পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] “নারী-সমস্যা” (t)ు . AAAAAA AAAA SAAAAASA SAASAASSAAAAAS AAASASAAAAAS AAAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAM MAMMM MeeAeM MeM AeMMM MMeAMMMeMAMMAMMeMAeM eMeeMeMAMAeM AM MMMeMMeMMAee AM AM MMA AMAAASAAAA ছোট ছোট দুঃখকে দেখিতে পান না। কিন্তু ছোট এতটুকু শিশুকে বড়র চেয়ে অনেক বড় করিয়া দেখা যাহার কাজ, তাহার চোখে এই-সব “ক্ষুদ্র যাহা, ক্ষুদ্র তাহা নয়।” কারখানা দোকান বাজারে যে-দেশের মেয়ের বেশী কাজ করে, সে-দেশে শোনা যায় মেয়েরা অতি অল্পদিনেই একটা কাজ ছাড়িয়া আর-একটা কাজের সন্ধানে ঘুরিয়া ফেরে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, “এই ঘোর-ফেরা বেশী মাহিনীর আশায় মোটেই নয়।” মেয়েদের চোথে যে কাজ দেখিতে ভাল লাগে না, যে কাজে রুচি সৌন্দৰ্য্যবোধ পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি বলিদান করিতে হয়, যে কাজ অপ্রীতিকর ও যেখানে কাজের দোসরদের বন্ধুরূপে পাওয়া যায় না, সে কাজ মেয়েরা করিতে চায় না । হইতে পারে, নারীশক্তি পূর্ণ বিকাশ লাভ করিলে নারীর এইরূপ মনের গতির ফলে বহির্জগতের কৰ্ম্মক্ষেত্রগুলি চক্ষুকৰ্ণাদি ইন্দ্রিয়কে আনন্দ দান করিবে, স্বরুচি ও স্বনীতির পরিচয় দিবে, মনকে প্রফুল্ল করিবে এবং মানুষের বন্ধুবৃদ্ধি করিবে । নারী-প্রতিভা বিকাশের যথেষ্ট স্ববিধা যে পায় নাই, তাহা ইতিহাসের দিকে তাকাইলেই বুঝা যাইবে । যেকোনো দেশ ধরিয়াই বিচার করি না কেন, দেখিব, পুরুষের তুলনায় স্ত্রীলোক শিক্ষালাভ করিতেছেন অতি অল্পকাল । যেখানেও বা ইতিহাসের গোড়ার দিকে কিছু পরিমাণ রমণী শিক্ষা লাভ করিয়াছেন দেখা যায়, সেখানেও সেই সুদূর অতীত ও বর্তমানের মধ্যবৰ্ত্তী একটা বিরাটু কাল মেয়ের শিক্ষা বিনাই জীবন যাপন করিয়াছেন । বহু অধিকারেও র্তাহারা স্মরণাতীত কাল হইতে বঞ্চিত । অনেকে মনে করেন, “স্থষ্টির প্রথম যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া অদ্যাবধি এই যুগ যুগান্তর ” যে মেয়ের গৃহকোণে পুরুষের “অধীনতায়” অথবা আশ্রয়ে সকল অধিকার ত্যাগ করিয়া কাটাইয়াছেন, এই সত্যটাই তাহাদের বহির্জগতের অধিকার লাভে অক্ষম বলিয়া প্রমাণ করিতেছে। কথাটা সম্পূর্ণ সত্য বলিয়া মানিয়া লইলেও বলিবার অনেক থাকে। স্থষ্টিটা যতদিন আদিম অবস্থায় ছিল, ততদিন প্রকৃতিরূপিণী নারীদের স্বষ্টি ও সংসার গুছাইতে, পারিবারিক জীবন গড়িয়া তুলিতে এবং সস্তানকে একান্তভাবে নিজ চেষ্টায় পালন করিয়া তুলিতেই সমস্ত প্রতিভা বুদ্ধি শক্তি ও সময় ব্যয় করিতে হইয়াছিল । কিন্তু এখন বিজ্ঞান ও সভ্যতার উন্নতির সহিত স্বষ্টির শৃঙ্খলা আনয়নে নারীর কাজ কমিয়া আসিয়াছে। গৃহস.সার ও সন্তান নারীর মনকে বহুল পরিমাণে মুক্তি দিয়াছে। ভবিষ্যতে আরো দিবে। এই মুক্ত মন ও শক্তির ত একটা ক্ষেত্র চাই । সামান্য একটা উদাহরণেই এ কথাটা বুঝাইয়া বলা যায়। স্বষ্টির আদিযুগে মানুষ বনে হিংস্র জীবদের সঙ্গে একই জায়গায় বাস করিত। তখন সস্তানপালন মানে ছিল বাঘ ভালুক নরখাদক প্রভূতি সকলের হাত হইতে শিশুকে বাচাইয়া অমুক্ষণ তাহাকে চোখে চোখে রাখিয়৷ তদুপরি তাহার সমস্ত প্রয়োজন মিটান। তার পরের সভ্যযুগেও গৃহিণীকে ক্ষেত হইতে ফসল আনিতে হইত, নদী হইতে জল আনিতে হইত, দুগ্ধ দোহন করিতে হইত, স্থত কাটিতে হইত, ধান ভানিতে হইত, ইন্ধন সংগ্ৰহ করিতে হইত, আরো কত সহস্র খুঁটিনাটি কাজ নিজহাতে করিয়া লইতে হইত । কিন্তু এই শ্রমবিভাগ ও বৈজ্ঞানিক উন্নতির যুগে যখন কল খুলিলে বিছানার পাশে জল পাওয়া সম্ভব, বৈদ্যুতিক স্বইচ, টিপিলেই উনান জ্বালান চলে, রান্না চড়াইয়া দশ মাইল দূরে বেড়াইতে গেলেও পুড়িয়া যাইবার ভয় নাই, তখন যে-সব স্ত্রীলোক এতখানি অবসর পাইবেন, তাহ লইয়। তাহারা করিবেন কি ? অবশু সব জায়গার সকল নারীর এ অবস্থা এখনও হয় নাই। কিন্তু ক্রমে হইবে ; এবং এখনই সকল সভ্যদেশে কতকগুলি নারীর অবসর আদিমযুগের নারীর অৰসর অপেক্ষা অধিক হইয়াছে। তাহার উপর স্বষ্টিব্যাপারে পূৰ্ব্বে প্রতিদম্পতির যত সন্তান থাকার প্রয়োজন ছিল, এখন তাহা নাই ; কারণ পৃথিবী বাড়ে নাই কিন্তু মানুষ বাড়িয়া চলিয়াছে। এ ক্ষেত্রে পরিবার ছোট হইলে এবং বিবাহ বেশী বয়সে করিলে মেয়েদের অবসর আরো বাড়িয়া যাইবে । কতক বয়স পর্য্যস্ত অবিবাহিতার সংখ্যা বাড়িবে, কেহ কেহ চিরকুমারী থাকিবেন, বিধবা নারীও থাকিবেন। স্বতরাং