পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Փ Տ Ե ASeSMSMS AeMSAMSAMMSAASAASAASAASAASAASAASAAeMAMS নির্দিষ্ট ভাগ ও তাহার। পাইবে । স্বতরাং স্বরাজ্যদলের হিন্দু সভ্যেরা হিন্দুসমাজের এইসকল শ্রেণীর লোকদিগকে কি কাৰ্য্যতঃ বলিয়া দিতেছেন না, যে, “তোমরা মুসলমান হইয়া যাও ; তাঙ্গ হইলে তোমাদের সামাজিক ও আর্থিক উভয় সুবিধাই হইবে° ? এরূপ যুক্তি প্রদর্শিত হইতে পারে, যে, মুসলমানদিগের অসন্তোষ দব করিবার জন্য খুব বেশী পরিমাণে তাহদিগকে সরকারী চাকরী দেওয়া উচিত। মুসলমান কেন, সব সম্প্রদায়ের লোককেই তাম্য ও বৈধ উপায়ে সন্তুষ্ট করা অবশ্যই কৰ্ত্তব্য । কিন্তু শিক্ষিত ও যোগ্যতম হিন্দুর দাবী অগ্রাহ করিয়া অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য অহিন্দুকে চাকরী দিলে হিন্দুর অসন্তোমও যে বাড়িবে, তাহাও বিবেচ্য। বাংলায় হিন্দুরা সংখ্যায় কম বটে, কিন্তু তাহাদের অসন্তোষ তুচ্ছ ও অবজ্ঞেয় মনে করা উচিত নয়। মল-মিণ্টে। শাসনসংস্কার হিন্দু আন্দোলনের জোবেই হইয়াছিল। বঙ্গেব অঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রধানতঃ হিন্দু আন্দোলন। তাঁহাতে সরকারকে বিচলিত হইতে হইয়াছিল। বোমার উৎপাত, এবং রাজনৈতিক খুন ও ডাকাতি হিন্দু অসন্তোষের ফল । তাহাও সরকার তুচ্ছ মনে কবিতে পারেন নাই । আমর অবশ্য সরকারী চাকরী যথেষ্ট পরিমাণে না-পাওয়াটাকে একটা জীবন-মরণের ব্যাপার মনে কবি না; তাহার জন্য বিপ্লবচেষ্টারও দরকার দেখি না। কিন্তু বেকাব-সমস্যা প্রধানতঃ চাকরীজীবী মধ্যবিত্ত শিক্ষিত হিন্দুদের সমস্যা । এই সমস্যাকে আরও উৎকট করিয়া তোলা রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচায়ক হইবে কি না, বিবেচনার বিষয় । কালক্রমে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগ্য ও যোগ্যতম লোকের সংখ্যা বাড়িবে। ক্রমশঃ তাহারা নিশ্চয়ই বেশী করিয়া সরকারী চাকরী পাইতে থাকিবেন, এবং হিন্দুরাও ক্রমশঃ অন্যান্য বৃত্তি অবলম্বন করিবে । এইরূপ ক্রমশঃ পরিবর্তনে কোন সমস্যার উদ্ভব হইবে না। শিক্ষিত বেকরের দল বাড়িলে তাহারা জীবিক নিৰ্ব্বাহের জন্য যে-সকল সাধু উপায় অবলম্বন করিতে পারে, চাষ তাহার অন্যতম । কিন্তু চাষে ক্রমশঃ মুসলমানের আধিপত্য বাড়িতেছে। শিক্ষিত হিন্দু, মুসলমান চাষীকে চাষের প্রবাসী—মাঘ, Yooe .^^^^^^^^^^_TarunnoBot (আলাপ) ১৩:৪৩, ১২ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ہمہ "می**"منتخحیص. কাজে আইনসঙ্গত ভাবে কিয়ৎ পরিমাণেও বেদখল করিলে তাহাতে মুসলমান সম্প্রদায়ের সন্তোষ বাড়িবে কি ? দেশের শিক্ষালয়গুলিতে যোগ্যতম লোক রাখা দরকার । সরকারী তহবিল হইতে শিক্ষার জন্য যত টাকা দেওয়া চলে, তাহাতে যতদূর যোগ্য লোক পাওযা সম্ভব, নিযুক্ত করা উচিত। নতুবা শিক্ষার সম্যক্ উন্নতি হইতে পারে না। কিন্তু শিক্ষাদাতা নিয়োগের সময় কেবলমাত্র যোগ্যতার বিচার না করিয়া ধৰ্ম্মের বিচার করিলে, সরকারী শিক্ষালয়গুলির উৎকর্ম রক্ষিত হুইবে না, বরং কমিবে । অন্য দিকে বেসরকারী শিক্ষালয়গুলি ধৰ্ম্মের বিচার করিয়া লোক রাখিতে বাধ্য না থাকায়, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি অপেক্ষ উৎকৃষ্ট হইবে । সুতরাং সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি সৰ্ব্বসাধারণের শ্রদ্ধ৷ হারাইয়া ছাত্র কম পাইবে ও অধিকতর ব্যয়সাধ্য হইয়া উঠিবে। তখন সেগুলি বহু ব্যয়ে বঁাচাইয়া রাখা কি সবুকারী টাকার অপব্যয় হইবে না ? অথচ, না রাখিলে মুসলমান সম্প্রদায়ের অসন্তোষ জন্মিবে । এই উভয়সঙ্কট হইতে পরিত্রাণ লাভের একমাত্র উপায়, সকল সম্প্রদায়কে বল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতে কৰ্ম্মীর নিয়োগ ধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে যোগ্যতমেরই হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়, অতএব সকলে নিজ নিজ যোগ্যতা বুদ্ধির দিকে মন দিতে থাকুন । বিচার-বিভাগেও যোগ্যতম লোক রাখা দরকার । অবিচারে মামুষের বড় অনিষ্ট হয় এবং অসন্তোষ বাড়ে । মুসলমানের সংখ্যা বেশী বলিয়া যোগ্যতম বিচারক না রাখিলে তাহদের অনিষ্ট ও অসন্তোষই বেশী হইবে । অথচ ধৰ্ম্মের দিকে লক্ষ্য রাখিতে গেলে যোগ্যতম লোক রাখা চলিবে না । তা ছাড়া, প্রতি বৎসর একৃটিনি করিবার ও পাকা মুনসেফ হইবার জন্য যতগুলি এম্-এ বি-এল দরকার হয়, তাহার রকম দশ আনা বার আনা চৌদ্দ আন এম্-এ বি-এল, অন্ততঃ শুধু বি-এল, কি মুসলমান-সমাজ পাস করেন ? অসহযোগীদের, সুতরাং স্বরাজ্যদলেরও লোকদের, সরকারী শিক্ষালয় ও আদালতগুলিকে অশ্রদ্ধেয় ও অকেজো করিবার অভিপ্রায় আছে বটে। যোগ্যতম