পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ά- και করিতেন না, ভয় পুরুষদের মধ্যেও উহার বেশী প্রচলন ছিল না ; অথচ বাগদেবী সরস্বতী বীণাবাদিনী । বর্তমান সময়ে পুরুষদের মধ্যে সঙ্গীতের চর্চা ত বাড়িয়াছেই, নিষ্ঠাবান হিন্দু পরিবারের মেয়েদের মধ্যেও গীতবাস্তের চর্চা দৃষ্ট হইতেছে। আধুনিক ভারতে বিচিত্র হরের এবং নানা ভাব-ওঁ রস-পূর্ণ এত গান রবীন্দ্রনাথের মত কেহই রচনা করেন নাই। তিনি স্বরের রাজা। চিত্রকলা সম্বন্ধেও বক্তব্য এই, যে, এখন চিত্রকরেরা আর পটুয়া বলিয়া অবজ্ঞাত হন না। সমাজে পেশাদার চিত্রকরদেরও সম্মানিত স্থান হইয়াছে । তম্ভিয়, বহু শিক্ষিত ও ভদ্র পুরুষ ও মহিলা নিজের আস্তরিক ভাব ও আদর্শ প্রকট করিবার জন্ত কিম্বা চিত্তবিনোদনের নিমিত্ত, চিত্রকলার অনুশীলন করিয়া থাকেন । প্রতিবৎসর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় রীতিতে অঙ্কিত চিত্রের ও মূৰ্ত্তির দুটি প্রদর্শনী কলিকাতায় হয়। “রূপমূ” নামক উচ্চ অঙ্গের একটি ললিতকলাবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্র কলিকাতা হুইতে প্রকাশিত হয়। মাসিকপত্রাদিকে চিত্ৰশোভিত করিবার রীতিও প্রচলিত হইয়াছে,—যদিও অনেক জঘন্ত চিত্রও মুজিত হইতেছে। চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত শিখাইবার আয়োজনও একাধিক স্থানে আছে। অতি উৎকৃষ্ট ভক্র অভিনয় দ্বারা নাট্যানন্দ দিবার উদ্যোগ রবীন্দ্রনাথের সর্বতোমুখী প্রতিভার দ্বারা বহুবার হইয়াছে। বিশ্বভারতীর কলাভূবনে দেশী নানা শিল্পের সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবন চেষ্ট হইতেছে। এইসকল চেষ্টা যথেষ্ট নহে, কিন্তু আরম্ভ হিসাবে আশাপ্রদ। লালা লাজপৎ রায় বাঙালীপূজক নহেন ; কিন্তু তিনি কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে দুঃখ করিয়া লিরিয়াছিলেন, যে, পঞ্জাবী ও হিন্দুস্থানী ছেলেদের প্রশস্ত কালচার ( culture ) নাই ; তাহারা কেবল পরীক্ষা পাস করে, চিত্র সঙ্গীত অভিনয় আবৃত্তি, এসবের ধার ধারে না ; বাঙালীর ছেলেরা এবং কতকটা মরাঠারা এবিষয়ে ভাল । বাঙালী সভ্যতার ও কালচ্যারের এই যে নান৷ দিকে গতি, ইহা শুভ লক্ষণ । আমি বাঙালীর স্তাবক নহি । *প্রবাসী”তে আমাদের নিজেদের দোষোদঘাটন খুবই করিয়া থাকি । কিন্তু কেবল দোষ দেখাইয়া প্রবাসী—ফাগুন, >ණ්GO SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S SSS S eS eS eS MS MS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS l ९७* डॉन, २घ्रं थ७ একটা অবসাদ ও নৈরাশ্য উৎপাদন করা উচিত নয়। শুভলক্ষণগুলিও মনে রাখিয়া আশান্বিত ও উদ্যমশীল হওয়া আবশ্যক। আমরা প্রবাসী বাঙালীরাও যেন বঙ্গের সভ্যতা কালচার ভাব চিন্তা ও আদশের ধারার সহিত যোগ রাখিতে পারি, এই চেষ্টা সৰ্ব্বদা করিতে হইবে। বাংলাদেশে যাতায়াত পূৰ্ব্বাপেক্ষা অনেক সহজ হইয়াছে। বঙ্গের সাহত ঔদ্বাহিক আদান-প্রদান এবং কুটুম্বিতা স্থাপন- ও-রক্ষা সহজতর হইয়াছে। বাংলার বহি, বাংলার সাময়িক পত্র, বাংলার খবরের কাগজ, এখন আমরা সহজেই ( এলাহাবাদে রবিবার ও ডাকঘরের অঙ্ক ছুটির দিন ছাড়া ) নিত্য পাইতে পারি। এইরূপ নানা উপায়ে বঙ্গের সহিত যোগ রক্ষণ সহজ হইয়াছে। অবশু, ছাপাগানার কৃপায়, অনেক আবর্জনা ও অশুচি কুৎসিৎ জিনিষও চড়াও করিয়া আমাদের ঘরে ঘরে আসিতেছে। অাটুকাইবার উপায় সব সময়ে করা যায় না ; কিন্তু মানসিক ও বাহ সম্মার্জনীর ব্যবহার সকল সময়েই করা যায়, এবং করা উচিত । বাঙালীত্ব রক্ষা-প্রসঙ্গে একটি কথা বিশেষ করিয়া মনে রাখিতে হইবে । বাঙালীত্ব চিরকালের জন্য নির্দিষ্ট আ তি- ও অবয়ব-প্রাপ্ত অপরিবর্তনীয় একটি কোন গুণ আদর্শ ছাচ বা ধাচ নহে। বাঙালী যেমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত নিখুত স্থিতিশীল জাতি নহে, তেমনি বাঙালীত্বও পূর্ণতাপ্রাপ্ত নিখুত অপরিবর্তনীয় আদর্শ এবং গুণাদি নহে। বাঙালীর উন্নতি-অবনতি হইতে পারে, বাঙালীত্বেরও উন্নতি-অবনতি প্রসার-সঙ্কোচ হইতে পারে। বাঙালী যেমন উন্নত মহৎ শক্তিশালী উদার হইবে, বাঙালীত্বও তেমনি জগতে বরেণ্য ও অনুসরণীয় হইবে । বাংলার ভিতরের ও বাহিরের আমরা সব বাঙালীই এই প্রার্থনা করি। বাঙালীকে উদার মহৎ শক্তিশালী উন্নত করিবার পক্ষে প্রবাসী বাঙালীদেরও কওঁৰ্য রহিয়াছে। সুযোগও আছে। প্রাচীন ও নবীন সব শিক্ষাপদ্ধতিতেই দেশভ্রমণের প্রয়োজন ও ফলদায়কতা স্বীকৃত হইয়াছে । প্রাচীন ভারতে বিদ্যার্থী জ্ঞানার্থী নানা আশ্রমে বিদ্য'