পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ۔ ۔ ۔ ۔ یہ م۔م۔م۔ রাখিলে ত জয়লাভের সম্ভাবনাটা বাড়ে বই কমে না । “স্বধৰ্ম্ম ও সম্মান রক্ষার জন্য” যদি কোনো মহিলা আত্মহত্যা করিয়া "তৃণ খণ্ডের স্তায় অনায়াসে” পুড়িয়া না মরিয়া শত্রুনিধন করিয়া জয়লাভ করিতে পারেন, কিম্বা প্রাণ ও মান একত্রে রাখিবার চেষ্টাটাও অন্তত করেন, তবে আমি ত তাহাকেই অধিক সম্মান করি । “স্বাধীনতা” কথার অর্থেই বোঝা যায়, ইহা উচ্ছ জ্বলতা নহে। যে-দেশের পুরুষমানুষদের ঘাড়ের উপর মাথা থাকিতে দিনে-দুপরে নারীহরণ ও নারীর উপর অত্যাচার হয়, সে-দেশে নারীকে পুরুষের অধীনে রাজপথ ہ-یے ہ-یے ہمعصر حامہ" عبح" SSMM SSMMM SSAAAAAAS AAASASAAAAASA SAASAA AAAA AAAA AAAAMMAMMAMMeAAAS (*)を یہ مہیہ“حجر. "سیاہمم۔ বা আশ্রয়ে রাখিয়া নিরাপদ রাখার কল্পনাটা ভীষণ ও ক্রর উপহাস। যে মাহুষ নিজেকে নিজে শাসন করিতে ও রক্ষা করিতে শিখিয়াছে, তাহার কোনো উপরিওয়ালার প্রয়োজন হয় না। পরের শাসন মাতুষের পায়ে বেড়ি পরাইতে পারে, চক্ষু অন্ধ করিয়া দিতে পারে, মনের প্রদীপে ছাই চাপা দিতে পারে, কিন্তু মহিষ গড়িয়া দিতে পারে না। মুক্ত মন, জাগ্রত দৃষ্টি, ও পূর্ণ অধিকারই মানুষকে নিজ পথে নিজ প্রকৃত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর করিতে সহায়তা করে। মানব জাতির অৰ্দ্ধাংশেরই কি কেবল লক্ষ্য লাভ করা দরকার ? শ্ৰী শান্ত দেবী রাজপথ [ s१ ] সুরেশ্বর কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া যাওয়ার পর সুমিত্রা ক্ষণকাল নিৰ্ব্বাক হইয়া তথায় দাড়াইয়া রহিল। ক্ৰোধে, দুঃখে, ঘৃণায়, লজ্জায় তাহার চক্ষু ফাটিয়া অশ্র নির্গত হইবার উপক্রম করিতেছিল। সে ভূমিতলে দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া তাহা রোধ করিতে লাগিল । কন্যার আচরণে জয়ন্তী মনে মনে অতিশয় বিরক্ত ও চিন্তিত হইলেও উপস্থিত অবস্থায় সে-ভাব মুখে প্রকাশ করা তিনি সমীচীন বোধ করিলেন না। কণ্ঠস্বর যথাশক্তি কোমল করিয়া তিনি বলিলেন, “স্বরেশ্বরকে নিয়ে ক্রমশ: একটু অসুবিধা হয়ে দাড়াচ্ছিল, সে যখন সহজেই গেল তখন এ ব্যাপারটাকে আর বাড়িয়ে তুলো না, স্থমিত্ৰা ।” স্থমিত্রা তাহার আনত-আর্দ্র নেত্র উখিত করিয়া কহিল, “একে তুমি সহজে যাওয়া বল্‌ছ, মা ? তোমার দারোয়ান দিয়ে স্বরেশ্বর-বাবুকে গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ীর বার করে দিলে কি এর চেয়ে বেশী হত বলে’ তোমার মনে হয় ?” স্বমিত্রার কথা শুনিয়া জয়ন্তীর মুখ অসন্তোষের ছায়াপাতে অন্ধকার হইয়া গেল । তিনি কঠিন কণ্ঠে কহিলেন, “নিজের মান ধে নিজে নষ্ট করে, তার মান কেউ রাখতে পারে না !” ক্ষণকাল নিৰ্ব্বাক্ থাকিয়া সুমিত্রা বলিল, “নিজের প্রাণ বিপন্ন করে’ যিনি তোমার মেয়ের মান রেখেছিলেন, তিনি নিজে মান রাখতে পারেন না এ কথা কি তুমি সত্যি-সত্যিই বিশ্বাস কর ?” এই উপকার-প্রাপ্তির উল্লেখে মনে মনে জলিয়া উঠিয়া জয়ন্তী বিদ্রুপ-বিকৃত স্বরে কহিলেন, “কবে কোন যুগে কি করেছিল না-করেছিল বলে চিরদিনই সে হাতে মাথ। কাটুবে না কি ? তুমি জানে!, স্বরেশ্বরের সঙ্গে তোমার এই মেলা-মেশার জন্যে বিমান এ বাড়ীতে আসা কমিয়ে দিয়েছে ?” জয়ন্তীর কথা শুনিয়া স্বমিত্রা বিস্ময়-বিস্ফারিত নেত্রে ক্ষণকাল জয়ন্তীর প্রতি চাহিয়া রহিল ; তাহার পর কঠিন স্বরে বলিল, “তাই বুঝি তোমরা স্বরেশ্বর-বাবুর এ বাড়ীতে আসা বন্ধ করবার জন্যে এই মিথ্যা অপবাদের ষড়যন্ত্র করেছ ?” সুমিত্রার এ কথায় বিশেষরূপ চিন্তিত হইয়া জয়ন্তী