পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সাহিত্যসাধন নিভিয়া আসিয়াছে । সিনজে জীবিত নাই, রাসেল অর্থনৈতিক সমস্তার সমাধানে আত্মলিয়োগ করিয়াছেন, লে৬ি গ্রেগ্রারি অবসর-স্বথ সম্ভোগ করিতেছেন, পাণ্ড রেইক ওকোনর শিশুদিগের মনোরঞ্জনার্থ গল্পরচনায় ব্ৰতী হইয়াছেন। ভাগ্যবিধাত কিন্তু ইয়েটুসের প্রতি স্বপ্রসন্ন। আইরিশ স্বয়ত্ত-শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হইতেই নানারূপ রাজসন্মান লাভ ইহঁর ভাগ্যে ঘটিয়াছে। ডাৰলিনের টি নিটি কলেজ হইতে ইনি ডক্টর অব লিটারেচার অর্থাৎ সাহিত্যাচাৰ্য্য উপাধি লাভ করিয়াছেন। আইরিশ মহাসভার সভ্যরূপে মনোনীত হইয| স্বকুমাব-কলাসচিব ( minister of fine arts ) হইয়াছেন । যখন ইংরেজ-সরকারের সহিত আইরিশ জাতীয় দলের রাষ্ট্ৰীয সংঘর্ষ চলিতেছে তখন ইংলণ্ডেশ্বরের বিশেষ আগ্রহে প্রধান মন্ত্ৰী লয়েড জর্জ উত্তর ভারতীয় বঙ্গ-সাহিত্য-সম্মিলন حمیریه حریصه حیره احیه A^^ AMMMM SAMJAMMMJMJAJJAMMAJAJJAMMMJMMMJJJJJ يوبي محصورة عمره -حسمـه عربة-حمم - 6:86: ইয়েটসকে নাইট উপাধিতে ভূমিত করিতে চাহেন; কিন্তু স্বদেশপ্রেমিক ইয়েটস্ দেশবরীর এই আদর প্রত্যাখ্যন করেন। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে ইহঁর *** *@* The Wandering of the Oisin offs on 1 Celtic Twilight, Countess Kathaleen 3 Land of Heart's Desire নামক পুস্তকত্ৰয়ই অন্তহু পুস্তক হইতে সমধিক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে । রবীন্ম-সাহিত্যেব ইনি একজন ভক্ত এবং রবীন্দ্রনাথকে ইংংেজ-পাঠক-মহলে গরিচিত করাইতে র্যাহার প্রথমে চেষ্ট পাইয়াছিলেন ইযেটুস ওঁtহীদের মধ্যে একজন প্রধান । আইরিশ জাতীয অভিনযশালার প্রতিষ্ঠা-বজনীতে ইহঁtল কাউন্টেস ক্যাথtfবন নামক নাটক অভিনয হয় । শ্ৰী প্রভাত চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় উত্তর ভারতীয় বঙ্গ-সাহিত্য-দন্মিলন

  • দ্বিতীয় অধিবেশন

প্রয়াগ সংক্ষিপ্ত বিবরণ স্থনীল আকাশের নীচে কালিনীর হবিং-ক্ষেত্রসুশোভিত তীরেব উপরিস্থ মনোহর টুকীব-হলে পৌষের মধ্যাহ রবির সুমধুর উষ্ণতায় অনুপ্রাণিত হইয়া সহস্র পরিমিত নর-নারী ও বালক-বালিকা লইয়া বন্দেমাতরম্ উদ্বোধন-সঙ্গীত ও বাগদেবী-বন্দনার পর এই অধিবেশনের কার্য্য আরম্ভ হয়। অবসর-প্রাপ মাননীয় বিচারপতি সাবু শ্ৰীযুক্ত প্রমদাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই অধিবেশনের পৃষ্ঠপোষক রূপে প্রতিনিধিগণ ও অপর অভ্যাগত ভদ্রমণ্ডলীকে অভ্যর্থনা করেন । প্রবাসী বাঙ্গালীর ভtযার স°রক্ষণের জন্ম এবং পরস্পরের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য এতদিন যে এরূপ কোন চেষ্ট হয় নাই সেজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন । অতঃপর অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় নিজের অভিভাষণ পাঠ করেন । তিনি বলেন—“অদ্যকার এই জনহিতকর অতৃষ্ঠান এদেশবাসী বাঙ্গালীর এক অক্ষয় কীৰ্ত্তি ।” তাহার মতে পরস্পরের মধ্যে একতা স্থাপন করিয়া প্রবাসী বাঙ্গালীর বাঙ্গালীত্ব রক্ষার উপায় উদ্ভাবন করা একান্ত আবশ্যক ; এবং সাহিত্য চর্চাই ইহার প্রধান উপায়, কেন না “পুথিবীতে যত জাতি উন্নত হুইয়াছে তাহীদের ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে দেখা যায় তাহদের উন্নতি ও সভ্যতার মূলে একমাত্র সঠিত্যচর্চ| ” জাতীয় উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যদি সামাজিক উন্নতিও সংগঠিত হইতে পারে তাহ হইলে তিনি মনে করেন এই সম্মিলন মহিমামণ্ডিত হইতে পরিবে । এই অভিভাষণের পর অধিবেশনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক যুক্ত-প্রদেশের প্রধানতম হিসাব-রক্ষক ( accountant general ) CH GHfH Hf=fq3 Hfqist প্রবীণ শযুক্ত জ্ঞানশরণ চক্রবর্তী মহাশয় তাহীর স্বরচিত ভাবপূর্ণ এক কবিতা অfবৃত্তি করিয়া সম্মিলনের অভিনন্দন করেন । তাহার মতে মাতৃসেবার জন্য প্রবাসী বঙ্গলী আদ্য হইয়াছে এবং যাহার। এই কার্থেব জন্য অবসব করিতে পfরে না তাহার। বাঙ্গালী নামের অযোগ্য । অতঃপর কার্য্যাধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত প্ৰসন্নকুমার আচাৰ্য্য মহাশয়ু এই সাহিত্য-সম্মিলনের জন্মকথা, ইহার জীবনের উদ্দেশ্য এবং সিদ্ধিলাভের উপায় প্রাঞ্জলভাবে দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্য্য-বিবরণের সঙ্গে সঙ্গে রসাত্মক ভাষায় সমবেত