পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○やや S AAAAAS AAAASS AAAA S AAAAA AAAA S AAAASS SSAAAS করে । কিন্তু স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইলে “চাকর্যে"-রাজ ত থাকিবে না । এখানে বলা দরকার, সবুকারী ডাক্তার, সরকারী অধ্যাপক, প্রভৃতি কতকগুলি চাকর্যেকে সেন্সাস রিপোর্টে সরকারী কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহ বিভাগে না ধরায়, মোট সরকারী চাকর্যেদের এবং তাহাদের পোষ্যদের সংখ্যা কিছু কম দাডাইয়াছে । কিন্তু তঁtহাদের সকলকে ধরিলেও ংখ্যা ৪ লাখের উপর হইবে না । ভিন্ন ভিন্ন পেশায় হিন্দু-মুসলমানের ভূয়িষ্ঠতা বস্তুত:, সরকারী চাকরীর ভাগ লইয়। এই যে হিন্দু-মুসলমানের ভাগ-বাটোয়ারার তর্কবিতর্ক, ইহাতে ইংরেজী-জানা মুসলমানের তাহীদের ক্ষুদ্র শ্রেণীগত স্বার্থপ্রণোদিত হইয়া যুঝিতেছেন ; তাহারা সবাই চাকরী পাইয় গেলেও বাকী আড়াই কোটিব অধিক মুসলমানের অন্নসমস্ত। যেমন আছে, তেমনই থাকিবে । চাকরী প্রত্যাশী শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হিন্দুদের সম্বন্ধেও এই মন্তব্য অনেকটা প্রযোজ্য ; কিন্তু শিক্ষিত মুসলমানদের পক্ষে যতটা প্রযোজ্য, ততটা নহে । তাহার কারণ বলিতেছি। শিক্ষিত মুসলমানেবা অশিক্ষিত দরিদ্রতর মুসলমানদের ভাবনায় অধীর হইয়া পড়িতেছেন না, বলিলে বিন্দুমাত্রও অন্যায় কথা বলা হয় না ; কারণ, আমরা বরাবর দেখিয়া আসিতেছি, ভিক্ষে, ভূমিকম্পে, ঝড়তুফানে, জলপ্লাবনে, মহামারীতে যখনই মুসলমানপ্রধান কোন জেলা বা জেলাসমষ্টি বিপন্ন হয়, তখন জাতি ও ধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে বিপল্পদিগকে সাহায্য দান করে প্রধানতঃ বা কেবলমাত্র হিন্দুরা। এরূপ কাজে মুসলমান কৰ্ম্মী ও দাতাদের সংখ্যা বরাবরই খুব কম দেখা যায়। অথচ, চাকরীর দাবী কিম্বা ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধিত্বের দাবীর বেলায় সমস্ত মুসলমান সম্প্রদায়েব নামে সিংহের ভাগটি দাবী করিতে এই কৰ্ত্তব্যবিমুখ শিক্ষিত মুসলমানরা খুবই তৎপর। শিক্ষিত হিন্দুরা সৰ্ব্বসাধারণের হিত প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩০ SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAM MAMAMAM AMMAAA S SAAA AAAASAAAA S AAA S AAAAA AAAAS AAAAAM MM SAS SSAS SSMSAMAAA SAAA AAAASAAAAS AAAAAS AAAS SAAAAAS AAAAASAM MAM MMeA AMMMAAA SA [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড সাধনে যথেষ্ট পরিমাণে মনোযোগী ন হইলেও মুসলমান অপেক্ষ অধিক মনোযোগী । যাহা হউক, এসব হুক্ কথা লিখিলে শিক্ষিত মুসলমানদের আত্মসংশোধন না করিয়া চটিয়া যাইবার সম্ভাবনাই বেশী। চটাইবার ইচ্ছা আমাদের নাই। অথচ ত্য গোপন করা ও উচিত নহে বলিয়া কিছু লিখিলাম । এখন আমাদের প্রধান বক্তব্য বলি । সেন্সস রিপোর্টে দেখিতে পাই, সাধারণ মুসলমান চাষীর সংখ্যা সাধারণ হিন্দু চাষীর সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ; হিন্দু চর্যাব সংখ্যা কমিয়াছে, মুসলমান চাষীর সংখ্যা বাড়িয়াছে ; কিন্তু জমীদার, তালুকদার, পত্তনীদার, প্রভূতিদের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা মুসলমানের প্রায় দ্বিগুণ ও বড় জমীদার প্রায় সকলেই হিন্দু । এইসব তথ্য হিন্দু মুসলমান উভয়েরই জানা ও মনে রাখা উচিত । মোগলরাজত্বকালে ও অনেক বড় বড় হিন্দু ভূস্বামী ছিলেন, কিন্তু বড় মুসলমান জমীদlরও অনেক ছিলেন । সেন্সস রিপোটে বড় মুসলমান জমাদার বেশী না থাকার ছুটি কাবণ নিদিষ্ট হইয়াছে । প্রথম, মুসলমান উত্তবাধিকার আইন অনুসারে সম্পত্তি বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হইয়া থাকে । দ্বিতীয়তঃ, ব্রিটিশ রাজত্বের প্রথম ভাগে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পরে, প্রথম প্রথম জমীদাবী বিক্ৰী হইয়া যাইবার আইন ( Sale Laws ) অনুসাবে অনেক জমাদারদের চতুর হিন্দু কৰ্ম্মচারীর ঐ স্থধোগে উহ! কিনিয়া লয়। সেন্সস রিপোটে ইহাও লিখিত হইয়াছে, যে, পুরাতন অনেক হিন্দু জমীদার-বংশেরও এই-প্রকারে পতন ঘটে ; কিন্তু প্রায় সব স্থলেই ক্রেতার ছিল হিন্দু। এই-সব কথা সত্য হইলে ইহার মধ্যেও মুসলমানদের এক-রকমের অধোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ, তাহাদের হিন্দু কৰ্ম্মচারীরা যদি এতই চুবুদ্ধি ও চতুর ছিল, তাহা হইলে তাহারা সেকালে মুসলমান কৰ্ম্মচারী রাখিলেই পারিতেন। কিন্তু শুনিতে পাই, একালেও মুসলমান জমীদারের অনেক লেই হিন্দু কৰ্ম্মচারী রাখেন। স্বতরাং হিন্দুরা মুসলমানদের চেয়ে ধূৰ্ত্ত ইহা স্বীকার করিলেও, তাহারা যে যোগ্যতায়ও শ্রেষ্ঠ, তাহাও স্বীকার করিতে হয় । কারণ,