পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] এই-সমস্ত তৈরী করিতে হইলে শিল্পীকে অনেক সময় খুব ভাল করিয়া উদ্ভিদূতত্ত্ব পাঠ করিতে হয়। তাহ ন হইলে সময় সময় কাজ অচল হইয়া যায়। অনেক সময় শিল্পীকে দুর দেশে গিয়া কোনো বিশেষ বৃক্ষ সম্বন্ধে সকল তথ্য বেশ করিয়া দেখিয়া এবং শিখিয়া আসিতে হয় । এই-সমস্ত না দেখা থাকিলে নকল বৃক্ষকে সত্যকার বৃক্ষের হুবহু করিয়া তৈরী করা সম্ভব হয় না । ফল-ফুলের বুক্ষে ও পাখী মৌমাছি বা অন্ত কোন প্রকার কীট পতঙ্গ নাই, এ কথা ভাবিতেও কেমন লাগে । সেইজন্য বৃক্ষকুঞ্জ তৈরী করিয়া তাহার ফুলে নকল কীট পতঙ্গ মৌমাছি ইত্যাদি বসাইতে হয়। অনেক গাছে পার্থী এবং পাগীব বসাও বসাইতে হয়। এই-সমস্ত হইয়া গেলে পর কুঞ্জের কাছে গিয়া দাড়াইলে মনে হয় প্রকৃতির তৈরী কোনো সুন্দর স্থানে দাড়াইয়া আছি । নান-রকম উত্তও এইরকমভাবে তৈরী করিয়| কুঞ্জ-মধ্যে রক্ষা করা হয় । আসলের সহিত নকলের একমাত্র তফাৎ— নকল ফুলের গন্ধ নাই, নকল ফুলেব রস নাই, নকল মৌমাছি গুনগুন করে না এবং হল ফুটায় না। নকল পাখী গান করে না । এই সব নকল জিনিযে প্রাণ ছাড়া সবই পাওয়া যায় । একটি সম্পূর্ণ বৃক্ষ—দেখিলে নকল বলিয়া ধরিবার কাহারে সtধা নাই—রংএ এবং ঢঙে একেবারে আসলের যমজ ভাই পঞ্চশস্য-প্রাচীন কীৰ্ত্তি আবিষ্কার حسم - ص ------ص. AMAMMAMMAMAMMAMAMAMAMMAMMAMAMAMSMS ক্যানন-বল গাছটির একটি একটি ডাল কাটিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া এবং নম্বর দিয়া চলান দেওয়া হয় –শিল্পীর হাতে সে অtবার সম্পূর্ণ হুইয়। উঠিতেছে অীসল গাছের অবিকল নকল-ইহার কেবল একটি অভাব, সে রস-গন্ধহীন প্রাচীন কীর্তি আবিষ্কার— মাটির তলায় হাজার হাজার বছর পুৰ্ব্বকীর সভ্যতার কত চিহ্ন বৰ্ত্তমান আছে তাহার সংখ্যা নাই । মানুষ যtহ আবিষ্কার করিয়াছে, তাহার সংখ্যা অতি সামীথ্য—এখনও যে কত প্রাচীন সহর ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ মাটির তলায় লোকচক্ষুর অস্তরালে রহিয়াছে, তাহ বলা যায় না । এই সমস্ত হব ইত্যাধি বৰ্ত্তমান কালের ইতিহাস আরম্ভ হইবার বহু পুর্বের—তাহীদের বয়স নির্ণয় করা সকল সময় সহজ হয় না । এখন অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ এই-সমস্ত আবিষ্কারের কাৰ্য্যে লিপ্ত রহিয়াছেন। তাহদের এক-একটি আবিষ্কারে মানুষ বিস্ময়ে অবাক হইয় যায়। দুই হাজার বছরের পূৰ্ব্বে লঙ্কাদ্বীপে অনুরাধাপুর নামে এক বিশাল সহর ছিল। এই সহরটি ধ্বংস হইয়া মাটি-চাপ পড়ে। সম্প্রতি একদল বৈজ্ঞানিক এই সহরটি আবিষ্কার করিয়াছেন। ইজিপ্টের আলেকজেণ্ডিয়াতে একজন ফরাসী বৈজ্ঞানিক সমুদ্রের জলে নানা-প্রকার পরীক্ষা করিয়া বলিতেছেন যে, জলের নীচে বহুকাল