পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] جیبیھ؟ - مه-معبهه দুৰ্ব্বল রাখে, অথচ নিকটস্থ রাজ্যকে প্রবল হইতে সাহায্য করে, তাহাকে বুদ্ধিমান ও ন্যায়কারী বলা যায় না। আফগানিস্থানকেও ত ভারতবর্ষ বহু বংসর টাকা দিয়াছিল। তাহার ফল কিরূপ হইয়াছে ? ধ্যারিস্টার ও উকীল উকীলদের উপর ব্যারিষ্টারদের যে একটা কৃত্রিম শ্ৰেষ্ঠতা আছে, তাহ লোপের চেষ্টা হওয়ায় ব্যারিষ্টারদের পক্ষ হইতে অনেক বাজে কথা বলা হইতেছে । বস্তুতঃ, স্ববিচারের জন্য আমাদিগকে কেন যে চিরকাল ইংলণ্ডে-শিক্ষিত লোক আমদানী করিতে হইবে, তাহার কোনই কারণ নাই । এখানে যদি আইন শিক্ষার কোন ক্রটি থাকে, ত, তাহা স্বধরাইয়া লওয়া হউক । হাইকোর্টের অরিজিন্তাল সাইডে যদি এটণীদের মধ্যবর্তিত ব্যতিরেকে উকীল ও অন্য আইনজ্ঞের কাজ করিতে পান, তাহা হইলে- অপেক্ষাকৃত অল্প খরচে কাজ হয়, বিচারও কিছু খারাপ হয় না । ভারত-ধৰ্ম্মমহামণ্ডল লক্ষেী নগরে ভারত ধৰ্ম্মমহামণ্ডলের গত অধিবেশনে অবনত জাতিদের প্রতি সহানুভূতি, হিন্দুদিগের সংঘবদ্ধ হওন, আপদ-ধৰ্ম্ম, মালকানা রাজপুতদিগের ‘শুদ্ধি, প্রভৃতির আবশ্বকতা সম্বন্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ইংরেজী ‘resolution” কথাটির বাংলা সচরাচর “প্রস্তাব” করা হয়। কিন্তু উহার প্রাথমিক অর্থ “প্রতিজ্ঞা” । যাহারা প্রতিজ্ঞা রক্ষণ করে না, তাহারা জগতের সর্বত্র অমানুষ বিবেচিত হয়। এই জন্য জানিতে কৌতুহল হয়, ভারত-ধৰ্ম্মমহামণ্ডলের সভ্যের ও শ্রোতারা অবনত জাতিদের প্রতি সহানুভূতি কিরূপ আচরণ দ্বারা, কি কাজ দ্বারা, কোন কোন অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান দ্বারা দেখাইতে চান। ভূয়ো কথার কোন মূল্য নাই ; অধিকন্তু তাহ মানুষকে হাস্যাম্পদ ও অশ্ৰদ্ধার পাত্র করে । যৌগিক ও আত্মিক সভা কাকিনাড়ায় সমগ্রভারতীয় যৌগিক ও আত্মিক সভার অধিবেশনে সভাপতি শ্ৰীযুক্ত ভি ডি রাও র্তাহার অভিভাষণে বলেন, ধে, মানুষ যদি বুঝিতে পারে, যে, মৃত্যু বলিতে সাধারণতঃ যাহা মনে হয়, মৃত্যু বাস্তবিক তাহা নয়, তাহা হইলে মহাত্মা গান্ধী স্বদেশসেবকদিগকে মৃত্যুভয় অতিক্রম করিতে যে উপদেশ দিয়াছেন, তাহা অনেকেই পালন করিতে পারে। বিবিধ প্রসঙ্গ ইংরেজ খুন AA AHAeSMAMA AMAeAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMSAAAAAA AAASS মামুষের “স্ব” তাহার আত্মা | আত্মার মৃত্যু নাই । সকল দেশের ধাৰ্ম্মিক লোকেরা ইহা বিশ্বাস করেন । পরলোকগত অ{জুরি সহিত যোগ স্থাপন করিয়া ইহা প্রমাণ করিবার নানা চেষ্ট হইতেছে।. ইউরোপ আমেরিকায় এই যোগ সত্য কিনা, যোগলব্ধ বাৰ্ত্ত। সত্য কি না, ইহার মধ্যে কোন প্রতারণা আছে কি না, তাহ নিৰ্দ্ধারণের জন্য নানা বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বিত হইতেছে । এদেশে সেরূপ কিছু হইতেছে না। একেবারে কিছু বিশ্বাস না করা যেমন দোষ, বিনাপ্রমাণে সহজেই যা-ত বিশ্বাস করাও তেমনি একটা দুৰ্ব্বলতা । হিন্দুদের ভিন্ন ভিন্ন জাতির কনফারেন্স, হিন্দুসমাজের ভিন্ন ভিন্ন জাতির যে-সব কনফারেন্স, হয়, তাহাতে সেই সেই জাতির উন্নতির জন্য নানা-প্রকার প্রস্তাব ধার্য্য হয় । ইহা দোষের বিষয় নহে, আহলাদেরই বিষয়। কিন্তু প্রত্যেক বৎসরের কনফারেন্সে আগেকার বৎসরের প্রস্তাবগুলি অনুসারে কাজ কতটুকু হইল, তাহার একটি রিপোর্ট পঠিত হওয়া উচিত। যেমন ধরুন, স্ববর্ণবণিক কনফারেন্সে এবার স্থির হইয়াছে, ষে, বাল্যবিবাহ ও পণপ্রথা নিবারণ করিতে হইবে, এবং গ্রামের নানাবিধ উন্নতি সাধন করিতে হইবে । সম্ভবতঃ এইরূপ প্রস্তাব ইহঁদের এবং অন্য কোন কোন জাতির কনফারেন্সে আগেও ধার্য্য হইয়াছিল । স্বতরাং দেখা উচিত, যে, আগেকার বৎসরের প্রস্তাবগুলি কতদূর কার্ষ্যে পরিণত হইয়াছে। কোন কাজ না হইলে শুধু প্রস্তাব ধাৰ্য্য করিয়া কোন ফল নাই। কিন্তু যদি অল্প কাজও হয়, তাহা হইলে তাহা জাতির সকল লোককে জানাইলে উৎসাহ বৰ্দ্ধিত হয়। বিভিন্ন জাতির কনফারেন্সের পুরা রিপোর্ট, খবরের কাগজে বাহির হয় ন। । এইজন্য এইসব কথা আমরা আন্দাজী লিখিতেছি । আগেকার বৎসরের রিপোর্ট, এই-সকল কনফারেন্সে পঠিত হইয় থাকিলে তাহ মুখের বিষয় । šommarzo ইংরেজ খুন দৈনিক কাগজে দেখিতেছি, ২৭ পৌষ শনিবার সকালে এক বাঙ্গালী যুবক কলিকাতায় একজন ইংরেজকে গুলি করিয়াছে । ইংরেজটি গুলি খাইয় পড়িয়া যাইবার পরও হত্যাকারী তাহাকে আরও ছয় বার গুলি করে বলিয়া খবর বাহির হইয়াছে ৷ পলায়ন করিবার সময়ও ঘাতক কয়েক জনকে গুলি করে, এবং শেষে ধরা পড়ে । কাগজে বাহির হইয়াছে, যে নিহত ইংরেজকে এক