পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] خیابیم. سه حمیر حید هخامور -പ്പബഘത് “সে আমি যতটুকু বলা দরকার তা ব’লে মার মত করিয়ে নেবো।” বলিয়া মাধবী তারাসুন্দরীর উদ্দেশে প্রস্থান করিল ; এবং ক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, .“মা'র মত করিয়েছি। তুমি গাড়ী আনাবার ব্যবস্থা কর।” গাড়ী আসিলে মাধবী স্থরেশ্বরকে বলিল, “কোন চরকাটা স্বমিত্রাকে দেবে, দাদা ?” যতগুলা চরকা গৃহে উপস্থিত ছিল তন্মধ্যে স্বরেশ্বরের হাতের চরকাটাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । স্বরেশ্বরের মনে মনে ইচ্ছা হইতেছিল সেই চরকাটাই স্থমিত্রাকে পাঠাইয়া দেয়, কিন্তু কোন দিক্ হইতে কেমন একটা সঙ্কোচ আসিতেছিল বলিয়া তাহা প্রকাশ করিয়া বলিতে পারিতেছিল না; তাই মাধবীর প্রশ্নের উত্তরে সে-ই মাধবীকে প্রশ্ন করিল, “তুই কি বলিস্ ? কোনটা দেওয়া যায় ?” মাধবী স্মিতমুখে বলিল, “আমি বলি তোমার নিজের হাতের চরকাটা দাও। তুমি নিজে নূতন একটা চরকা ঠিক করে নিতে পারবে, স্থমিত্রা এই প্রথম চরকা অভ্যাস করবে, তার পক্ষে একটা ভাল চরকা দরকার ।" মাধবীর কথায় স্বরেশ্বরের মুখ ঈষৎ রঞ্জিত হইয়া উঠিল; সে মৃদ্ধ স্মিতমুখে বলিল, “তোর চরকাটাও ত মন্দ নয়, সেইটেই দে না কেন ?" মাধবী বলিল, “আমার চরকার চেয়ে তোমার চরকাটা অনেক ভাল। তা ছাড়া তোমার চরকাটা স্বমিত্রার হাতে ভাল চলবে।" বলিয়া মুখ টিপিয়া একটু হাসিল । মাধবীর পরিহাসে কপটক্ৰোধ-ভরে স্বরেশ্বর বলিল, “তোর মাথা হবে ! এ ত আর বিপিন-বোসের মোটরকার নয় যে তুই চড়লেই বে। বে। করে চলবে।” মাধবী রুষ্ট-স্মিত মুখে বলিল, “না দাদা! একটা ভাল কাজে যাচ্ছি এখন যা-ত কথা বলে’ যাত্রা নষ্ট কোরো না ।” "বিপিন-বোসের সে গুণও আছে না কি রে?” “নেই ?” - “তুই এত খবর নিলি কবে, মাধবী " “যাও । বেশী ফাজ লামী কোরো না। অামার এখন নষ্ট করুবার মত সময় নেই।” বলিয়া মাধবী পুরাতন ভূত্য রাজপথ в за ംബ്.ബി.ബുബ്ബയ്ക്കേബി.ബി.ബി. خمیر কানাইকে ডাকিয়া স্বরেশ্বরের চরকা ও অপর একখানি চরকা গাড়ীর ভিতরে চড়াইয়া দিতে বলিল । স্বরেশ্বর আর কোনো আপত্তি করিল না, চরকা দুটি লইয়া কানাই প্রস্থান করিলে, শুধু বলিল, “আমার ভারি যত্বের চরকাটি বিলিয়ে দিচ্ছিস, মাধবী।” “তার জন্যে তুমি একটুও দুঃখিত নও!” "গুণ তেও জানিস না কি রে?” “জানি !" বলিয়া মাধবী একটি ছোট ডালার তুলার পাজ ভরিয়া লইতে বসিল । তাহার পর উঠিয়া দাড়াইয়। হাসিমুখে বলিল, “এগুলি বেী-দিদিকে উপহার দিয়ে আস্ব।” একথায় স্বরেশ্বরের হাস্ত-প্রফুল্ল মুখ সহসা গম্ভীর হইয়া গেল। সে উত্তেজিত কণ্ঠে বলিল, “না, ন, মাধৰী ! ঠাট্টাটাও সীমার মধ্যেই রাথিস্ ! সুমিত্র একজন ভঞ্জলোকের মেয়ে ; তাঁর ওপর আমাদের যখন কোনো সম্পর্কের দাবী নেই, তখন তাকে নিয়ে যথেচ্ছা ঠাট। কলুবার আমাদের কোনো অধিকার নেই!" এ তিরস্কারে মাধবীর প্রসন্ন মুখে কিছুমাত্র ভাবাস্তর ঘটিল না । সে তেমনি হাসিমুখে বলিল, “জানি আমি স্থমিত্র ভদ্রলোকের মেয়ে, আর জানি আমি তাকে বউদিদি করে নিতে পারব, তাই তাকে বউদিদি বলছি।” গভীর বিস্ময়ে স্বরেশ্বর বলিল, “তুই করে নিতে পারবি ?" সহাস্যমুথে লঘু-ভাবে মাধবী কহিল, “হ্যা, অমিই করে নিতে পারব।” “কি করে’ ?” “যেমন করে' পারি। সে যখন করব তখন দেখো । এখন বাড়ীটা কানাইকে ভাল করে' বুঝিয়ে দেবে চল ।” সে-কথার কোনো উত্তর না দিয়া চিন্তিত-মুখে স্বরেশ্বর কহিল, “দেখিস মাধবী, সেখানে গিয়ে যা’-তা' কথা বলে যেন হালকা হয়ে আসিস নে ! মাধবী হাসিয়া বলিল, “না গো না, সে ভাবনা তোমার নেই। খুব ভাল ভাল কথা বলে’ ভারী হয়ে-ই আসব। এখন চল, দেরী হয়ে যাচ্ছে।” কানাইকে সৰ্ব্ববিষয়ে উপদেশ দেওয়ার পর মাধবীকে