পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dసిఫి SAM MMAeA MMSAM MMA MM SAAA AAAA M S SS S SSAS SSAS S S A S A S A S A S A S A S A জীবনের নানা বিভাগে কৃতী অনেক ব্যক্তি, বঙ্গে যেমন আছেন, বঙ্গের বাহিরেও তেমনি আছেন। এখন আর আমরা কেবল মাত্র “মায়ে-তড়িান, বাপেখেদান, ডাংপিটে ছেলের” দল নহি । কিন্তু আমাদের মধ্যে এখন যেমন বিদ্বান ও কুতীর সংখ্য। বাড়িয়াছে, সেই পরিমাণে আমরা আমাদের স্বস্বনিবাসভূমিতে লোকহিতসাধনের কেন্দ্র অধিকতররূপে হইতে পারিতেছি কি না, তাহা ভাবা উচিত । কারণ, যদিও প্রথম যুগের বাঙালীরা অনেকে শিক্ষায় ও পাণ্ডিত্যে হীন ছিলেন, এবং টাকা রোজগার করিবার জন্যই মাতৃভূমি ত্যাগ করিয়াছিলেন, তথাপি তাহার নানাস্থানে দেশহিতকর কার্ধ্যে অগ্ৰণীদের অন্যতম ছিলেন, ইহা ভুলিলে চলিবে না । এই প্রয়াগেই সবুকারী কলেজ স্থাপনের প্রথম উদ্যোগীদের মধ্যে বাঙালী ছিলেন ; লাহোরে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা ও সূচনা একজন বাঙালী করিয়াছিলেন । আগেকার প্রবাসী বাঙালীদের এই বিশেষত্ব সংরক্ষিত ও বর্ধিত হওয়া প্রার্থনীয়। আমাদের এই বঙ্গসাহিত্যসম্মিলনটি উত্তরভারতীয় । দক্ষিণ ভারতের কোন ইতিহাস নাই, কিম্বা দক্ষিণ ভারত ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক রঙ্গমঞ্চে কখনও কোন প্রধান স্থান অধিকার করে নাই, এমন নয় ; এরূপ অপ্রকৃত কথা বলিলে অজ্ঞতাই প্রকাশ পাইবে । কিন্তু ইহা ঠিক, যে, বহুপ্রাচীন কাল হইতে মধ্যযুগ পর্য্যস্ত— সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ পর্য্যন্ত নিশ্চয়ই—প্রধানতঃ উত্তর ভারত ভারতবর্ষের ইতিহাসের উপর অধিকতর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে, এবং উহাকে অনেকটা গঠন করিয়াছে । উত্তর ভারতের এই পুবাকালীন ঐতিহাসিক প্রাধান্সের কারণ নির্ণয়ের উপযুক্ত স্থান ও সময় ইহা নহে । এই প্রাধান্তের উল্লেখমাত্র করিয়া, আমি ৰলিতে চাই, যে, আমরা উত্তর ভারতে থাকি বলিয়া ভারতবর্ষের ইতিহাস আলোচনা ও অধ্যয়ন করি বার, উগ লিখিবার আমাদের বিশেষ স্থযোগ রহিয়াছে । যাহার মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে থাকেন, তাহীদেরও তৎসম্পৰ্কীয় ভারতেতিহাস অনুশীলন ও রচনা করিবার সুযোগ ●धवांनो-फांशुम, OLLE L२०- छाण, २ब्र थले’ আছে। সকল অঞ্চলেরই এই স্বৰোগের সদ্ব্যবহার কোন কোন প্রবাসী বাঙালী করিয়াছেন । ঐতিহাসিক স্থানসকল দেখিয়া ইতিহাস লিখিবার বিশেষ উপযোগিতা আছে । বহু পারসী ও দেশ ভাষায় লিখিত ঐতিহাসিক উপকরণ, বহু চিত্র মূৰ্ত্তি, মুদ্র, প্রভৃতি এখনও জনাবিষ্কৃত ও অমৃদ্ধৃত রঙ্গিয়াছে। বাংলাদেশে দেশী রাজ্য মাত্র দুটি আছে ; তাহাও ক্ষুদ্র, এবং তাহাদের ঐতিহাসিক গৌরব কম। উত্তর ভারতে বহু দেশী রাজ্য আছে । তাহাদের অনেকগুলি ইতিহাসপ্রথিত । তাহাদের গ্রন্থাগারে ও দপ্তরে এখনও বহু অমূল্য ঐতিহাসিক উপাদান আছে—যদিও গভীর পরিতাপের বিষয় এই, যে, বহু গ্রন্থ ও অন্য কাগজপত্র কীট ও কাল ধ্বংস করিয়াছে। অবশিষ্ট যাহা আছে, তাহারও উদ্ধার সাধন করিতে হইবে । বঙ্গের বাঙালী অপেক্ষ এবিষয়ে প্রবাসী বাঙালীর স্থযোগ যেমন বেশী, দায়িত্বও তেমনি অধিক । কেহ কেহ এই কৰ্ত্তব্য সাধন করিতেছেন। কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্র অতি বিস্তৃত, স্বতরাং কৰ্ম্মীও আরো অনেক চাই । উত্তর ভারতে দেশী রাজ্য থাকায় কেবল যে ঐতিহাসিক উপাদান প্রাপ্তির হযোগই বেশী, তাহা নহে । এক-একটি রাজ্যের প্রধান প্রধান কাজ চালাইবার স্বযোগও এখানে আছে । আমি প্রধানতঃ ক্ষমতালাভ, অর্থলাভ, বা প্রভুত্ব করার দিক দিয়া একথা বলিতেছি না। কাৰ্য্যক্ষেত্রে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা লাভের এবং রাজনীতিজ্ঞতার পরিচয় কার্য্যদ্বারা দিবার স্নযোগ উত্তর ভারতে আছে, ইহাই বলিতেছি । জয়পুরে, বড়োদায়, কোচনে, মৈস্বরে, এবং আরো দুই একটি রাজ্যে বাঙালী এই পরিচয় দিয়াছেন । বাঙালী কেরানী অবজ্ঞার পাত্র নহেন, কারণ তিনিও খুব দরকারী কাজ করেন ; সুতরাং সম্মান ও আদরের যোগ্য। বাঙালী শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, এঞ্জিনীয়ার, ব্যবহারাজীব, বিচারপতি, শিক্ষাপরিচালক, গ্রন্থকার,— ব্যবসায়ী, ধৰ্ম্মেপদেষ্ট, জনসেবক,—প্রভৃতি সকলেই আমাদের গৌরবস্থল। কিন্তু বাঙালীদের মধ্যে যে আরো রাষ্ট্রপরিচালক থাকা বাঞ্ছনীয়, তাহাও স্বীকার