পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q(tba S AAAA S SAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA ی می. مبی حصی. م ----یہ শিক্ষাদান-পদ্ধতি, শিশু, বালকবালিকা ও তরুণবয়স্ক ব্যক্তিদের মনস্তত্ত্ব স্লম্বন্ধে জ্ঞান এবং সেই জ্ঞানকে প্রয়োগ করিবার দক্ষত চাই। এইজন্য পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে শিক্ষাদান (pedagogy) একটি বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানসমষ্টি বলিয়া গৃহীত হইয়াছে । উহা শিখাইবার জন্য বিস্তর শিক্ষালয় আছে, এবং উহার সম্বন্ধে প্রভূত আলোচনা ও গবেষণা হইতেছে । কেরানীগিরি ও মাষ্টারী ছাড়া যে-সব সরকারী কাজ আছে, তাহাতে ত সাধারণ শিক্ষা ও জ্ঞান ছাড়া বিশেষরকম শিক্ষা ও জ্ঞান চাইই । যেমন, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যরক্ষ, এঞ্জিনিয়ারিং, পশুচিকিৎসা, কৃষির উন্নতিসাধন, বিচার, ভূতত্ত্ব ও খনিজসম্বন্ধীয় কাজ, অরণ্য-বিভাগের কাজ, কলকারখানা বিভাগের কাজ, স্থলযুদ্ধ, নৌযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, ইত্যাদি। পুলিসের কাজ, বিশেষতঃ নিম্নশ্রেণীর পলিস কৰ্ম্মচারীদের কাজ, সমাজে এখন ও হেয় বিবেচিত হয় । তাহার কারণ সম্বন্ধে বিচার না করিয়া বলা ধাইতে পারে, যে, পুলিসের কাজ, এমন কি নিম্নতম পুলিসের অর্থাৎ কনষ্টেবলের কাজ, করিতে হইলেও সাধারণ শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন । আমাদের দেশের পুলিসের অন্য সব সভ্যদেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অক্ষমতার একটা প্রধান কারণ, তাহাদের সাধারণ শিক্ষণ ও বিশেষ শিক্ষার অভাব বা অল্পতা । কন্‌ষ্টেবলের কাজ ৪ যে-সে AAAAAAAS S AAAAAS AAAS S AAJ S ভাল করিয়া করিতে পারে না । গত মহাযুদ্ধের সময় দেখা গিয়াছে, এবং আগেও জানা ছিল, যে, যাহাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়, তাহারা সৈন্তসংখ্যা, অর্থবল, অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধের অন্ত সরঞ্জাম, ইত্যাদিতে সমকক্ষ হইলেও, যে পক্ষের সৈন্যেরা বেশী শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান, জিং সাধারণতঃ তাহারই হয় । এখানেও শিক্ষার প্রাধান্য দেখা যাইতেছে । অতএব, সাধারণতঃ ইহা বলা যাইতে পারে, যে, অন্য সব-রকম কাজের মত, সরকারী চাকরীও যে-রকমেরই হউক ন,তাহাতে তদনুরূপ যোগ্যতার আবশ্যক । যোগ্যতার মধ্যে চারিত্রিক শক্তি আছে, স্বাভাবিক বুদ্ধি আছে, শিক্ষা দ্বারা মার্জিত বুদ্ধি আছে, সাধাবণ ও বিশেয শিক্ষণ ও জ্ঞান প্রবাসী-মাঘ, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SJA SAAJ SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA AJJJJJJJJJJJJSAAAAAA S আছে । মোটের উপর বলা যায়, যে, যোগ্যতার ভিত্তি স্থাপিত হয় শিক্ষার উপর । কতক শিক্ষা পরোক্ষভাবে পরিবার ও প্রতিবেশীবর্গের নিকট হইতে লব্ধ হয়, বাকী শিক্ষালয় হইতে এবং পুস্তকাদি হইতে লব্ধ হয়। ইতিহাসের সাক্ষ্য এখন ইতিহাসের কথা বলি। হিন্দু জৈন বৌদ্ধ প্রভৃতি ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকেরাই যখন প্রধানতঃ ভারতবর্ষের অধিবাসী ছিলেন, তখন তাহারা ও র্তাহীদের রাজার বা শাসনকৰ্ত্তার। এমন ভাবে দেশের কাজ ও সমাজের কাজ চালাইতে পারেন নাই, যাহাতে দেশের সকল শ্রেণীর অধিবাসীদিগের সর্ববিধ শক্তির বিকাশ হইতে পারে, এবং সকলের সমবেত শক্তি দেশহিত ও দেশরক্ষার কাজে প্রযুক্ত হইতে পারে। ভারতের প্রাচীন যুগ বলিতে বহুশতাব্দী বুঝায়। তাহার প্রত্যেক শতাব্দীতে দেশের প্রত্যেক অংশেই রাষ্ট্ৰীয় ও সামাজিক গঠন এবং উভয়ের কার্য্য সম্পাদনের রীতি এক-রকম ছিল না। কিন্তু মোটামুটি ইহা বলা যায়, যে, জাতিভেদ-প্রথা থাকার দরুন, দেশের লোকদের মধ্যে যে-কেহ যে-কোন কাজ করিতে ইচ্ছুক, শক্তি ও যোগ্যতা থাকিলে সে তাহা করিতে পাইবে, এরূপ রীতি ভারতে সে পরিমাণে ছিল না, যে পরিমাণে উহ বৰ্ত্তমান সময়ে পাশ্চাত্য দেশ-সকলে আছে । সেইজন্য দেশরক্ষার কাজ রাজাদের ও ক্ষত্রিয়দের ছাড়া যে অন্যদেরও কাজ, এই ধারণ জন্মে নাই । কিন্তু তাহা সত্ত্বেও জাতিভেদ-প্রথা-রূপ কৃত্রিম প্রথা মানব- প্রকৃতিকে নষ্ট করিতে বা চাপা দিতে পারে না,বলিয়া, আমির ভারতের অতীত ইতিহাসে শূদ্র রাজা, ব্রাহ্মণ রাজা, প্রভৃতি দেখিতে পাই। মধ্যযুগে যখন মহারাষ্ট্ৰীয়েরা প্রবল হইয়াছিল, তখন, কেবল ক্ষত্রিয়েরাই রাজা ও ধোদ্ধা হইবে, এই নিয়মের ব্যতিক্রম দ্বারা হইয়াছিল যাহ। হউক, আমাদের এখানে মোটামুটি বক্তব্য এই, যে, হিন্দু জৈন বৌদ্ধ প্রভৃতিদের দেশরক্ষার অক্ষমতার একটি কারণ এই, ধে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে যোগ্যতমের আদর হইবে, এই আদশ স্থাপন করিবার চেষ্টা না করায় তাহারা অযোগ্য হইয়া পড়িয়া