পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । اسامی عیسی مسی حسامح AMMAMMAMA AMAMAMAAA AAAAA সংখ্যায় কম হইলেও ভারতীয়, এবং মহৎ কাজ করিয়াছে। তাহাদের কথা ভুলিলে চলিবে না। আমরা কিন্তু সম্প্রদায়বিশেষের এরূপ আর্থিক লাভালাভের দিক দিয়া এ বিষয়টির আলোচনা করি নাই, করা বাঞ্ছনীয়ও মনে করি না; যাহাতে সমগ্র বাংলাদেশের ও উহার অধিবাসী পৌনে পাচ কোটি বাঙালীর স্থায়ী কল্যাণ হয়, সেইরূপ ব্যবস্থারই আমরা পক্ষপাতী । যে যে-কাজের যোগ্যতম, অরাধে সে তাহা করিতে পাইবে, এই নীতি অনুসরণ ভিন্ন কোন জাতির স্থায়ী কল্যাণ নাই । ইহা আমরা ইতিহাস হইতে দেখাইয়াছি। সংখ্যাধিক্য কিস্ব বলাধিক্য-বশতঃ সব রকম কাজ হস্তগত হইলেও, মুসলমানের কিম্বা হিন্দুরা, অথবা ভারতীয় হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ জৈন প্ৰাসী শিখ খৃষ্টয়ান প্রভৃতির সম্মিলিত ভাবে ভারতের সব-রকমের রাষ্ট্ৰীয় কাজ, কলকারখানা রেল ষ্টীমার খনি প্রভৃতির কাজ, এখ, ই সব নিজেরা চালাইতে পারিবেন না, তাহারা নিজে সমর্থ না হওয়া পৰ্য্যস্ত অন্ত লোকদের সাহায্য লইতে হইবে । অতএব, অধৈর্ষ্য ভাল নয় ; সকলেই যোগ্যতম হুইয়। জীবনের সকল বিভাগের কাজ যিনি যতটা পারেন, ক্রমশঃ অধিকতর পরিমাণে করিতে থাকুন। ংগ্রেসে সভাপতির বক্তৃত৷ এবারকার কংগ্রেসে সভাপতি মৌলানা মহম্মদ আলীর বক্তৃতা অতিশয় দীর্ঘ হইয়াছিল ; কিন্তু উহাতে তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহাতে জ্ঞাতব্য এবং আলোচনার যোগ্য কথা অনেক আছে । অভিভাষণটির রচনাবীতিও উৎকৃষ্ট । হিন্দুমুসলমানের মিলন ও সদ্ভাব ব্যতিরেকে ভারতবর্যের রাষ্ট্রীয় এবং অন্যবিধ উন্নতিও অসম্ভব । এই উদ্বেগু সাধনার্থ মৌলান; সাহেব বলেন, যে, অধিকাংশ ঝগড়া দ্বন্দ্ব ও দাঙ্গ হাঙ্গামা সামান্য কারণে ঘটে ; উভয় সম্প্রদায়ের লোকে একটু ঔদার্ষ্য ও পরমতসহিষ্ণুতা অবলম্বন করিলে সমস্যার সমাধান ও সদ্ভাব রক্ষিত হইতে পারে। সাম্প্রদায়িক মিলনের জন্য সভাপতি মহাশয় কতকগুলি প্রস্তাব করেন ; যথা, আপোসে বিবাদ বিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেসে সভাপতির বক্তৃত৷ ASAMSMMSMAeeASAMAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMAMAAAS AAASASAAA AAAAS AAASASASASA AAA ¢ዓGo নিম্পত্তির জন্য উভয় ধৰ্ম্মের সম্মিলিত সদ্ভাবসম্পাদিক সমিতি, কংগ্রেস-প্রতিষ্ঠানগুলির ও সংবাদপত্রগুলির অবিরাম সাবধানতা ও সতর্কত, চাকরীতে এবং ব্যবস্থাপক সভা ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সভাসমিতিতে সাম্প্রদায়িক দাবী গ্রাহ করা সম্বন্ধে সদাশয়তা, ইত্যাদি। মৌলানা সাহেব মনে কবেন, যে, সাম্প্রদায়িক আলাদা প্রতিনিধি থাকায় হিন্দুমুসলমানের ঐক্য শীঘ্র স্থাপিত হইবে । আমরা মনে করি, যে, হিন্দু ও মুসলমানের বৰ্ত্তমান মনের অবস্থা যেরূপ, তাহাতে আলাদা প্রতিনিধি থাকা কিছুকাল পর্য্যস্ত দরকার । কিন্তু তাহাদের নিৰ্ব্বাচন সম্মিলিত হিন্দুমুসলমান নিৰ্ব্বাচকসমষ্টি দ্বারা হইলেই, কালক্রমে জাতিধৰ্ম্মনিবিশেষে সমুদয় প্রতিনিধি সমুদয় নিৰ্ব্বাচক দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত হইতে পরিবেন, এবং তখন পৌরজনপদ অধিকার ও কর্তব্য ( citizenship ) *risHCxi ato (national ) ox, সাম্প্রদায়িক ( communal ) থাকিবে না । অহিংসা সম্বন্ধে মৌলানা সাহেব বলেন, তিনি মুসলমান, এবং ইসলাম ধৰ্ম্ম অনুসারে বিশ্বাস করেন, যে, যুদ্ধ একটি অতিবড় অকল্যাণ, কিন্তু যুদ্ধ অপেক্ষাও অমঙ্গলকর জিনিষ আছে ; আবশ্যক হইলে তাহা নিবারণ করিবার জন্য যুদ্ধ করা উচিত ; যখন শক্র আস্ত্র বল ভিন্ন অন্ত কোন যুক্তি বুঝিবেন,তখন মুসলমান যুদ্ধ দ্বারাইসে যুক্তির নিবসন করিবে । “কিন্তু আমি মহাত্মা গান্ধীর সহিত কাজ করিতে রাজী হইয়াছি, এবং যতদিন তাহার সঙ্গে যুক্ত থাকিব ততদিন আত্মরক্ষার জন্যও আস্ত্র বল প্রয়োগ করিব না । এবং আমি স্বেচ্ছায় এই সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইয়াছি ; কারণ আমি মনে করি, যে, আস্ত্র বল প্রয়োগ ব্যতীত ও আমরা জয় লাভ করিতে পারি। ৩২ কোটি লোকের পক্ষে আস্ত্র বলের ব্যবহার নিন্দার বিষয় বলিয়াই বিবেচিত হওয়া উচিত। যদি অগ্নি বলের দ্বারা জয় লাভ করিতে হয়, তাহা হইলে উহা জাতির সকল শ্রেণীর দ্বার লব্ধ জয় হইবে না, কিন্তু প্রধানত: যোদ্ধা শ্রেণীদের দ্বারা লব্ধ জয় হইবে। কিন্তু তাহারা পৃথিবীর অন্য সব দেশ অপেক্ষ এদেশে অন্ত সব শ্রেণীর লোক-সকল হইতে বেশী বিচ্ছিন্ন ও পরস্পর