পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুঞ্জ @》8 ASAMAM AeMAeeMAMSMAMS SSAAAASAASAAAS ۶۳یسه حبیبیسیحیی কেহ কেহ মনে করেন, প্রাচীনভারতে অর্থাং বৈদিকযুগেও নারী স্বাতন্ত্র্যবর্জিতা” ছিলেন, কিন্তু তথাপি তাহারা “প্রথিতনামী শৌর্য্যবীৰ্য্যশালিনী মহিমময়ী” হইতে পারিয়াছিলেন। “স্বাতন্ত্র্যবর্জিতা” বলিতে কি কি বোঝায়, ঠিক জানি না । কিন্তু মনু প্রভৃতি স্মৃতি ও সংহিতাকারের আইন মানিয়া চলিলে স্ত্রীলোকের যে অবস্থায় থাকিতে হয়, বৈদিকযুগের নারীর সে অবস্থা ছিল না। অতি প্রাচীন যুগে ভারতনারীর অধিকার বহুক্ষেত্রে ব্যাপ্ত ছিল বলিয়াই তাহার। কিছু কৃতিত্ব দেখাইতে পারিয়াছিলেন ; তৎপরবর্তী যুগে সে-সব অধিকারে বঞ্চিত হইয়া থ্যাতি কি শৌর্য্যবীৰ্য্য কিছুই তাহার, সাধারণত:, পূর্বের মত দেখাইতে পারেন নাই। মনু বলিয়াছেন, “স্ত্রীদিগের পৃথকৃ যজ্ঞ, ব্ৰত ও উপবাস নাই” ; কিন্তু পণ্ডিতেরা বলেন, “ঋগ্বেদে এরূপ কোনও উক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না ; বরং স্ত্রীগণ পতির সহিত একত্র যজ্ঞ করিতেছেন এবং বনিতাগণ যজ্ঞে নিযুক্ত আছেন, এইরূপ বহু উক্তি বহু মস্ত্রে দেখিতে পাওয়া যায়।” ঋগ্বেদের মন্ত্ররচনার কালে বহু নারী আজীবন অবিবাহিত থাকিতেন। “খখেদে নিম্নলিখিত নারী-ঋষিগণের উল্লেখ দেখা যায় :–ঘোষা, সূৰ্য্য, লোপামুদ্রা, বিশ্ববারা, অপালা, ইন্দ্রাণী বা শচী এবং সর্পরাজ্ঞী প্রভৃতি। ইহঁfরা সকলেই ঋক বা মন্ত্র রচনা করিয়া ঋষিপদবাচ্য হইয়াছিলেন।” “বিশ্ববারা কেবল যে মন্ত্র রচনা করিয়াই জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, তাহী নহে ; পরস্তু অগ্নির স্তব উচ্চারণ করিয়া ঋত্বিকেরও কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছিলেন । বিশ্ববার নারী, অথচ তিনি হোত, তিনি উদ্‌গতি, তিনি অধ্বযু এবং তিনি স্বয়ংই তাহার কৃত যজ্ঞের ব্রহ্ম। পাঠক এস্থলে স্পষ্ট দেখিতেছেন, বৈদিক যজ্ঞাদি কার্য্যের সমস্ত অধিকার নারীতে বৰ্ত্তমান।” (অবিনাশচন্দ্র দাস । ) বৈদিক যুগের পরেও হারীতস্থতিতে দেখিতে পাওয়৷ যায়, যে, পূৰ্ব্বে কুমারীদের ব্রহ্মবাদিনী ও সদ্যোবধু এই দুই শ্রেণীতে বিভাগ করা হইত। ব্ৰহ্মবাদিনীরা বেদাদি পাঠ ও আলোচনা করিতেন ; সদ্যোবধূরা গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ করিতেন। উভয়েরই উপনয়ন হইত। ব্রহ্মবাদিনীরা প্রবাসী—মাঘ, )-99e [ २०ु छन्, २च्न थ७ স্বাধ্যায়, সমিধ আহরণ ও ভিক্ষাচর্য্যায় অধিকারী ছিলেন ইহার আজীবন কুমারী থাকিতেন। গাৰ্গী, স্থলভ রামায়ণের শবরী, ভবভূতির উত্তরচরিতের আগ্নেয়ী, ইষ্ঠা সকলেই ব্রহ্মবাদিনী ছিলেন । উত্তররামচরিতে দেখিে পাই, আত্ৰেয়ী লবকুশ প্রভৃতি পুরুষ ছাত্রদের সহিত প্র:ি দ্বন্দ্বিতা করিয়া পড়িতেন, এক আশ্রম হইতে আর-এ আশ্রমে পাঠের সুবিধার জন্য আপনি চলিয়া যাইতেছে ইত্যাদি। মন্ত্র প্রভৃতির বহু শাসনই আধুনিক হিন্দু স্থবিধাবাদের জন্য অথবা অন্য নানা কারণে মানেন না স্বতরাং স্ত্রীলোকের স্বাতন্ত্রা লোপের বেলায়ই বেশ কড়াকড়ি করিবার উৎসাহও না দেখাইলে পারেন । শাস্ত্রে, বিবাহে অর্থগ্রহণ পাপ ; স্ত্রীধন হরণের ফ নরকবাস ; ছাত্রজীবনে বিবাহ নিষিদ্ধ ; সপিণ্ড কই বিবাহ নিষিদ্ধ ; হীনক্রিয়, নিপুরুষ, নিশ্বন্দ ও যক্ষ কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগগ্ৰস্ত পরিবারে বিবাহ বারণ। কি বিবাহে অর্থ গ্রহণ ন করিলেই আজিকাল খবরে কাগজে নাম উঠে, ও ছাত্রজীবনে বিবাহে আপনি করিলে মা-বাবার প্রতি সম্মান দেখান হয় না । সপিণ্ড বিবাহও অনেক স্থলে চলে ; হীনক্রিয়ের ও নিশছন অর্থাৎ মুখের অর্থ সহ কন্যা গ্রহণ প্রায়ই দেখা যায় অন্যান্য নিষেধও গ্রাহ করিতে ব্যস্ত কম লোকে নিপুরুষ পরিবারের কন্যা কোথাও অবিবাহিত বসিয় থাকে না ; বরং শ্বশুরের সম্পত্তির লোভে ভাবী জামাই দের ঘোড়দৌড় লাশিবার সম্ভাবনা ঘটে। প্রাপ্ত যৌবন কন্যাকে তিন বৎসর অপেক্ষা করিয়া নিজ ইচ্ছামত পতিবরণ করিতে শাস্ত্র উপদেশ দিয়াছেন ; কিন্তু আধুনিক লেখকলেখিকাদের মতে স্বমতে বিবাহ একটা লজার বিষয় । আবখ্যক হইলে যুদ্ধ করাও স্ত্রীলোকের পক্ষে গৰ্হিত নয়, বরং গৌরবের বিষয় বলিয়াই যাহারা মনে করেন, র্তাহারা পুরুষের সহিত “প্যারেড কবিয়া যুদ্ধ শিক্ষা করাতে” কেন আপত্তি করেন, জানি না । যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষের পাশে দাড়াইয়া পুরুষের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধ করা যায়, তবে তাহার পূৰ্ব্বে এই প্রকৃত পুরুষোচিত বিদ্যাট পুরুষের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিথিয়া