পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] প্রবাসী বাঙালীদিগের প্রতি আমার নিবেদন (సిరి AMAMMAMAMAMMMAeMSAMAMMAMMeeMMMAMMAMMMAAMA SMA SAMMMAJAMMMAJAMMJJJJJJJMAJJJMA JJJAJJJMMJJJMAMM করিতে হইবে । কেবল বহির সাহায্যে রাষ্ট্রনীতি শিক্ষা করা ও শিক্ষণ দেওয়া যায় না। কাৰ্য্যক্ষেত্রে শিখিয়া শিথাইতে হইবে । যাহার এইপ্রকারে শিথিয়াছিলেন, তাহারা নিজেদের অভিজ্ঞতার ফল গ্রন্থে নিবিষ্ট করিলে ভাল হইত। ভবিষ্যতেও যদি কোন কোন অভিজ্ঞ বাঙালী ইহা করেন, তাহা হইলে ভাল হয় । ইতিহাস ব্যতীত উত্তরভারতে নৃতত্ব ( anthropology ), aff讀 ( ethnology ), splieif&afsi ( sociology ), নানাবিধ শিল্প, নানাবিধ শ্রামিক ও ztfäfğJx Row, ( trade guilds and craftsmen's guilds ) প্রভৃতি সম্বন্ধে জ্ঞানলাভের সুযোগ আছে। এদিকে একেবারেই দৃষ্টি পড়ে নাই, এমন নয় ; কিন্তু আরো কৰ্ম্মী চাই, ভাস্কর্য্য ও স্থাপত্যের নানা নিদর্শন, মুদ্র আদি প্রত্নতত্বের নানা উপাদান নানাস্থানে বিস্তর রহিয়াছে । তাহার সংগ্রহও কেহ কেহ কিছু করিয়াছেন । এই সুযোগ পরিত্যাগ করা উচিত নহে । হিমালয় পৰ্ব্বত ও পাৰ্ব্বত্য অঞ্চল বনস্পতি ওষধি ভেষজ প্রাণী শিলা—নান ঐশ্বর্ষ্যের সম্ভারে মণ্ডিত । আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে এইসকল উপকরণ হইতে মানুষের প্রয়োজনীয় নানা পণ্যদ্রব্য উৎপাদিত হইতে পারে। বিদেশী লোকের ক্রমশঃ .তাহা করিতেছে । হিমালয়-পাৰ্ব্বত্য-অঞ্চলের জলেব শক্তি ( water-power) আমরা কি কাজে লাগাইতে পারি না ? উপযুক্ত স্থানে আমরা কি ফলের উদ্যান রচনা করিয়া লাভবান হইতে পারি না ? নানা ওষধি বনস্পতি আদি হইতে ঔষধ প্রস্তুত করিতে পারি না ? নানা বৃক্ষ হইতে কাগজ দিয়াশালাই প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে পারি না ? উত্তর ভারতের অনেক স্থান হইতে পাথরিয়া কয়লার খনিসকল বহুদূরে অবস্থিত অথচ ঐসকল স্থান অরণ্যানী শোভিত পাৰ্ব্বত্যদেশের নিকটবর্তী। ঐসকল স্থানে কাষ্ঠ হইতে লভনীয় নানা রাসায়নিক দ্রব্য নিষ্কাশনের এবং কাঠের কয়লা উৎপাদনের নিমিত্ত কাঠ চোয়াইবার (wood distillationএর ) কারখানা আমরা কি স্থাপন ও পরিচালন করিতে পারি না ? বাঙালীর মস্তিষ্ক নিকৃষ্ট নহে, নানা পণ্য শিল্পের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও কাহারও কাহারও আছে ; جة صيد 66 খুব ধনী লোক আমাদের মধ্যে না থাকিলেও যৌথ কারবার চালাইবার মত টাকা, পরস্পরের উপর বিশ্বাস, দল বাধিবার ক্ষমতা, এবং সততা কি আমাদের নাই ? সাহিত্যসম্মিলনের কাজের সহিত এসব কথার কোন সম্পর্ক নাই মনে হইতে পারে । কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে । জাতীয় কার্য্যক্ষেত্র ও জাতীয় অভিজ্ঞতা যত দিকে যত বাড়িবে, সাক্ষাৎ ও পরোক্ষভাবে জাতীয় সাহিত্যের বিশালতা, বৈচিত্র্য ও প্রসারও তত বাড়িবে । এই জন্য নূতন নূতন স্থানে নূতন নুতন কাজে বাঙালীদের প্রবৃত্ত হওয়া দরকার । বাংলা সাহিত্যের ও বাঙালীর সাহিত্যের সহিত যোগ রক্ষা যে আমরা সহজেই করিতে পারি, তাহা আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। কিন্তু আমরা প্রবাসী বাঙালীরা শুধু কি যোগই রাখিব ? আমরা ও নিশ্চয়ই কেহ কেহ বাংলা সাহিত্য ও বাঙালীর সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিতে পারি। মুত ও জীবিত অনেক প্রবাসী বাঙালী তাহা করিয়াছেন। বাংলা বহি লিখিয়া অনেকে বাংলা সাহিত্যকে পুষ্ট করিয়াছেন । র্যাহারা ইংরেজীতে বহি লিখিয়াছেন, তাহারাও, বাংলা সাহিত্যকে পুষ্ট না করিলেও, বাঙালীর সাহিত্যকে পুষ্ট করিয়াছেন । বাঙালীর লিখিত যে-কোন ভাষার বহিকে আমি বাঙালীর সাহিত্য বলিতেছি । তাহার দ্বারা পরোক্ষভাবে বাংলা সাহিত্যও সমৃদ্ধ হইয়াছে ও হইবে—বাংলা গ্রন্থকারেরা ঐসকল ইংরেজী গ্রন্থের সাহায্য লইয়াছেন ও লইবেন । যেসকল প্রবাসী বাঙালীর স্বতন্ত্র ভাবে বহি লিখিবর ক্ষমতা বা স্থযোগ নাই, তাহাদের অনেকে অমুবাদ দ্বারা বঙ্গের সাহিত্যসম্পদ বৃদ্ধি করিতে পারেন । ইংরেজী সাহিত্য বাংলা সাহিত্য অপেক্ষা বিশাল, বিস্তৃত ও মূল্যবান। তথাপি ইংরেজরা শুধু বাংলা বহি নহে, ভারতবর্যের প্রধান প্রধান সব ভাষারই কোন-না-কোন বহির ইংরেজী অনুবাদ করিয়াছেন। কেবল তাহাই নহে, যে-সব ভারতীয় বা অন্যদেশীয় অtদিম জাতির কোন লিখিত সাহিত্য নাই, তাহদেরও গান, গল্প, গাথা, উপকথ। ইংরেজীতে অমুবাদিত হইয়াছে । অম্বুবাদ বিষয়ে আমাদের বোধ হয় একটা ভ্রান্ত অহংকার বা