্বাবধানই তাহারা করিয়াছিল। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শিল্প ব্যবসায় রক্ষণ ও বাণিজ্য চালনার কাৰ্য্যে মেয়েরা যে সাহায্য করিয়াছিল, তাহার রিপোর্টে অ্যাড় জুটান্ট-জেনারেল-টু-দি-ফোসের্জ, “প্রায়ু সমস্ত কাৰ্য্যক্ষেত্রেই মেয়েরা যে পুরুষের স্থান দখল করিয়া সফলত। দেখাইতে পারে, তাহা তাহার প্রমাণ করিয়া দিয়াছে।” বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে বলেন, “কলকজার কাজে মেয়েরা পুরুষের অপেক্ষা অধিক ক্ষিপ্রতা ও নিপুণতা দেখাইয়াছেন।” কেহ বলেন, “অল্প মাহিনায় স্ত্রীলোক পুরুষের অপেক্ষা অধিক কাজ দেয় । তাহীদের হাত ও আঙল সকল রকম কাজের অধিকতর উপযোগী।” “উইমেনস ওয়ার ওয়ার্ক" বলেন, “যে ১৭৭১ রকম কাজে মেয়েদের লাগানে যায়, তাহার সবগুলিতেই মেয়ের পুরুষের মত ভালভাবে কাজ চালাইতে পারে ; কোনো কোনোটায় মেয়ের আরো বেশী ভাল কাজ করে।” যুদ্ধের মালমশলা তৈরির কাজও মেয়েরাই যুদ্ধের সময় করিয়াছিল। এই বিভাগের বলিতেছেন,

  • নারী-সমস্যা”

(దీ సి AMSAeeAMSAASAASAAeSAAAAAAS AAASASAAAAASAAAAeSAeSAMMSAeS YAMeAeeSAeS eS eS eSAASAASAASAAeMS AeSAASAASAA ফরাসী-মন্ত্রী বলেন, “ফরাসী কারখানার মতে ছোট ছোট কাজে মেয়েরা সকল জায়গাতেই পুরুষের মত জিনিষ তৈরি করে, অনেক স্থলে মেয়েদের তৈরি জিনিষ ভাল হয়। ভারি কাজে মেয়েদের সুবিধামত কলকজ পাইলে মেয়ের প্রায় পুরুষের সমান কাজই দেয়।” ইটালীও এই সাক্ষ্যই দেয়। ইহা ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকের সেবা ও চিকিৎসা মেয়ের করিয়াছে। অ্যাম্বল্যান্সের মেয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু ও বিপদ অগ্রাহ করিয়া মৃত আহত ও পীড়িত সৈনিকদের কুড়াইয় বেডাইয়াছে। অনেক স্তলে আহত অঙ্গে অস্ত্রোপচার করিয়া মহিলা চিকিৎসকই সৈনিকের প্রাণ রক্ষা করিয়াছেন। যন্ধের প্রথম মাসেই এক জাৰ্ম্মানীতেই ৭০,০০০ রমণী শুশষাকারিণীর কাজ করিবার জন্য ব্যবস্থাপকসভার দরজায় আবেদন লইয়া আসিয়াছিলেন । ইটালিয়ান সমরসচিব বলিয়াছিলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রের ঠাসপাতালসমুহে মেয়েদের কাজ করিতে দিয়া আমরা ২০,০০০ সৈন্তকে যুদ্ধ করিতে পাঠাইতে পারিব।” ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে কাউন্ট ফন বর্ণটুক বলিয়াছিলেন,"যে জাতির নারীগণ শ্রেষ্ঠ, এ যুদ্ধে তাহারাই জয়লাভ করিবে।” উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে আমেরিকার যুক্তরাজ্যে শুধু মেয়েরাই দশহাজারবকম নৃতন উদ্ভাবনার জন্য পেটেণ্ট, গ্রহণ করিয়াছিলেন । অবশ্ব এসমস্তই সাধারণ মামুষের কাজ । শ্রেষ্ঠ প্রতিভা কি মহামানবের মনীষার কথা এখানে বলা হইতেছে না। উচ্চ দরের প্রতিভার পরিচয়ও যে বস্থ ক্ষেত্রে মেয়েরা দিতেছেন, তাহার উদাহরণ দেওয়া যায় । হইতে পারে সংখ্যায় তাহারা পুরুষের সমান নহেন। “রসায়নশাস্ত্রে মাদাম কুরী, পদার্থ-বিজ্ঞানে হাৰ্থ এয়ার্টন, জ্যোতিষতত্ত্বে কেরোলিন হর্শেল ও লেডি হগিন্স, ভূপ্রোথিত অঙ্গরীভূত ও প্রস্তরীভূত উদ্ভিদ-বিজ্ঞানে মারী ষ্টেপস্ প্রভৃতি অনেক মহিলা বিজ্ঞানজগতে নূতন আলোকপাত করিতে সমর্থ হইয়াছেন।” সাহিত্যজগতে স্যাফে, জর্জ এলিয়ট, সেলম লীগেরলফ প্রভৃতি বহু মহিলা উচ্চশ্রেণীর প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন । নাট্যজগতে মহিলারা অনেকস্থলে রুতিত্বে পুরুষকে পিছনে