পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

حملے SAASAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS むbb" পরদেশী ভাব ও চিন্তা আদর্শ মাত্রকে বর্জন করি না ; —যদিও কেহ কেহ তাহা করিতে ও করাইতে চান। প্রথম হিড়িকে যখন বাঙালীর ছেলেরা স্কুল কলেজ ছাড়িতে চায় নাই, শুনিয়াছি তখন মহাত্মা গান্ধী পরিহাস করিয়া বাঙালীদিগকে "education-mad’ ‘শিক্ষণ-পাগল' বলিয়াছিলেন। আমাদের স্কুল-কলেজসকলে অধিকাংশ স্থলে প্রকৃত আদর্শস্থানীয় শিক্ষা দেওয়া হয় না, তাহা দুঃখ ও লজ্জার বিষয় বটে ; কিন্তু শিক্ষালাভের জন্য আত্যস্তিক আগ্রহ নিন্দা বা লজার বিষয় নহে । জ্ঞানলাভের জন্য বাঙালীর এই আগ্রহ ভালই। ইহার সহিত স্বরাজ্যলাভের আগ্রহের কোন বিরোধ নাই। ব্যক্তিগত “স্ব”-রাজ্য-সিদ্ধি বা সমষ্টিগত স্বরাজ্যসিদ্ধি অজ্ঞানীর দ্বারা হইতে পারে না। শিক্ষার বিকৃতি আমাদিগকে নকলনবীসের জাতি করিয়াছে বটে ; কিন্তু কেবলমাত্র দোকানদারের জাতি হইলেও তাহাও গৌরবের বিষয় হইত না। বঙ্গের ধন পৃথিবীর নানা বিদেশী জাতি এবং ভারতবর্ষের নানা জাতি আহরণ করিয়া ধনী হইতেছে, অথচ আমরা ক্রমশঃ দরিদ্রতর হইতেছি, ইঙ্গ আমাদের লজ্জা ও ক্ষোভের বিষয় বটে। কিন্তু অর্থকরী বিজ্ঞার দ্বারাই এই লজ্জা ও ক্ষোভ দূর করিতে হইবে, অজ্ঞতা দ্বারা নহে । এখনই দেখা যাইতেছে, যে, অনেক সরকারী ও বেসরকারী কারখানায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞানবিশিষ্ট দেশী কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে বাঙালীদেরও সন্মানিত স্থান হইতেছে। আধুনিক পণ্যশিল্পে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক বিজ্ঞানের প্রয়োজন খুব বেশী । এই দুই বিজ্ঞানে বাঙালী-প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। বাঙালীর এই প্রতিভা ও জ্ঞানের সহিত বাঙালীর মূলধনের সংযোগ হইলে বাঙালী পণ্যশিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারিবে । এই দিকে প্রবাসী বাঙালীদিগকে তাহাদের সমুদয় সুযোগের সদ্ব্যবহার করিতে হুইবে । সেই সভ্যতাই স্থায়ী এবং মামুষকে তৃপ্তি ও আনন্দ দিতে পারে, মাকুবের হিতসাধন করিতে পারে, যাহা সৰ্ব্বতোমুখী ও সৰ্ব্বাঙ্গীণ। ধৰ্ম্ম সাহিত্য বিজ্ঞান শিল্প দর্শন প্রভৃতি সকল দিকে লক্ষ্য থাকিলে, যেরূপ সভ্যতার প্রবাসী—কাঙ্কন, ১৩৩৯ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeMSAASAASAASAASAASAAAS

  • दिकां* श्ञ, डांशझे दtश्नौञ्च । भांछ्व नउI 5ांग्र, छांन्

{ २७* छागं, २ब्र वe চায়, মাছুষ শক্তি চায়, মানুষ শিব শুভ মঙ্গল চায়, মাছুষ আনন্দ শুচিতা ঐ সৌন্দর্ঘ্য চায় । কোন সভ্যতাতে ইহার কোনটির অভাব হইলে, তাহা অঙ্গহীন, অস্থায়ী, মানবের কল্যাণ সাধনে অক্ষম হইবে । বাঙালীর সকল দিকে যথেষ্ট দৃষ্টি আছে, বলিতে পারি না ; কিন্তু ভারতীয় অন্ত কোন জাতি বাঙালীর চেয়ে এবিষয়ে বেশী দৃষ্টি দিয়াছেন, মনে হয় না । ধৰ্ম্ম বিষয়ে দেখা যায়, ৰঙ্গে হিন্দু ধর্মের পুনরুজ্জীবন চেষ্ট হইয়াছে ; থষ্টীয় ধৰ্ম্মে ভারতীয়তা আনয়নের চেষ্ট হইয়াছে ; সত্যপীর পূজাদি দ্বারা মুসলমান ধৰ্ম্ম ও হিন্দু ধৰ্ম্মের মিলন চেষ্টা হইয়াছে ; বঙ্গীয় মুসলমানদের মধ্যে ওআহাবী ও ফরাজী সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা হইয়াছে ; বহু শতাব্দীর পরে নূতন করিয়া বৌদ্ধ বিহার কলিকাতাতেই নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ও বৌদ্ধধৰ্ম্মোপদেশ দেওয়া হইতেছে ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উদ্ভব বঙ্গেই হইয়াছে ; পরমহংস রামকৃষ্ণের আবির্ভাব ও তাহার শিষ্যমণ্ডলীর কার্য্যারম্ভ বঙ্গেই হইয়াছে ; নব বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচারচেষ্টাও বঙ্গে হইয়াছে। নানাদিকে সমাজ সংস্কারের চেষ্ট ও নারীর অধিকার স্থাপনের চেষ্টা বঙ্গেই আরব্ধ হইয়াছিল ; কিন্তু দুঃখের বিষয় পরে কার্য্যকালে বাঙালী পিছাইয় পড়িয়াছে। সাহিত্য বিজ্ঞান ইতিহাসাদিতে বাঙালীর কৃতিত্ব জগতের সভ্য জাতিদের তুলনায় সামান্ত হইলেও, অন্ত ভারতীয় জাতি অপেক্ষ কম নহে। তাহার বিশেষ বৃত্তাস্ত দেওয়া নিম্প্রোয়জন । নানা সভ্য দেশে, শিক্ষিত পুরুষ ও নারী যদি চিত্রকলা ও সঙ্গীতের কিছুই ন জানেন, যদি এই দুই ললিত কলার রস আস্বাদনেও সমর্থ না হন, তাহা হইলে তাহা লজ্জার বিকল্প বিবেচিত হয় । কারণ লেখাপড়া জানার মত এগুলিও কালচ্যারের ( cultureএর ) অংশ বলিয়া বিবেচিত হয়। কেন-না, সঙ্গীত এবং চিত্রাঙ্কনদি ললিতকলাবিলাসীর ও অলসের আমোদের জিনিষ মাত্র নহে, মন্থষ্যত্বের বিকাশের অন্ততম শ্রেষ্ঠ উপায়, এবং তাহার চিহ্নও বটে। ভারতবর্ষে আধুনিক যুগে এক সময়ে সঙ্গীত ভঙ্গসমাজের সম্ভোগ্য থাকিলেও উহার চচ্চ1 ভদ্রমহিলারা