পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 &W3 AMAMASAMA AM MAeAeeAeAMSMAeeAMAAAA ه دومیه স্বীকার্য্য। র্তাহার প্রচারিত রফানামার কোথায়ও একথা দেখিতে পাই না, যে, উষ্ঠা একটি খসড়া মাত্র । fzf-i constructive scheme Strza, sists gaļa প্রস্তাব চাহেন, যাহা হিন্দু-মুসলমানের একতা সম্পাদনের সহায়তা করে। শ্রযুক্ত আনসারি ও লাজপত রায় মহাশয়দ্বয়ের উপর এরূপ একটি national pact Ki জাতীয় মীমাংসাপত্র প্রস্তুত করিবার ভার অর্পিত ছিল, এবং র্তাহার কাকিনাড়া কংগ্রেসে যে খসড়াটি উপস্থিত করিয়াছিলেন, তাহা সৰ্ব্বাংশে দেশবন্ধুর প্রস্তাব অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । হিন্দু-মুসলমানের পৃথক নিৰ্ব্বাচন-নীতি সম্বন্ধে মণ্টেগু সাহেব র্তাহার রিপোর্টের ২২৯ প্যারাগ্রাফে বলিয়াছেন, “it is difficult to see how the change from this system to national representation is to occur” অর্থাৎ এই ভেদমূলক প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচন হইতে জাতীয় নিৰ্ব্বাচন-নীতিতে কি প্রকারে পৌছান যায়, তাহা বুঝ শক্ত। ব্যবস্থাপক সভায় হিন্দু ও মুসলমান প্রতিনিধির ংখ্যা নির্দিষ্ট রাখিয়া, হিন্দুমুসলমান ভোটদাতাগণের একটি মিলিত তালিকা প্রস্তুত করিয়া, প্রত্যেক হিন্দু ও মুসলমান প্রতিনিধির উভয়ধৰ্ম্মাবলম্বী ভোটার দ্বারা নিৰ্ব্বাচনের ব্যবস্থা করিলে, কালক্রমে মুসলমান ও হিন্দুর স্থায়ী মিলনের পথ উন্মুক্ত থাকিবে, অথচ আপাতত: লক্ষ্ণৌ কংগ্রেসের নিদ্ধারণানুসারে ব্যস্থাপক সভায় মুসলমানদের বাঞ্ছিত পৃথক নিৰ্ব্বাচন-ক্ষেত্রও রুদ্ধ হইবে না। ềzfề zi#S cito storitz constructive scheune অর্থাৎ জাতিগঠনোপযোগী প্রস্তাব । দেশবন্ধু যদি ভেদমূলক নিৰ্ব্বাচন প্রথার গণ্ডী ব্যবস্থাপক সভায় আবদ্ধ রাখিয়া মুসলমান সভ্যদিগকে এরূপে তাহার গতিপরিবৰ্ত্তন করিতে সম্মত করিতে পারিতেন, তবেই মুসলমান ‘স্বরাজ্যসভ্য' নাম সার্থক হইত, এবং তাহারা যে তাহার স্বরাজ্যদলভুক্ত, তাহার কিছু পরিচয় পাওয়া যাইত। কিন্তু তাহার রফা-নিম্পত্তির ফলে পৃথক নির্বাচন-ক্ষেত্র কেবল ব্যবস্থাপক সমিতির কক্ষে আবদ্ধ না থাকিয়া গ্রাম্য স্বায়ত্তশাসন-কেন্দ্রগুলিতে পৰ্য্যন্ত প্রসারিত হইয়াছে ; যে দলাদলি ও ভেদনীতি কেবল বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে প্রবেশলাভে সক্ষম হইয়াছিল, প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড عیین جهت خیریه حمامی هخایی - তাহা এখন দেশময় প্রসারিত হইয়া সৰ্ব্বত্র ঈর্ষ্যাম্বেষের ধূমায়িত বহিকে প্রদীপ্ত দাবানলে পরিণত করিবার সুযোগ লাভ করিয়াছে। এই কারণে ও অন্যান্ত বহু সঙ্গত কারণে প্রবীণ হিন্দু কংগ্রেসনেতাগণ দেশবন্ধুর প্রস্তাবিত মীমাংসার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিয়াছেন । বাংলাদেশে স্বরাজ্যদলে প্রবীণ রাজনীতিবিদ কেহই নাই, রাজনীতি-ক্ষেত্রে তাহীদের অধিকাংশই আখ্যাতনামা । স্বরাজ্যদলের বাহিরে আর কোন হিন্দু নেতা দেশবন্ধুর রফানিস্পত্তির সমর্থন করেন বলিয়া আমাদের জানা নাই। তথাকথিত মুসলমান স্বরাজ্যসদস্যগণকে স্বীয় দলে রাখিবার জন্য বাধ্য হইয়া দেশবন্ধু ঈদৃশ রফীনামায় সম্মত হইয়াছেন, তাহার স্বাধীন বিচারবুদ্ধি দ্বারা প্রণোদিত হইয়া নহে। নিজের দলের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখিবার উদ্দেশ্যে তিনি তাহার দেশবাসীদিগের প্রকৃত স্বর্থ বলি দিয়াছেন, স্বরাজ্য-সভ্যগণ ব্যতীত অপর সকল শ্রেণীর হিন্দুগণই এরূপ মনে করিতেছেন। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অবশ্যই চাই, কিন্তু তিনি প্রকৃত পক্ষে দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাধীনতা চাহেন না, তিনি চাহেন স্বীয় দলের স্বাধীনতা এবং সৰ্ব্বোপরি নিজের যা খুসি তাই করিবার অধিকার । রাজনীতিক্ষেত্রে প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ভাবে স্বাধীনতার দাবী করিলে দলগঠন করা চলে না ; সেইজন্য ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কতকটা খৰ্ব্ব করিয়া দলের ঐক্য ও কাৰ্য্যকরী শক্তি রক্ষা করা হয়। Party system বা দল গঠনের ও তস্থার কার্য্য পরিচালনের স্বপক্ষে ও বিপক্ষে অনেক কথা বলা যায় ; তবে এখানে মোটামুটি ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে, যে, যতক্ষণ দলের বা সম্প্রদায়ের মত ব্যক্তিগত বিবেক বা বিচারবুদ্ধিকে অতিক্রম করিয়া না উঠে, ততক্ষণ সজঘমতের নিকট আত্মমত বিসর্জন না করিলে দল গড়িয়া তোলা যায় না। কিন্তু দল গড়িতে গিয়া কাহারও বিবেক বা ন্যায়ফুদ্ধিকে বলিদান করা সঙ্গত নহে। দেশের কল্যাণকে দলের ক্ষুদ্র স্বার্থের নিকট পরাজয় স্বীকার করিতে দিলে দেশকে ত বঞ্চনা করা হয়ই, দলও বেশী দিন টিকিয়া থাকে না ; কারণ