পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS হাতে ঘর ও বাহিরের পরিশ্রম করিয়া যুদ্ধের সরঞ্জাম ও সৈনিকের রসদও জোগাইতে হইয়াছে। পুরুষ যুদ্ধের নেশায় মাতিয়া যে দুঃখ সহজে সহ করিয়াছে, রমণীকে গৃহকোণে বিষাদের ভারে কুইয়া পড়িয়া তাহার দ্বিগুণ দুঃখ ভোগ করিতে হইয়াছে। স্বতরাং যুদ্ধের নিদারুণত রমণীর প্রাণে পুরুষের অপেক্ষ বহুগুণ বেদনা দিয়াছে ৷ হইতে পারে, ইহার ফলে স্বাধীন রমণীর একদিন জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করিবেন। ইংলণ্ডের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান মন্ত্রী লয়েড জর্জ বলিয়াছিলেন, “রমণীর রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে পুরুষের সমান অধিকার পাইলে জাতিতে জাতিতে শান্তি স্থাপনের সঙ্গয়তা করিবেন এবং এই যে ভীষণ যুদ্ধের জন্য আমরা দুঃখ করিতেছি, তাহার পুনরাভিনয় নিবারণ কবিবেন । এ বিষয়ে আমার বিশ্বাস পূৰ্ব্বাপেক্ষ দৃঢ় হইয়াছে। মেয়ের ভোট দিবার অধিকার পাইয়া যদি জগতের ইতিহাসে একটা যুদ্ধও কমাইয়া দিতে পারেন, তবে ভগবান ও মানুষের চক্ষে তাহদের এ অধিকার সার্থক . হইবে।” ইতি মধ্যেই “শাস্তি ও স্বাধীনতার জন্য নারীcWa wvyóffö* *i*w* (International League of Women for Peace and Liberty) eâ C*C, <för আরম্ভ করিয়াছেন। ইহাদের যা কিছু কাজ, সবই মেয়ের করেন । স্ত্রীলোক যখন দুনীতিপরায়ণ হয়, তখন তাহাকে আবর্জনার মত ঘর হইতে কঁটিাইয়া বাহিরে ফেলিয়া দিলেই নিশ্চিন্ত হওয়া যায় ! কিন্তু পুরুষের দুনীতির ফলে সে নিজেকে ত নষ্ট করেই, সঙ্গে সঙ্গে নিজ স্ত্রীপরিবারেরও বহু দুর্দশ করে। অপরের পাপে ভদ্র স্ত্রীলোকের এই যে লাঞ্ছনাভোগ, মেয়েদের পূর্ণ স্বাধীনত থাকিলে ইহা বহু পরিমাণে দূর করা যায়। অনেক সভ্য দেশে তাহা হইতেছে। মেয়েদের কেন যে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত, সেই পুরানে কথাটা মোটামুটি বলিতেই এতখানি জায়গালাগিল ; অন্য দু-চারিটা কথার মাত্র উত্তর দেওয়া এখন সম্ভব । অনেকে মনে করেন, “মানুষের মনটাও গৃহে অৰ্থাগম অপেক্ষ স্ত্রীর নিকট স্নেহ-সহানুভূতির অধিকতর هم محس-8) و ‘নারীসমস্যা” MAMMA MAMAMMMAJMMA AMAAA SAAAAASA SAASAAMMMMMMAAAS (t)ల حجمےه"یہ جمی۔ প্রত্যাশী।” গৃহে অর্থ থাকিলে স্ত্রীর নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থ অপেক্ষা স্নেহ প্রেম বেশী আদরের জিনিষ সন্দেহ নাই। কিন্তু যে হতভাগ্য পঠদ্দশা শেষ হইবার পূর্বেই পিতামাতার আদেশে একটি স্ত্রী গলায় গাথিয়াছে, এবং বিশ টাকা উপার্জন করিবার পূৰ্ব্বে চারিটি শিশুর পিতা হইয়াছে, তাহার স্ত্রীর স্নেহসহানুভূতি চোখের জলের রূপে স্বামীকে অভিষিক্ত না করিয়৷ যদি অর্থ রূপে ক্ষুধায় অন্ন জোগায়, তাহাতে কি গৃহসংসারটা বড়ই তিক্ত হইয়। উঠিবে ? “মাহিনীর টাকার চেয়ে প্রেমময়ী পত্নীর হাতের সেবা স্বামীর পক্ষে অধিকতর লোভনীয় হওয়া স্বাভাবিক সন্দেহ নাই ।” কিন্তু যে প্রেমময়ীর হস্ত ছাড়া সেবা করিবার আর কোনে উপকরণ নাই, সে যদি পীড়িত, দরিদ্র, অথবা বহুপরিবারভারাক্রান্ত স্বামীর সেবার উপকরণ নিজে সংগ্রহ করে, অথবা ধনী হইমাও অবসরের সময় উপার্জন করিয়া স্বামীকে তাহার প্রিয় সামগ্ৰী উপহার দেয়, তাহাতে ত তাহার স্বামীর গৌরব বোধ করা উচিত। অনেকে মনে করেন, “মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য-বজ্জিত করিয়া শাস্ত্র তাহদের স্বাধীনতার পথে কাটা গাড়িয়া দেন নাই ।” “পিতা, পতি, পুল, সৎ হইলে তাদের মধ্যে নারীর শিক্ষণদীক্ষা ও মনের স্বাধীনস্ফূৰ্ত্তি আবার সেই-রকম হইতে পারে।” সংসারে সৎ মানুষ এত ছড়াছড়ি গড়াগড়ি যাইতেছে না, যে, প্রত্যেক নারীর ভাগ্যেই পিতা পতি ও পুত্ৰগণ সকলেই সৎ হইবেন । ভাগ্যগুণে, হয় সাধু পিত, কিম্বা সৎ পতি, একজন মাত্রও, যদি সকল নারীর কপালে জুটিত, তাহা হইলে সংসারে বহু দুঃখ দূর হইয়া যাইত। তাহা যখন ঘটে না, তখন নারীর স্বাধীনতাটুকুও হরণ করিয়া তাহার মাথার দুঃখের বোঝা আর-একটু ভারী করিয়া দিবার কি প্রয়োজন আছে ? পিতা, পতি ও পুত্র সৎ হইলে ত আর স্ত্রীলোক সাধ করিয়া কাট-গাছে চুল জড়াইয়া তাহাদের সহিত কলহ করিয়া “স্বাধীনতাদেখাইবে না । অথবা যদি স্বভাবের দোষে কোনো রমণী তাহা করেও, তাহা হইলে পায়ে শিকল বাধিয়া তাহাকে মধুরভাষিণী স্থবিনীত করা যে কত কঠিন, তাহা এই শাস্ত্রপ্রপীড়িত দেশেও আমরা ঘরে ঘরেই দেখিতেছি ।