পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য , - نیمس - عصبیه -بیعی هم میست-ماهانه ۶۳میته AASAASAA AAASA SAASAASSAAAAA MAAASAASAASAASAASAMAAASAASAASAASAASAAAS ধৰ্ম্মভাব ধৰ্ম্মাকাঙ্ক্ষণ সকল দেশের সাহিত্যেরই একটি মূল উৎস । বাংলা সাহিত্যেরও একটি মূল উৎস বাংলার নানা ধৰ্ম্মপ্রচেষ্টা । মনসা-পূজা ও শিবপুজার স্বম্ব হইতে বেহুলার উপাখ্যান প্রভৃতি কাব্যের উৎপত্তি । কবিকঙ্কণের চণ্ডী, রামপ্রসাদের পদাবলী, কালীকীৰ্ত্তন, প্রভৃতি শাক্ত প্রচেষ্ট হইতে উদ্ভূত। বৈষ্ণব গ্রন্থাবলীর সংখ্যা করাই কঠিন। তাহার পর আধুনিক সময়ে খৃষ্টীয় মিশনারী কেরী প্রভৃতির দ্বারা, ব্রাহ্মসমাজের দ্বারা, রামকৃষ্ণ মণ্ডলীর দ্বারা, নববৈষ্ণব মতাবলম্বীদের দ্বারা বাংলা সাহিত্য অল্প বা অধিক পরিমাণে অনুপ্রাণিত, গঠিত, স্বষ্ট, সমৃদ্ধ হইয়াছে। রামমোহন যে আধুনিক লিখিত বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রবর্তক, তাহা সাধারণতঃ স্বীকৃত হইয়া থাকে। অক্ষয়কুমার দত্ত যে তত্ত্ববোধিনী সভার সংশ্রবে বাংলা সাহিত্যকে ঐশ্বৰ্য্যশালী করিয়াছেন, তাহা সকলেই জানেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ, কেশবচন্দ্র ও বিবেকানন্দের স্থান ধৰ্ম্মোপদেষ্টাদের মধ্যেই সাধরণতঃ নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু পরে বাংলা সাহিত্যেও তাহীদের সম্মানিত স্থান নির্দিষ্ট হইবে । শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সম্বন্ধেও তাহাই বক্তব্য । বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্যিক বলিয়। সুবিখ্যাত, কিন্তু তিনি শেষ জীবনে নব হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রচার ইচ্ছায় উপন্যাসাদি যাহা লিখিয়া গিয়াছেন, তাহার মধ্যে, ধৰ্ম্ম যে সাহিত্যের অন্যতম প্রধান উৎস, একথার প্রমাণ পাওয়া যায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক সময়ে তত্ত্ববোধিনী সভার সহিত সংস্থষ্ট ছিলেন । র্তাহার সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কার চেষ্টার মূলে যে গভীর ধৰ্ম্মভাব ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। রবীন্দ্রনাথের শেষের দিকের সমুদয় লেখার মধ্যে ও মূলে ধৰ্ম্মভাৰ ও লোকহিতচেষ্টা রহিয়াছে। এসব কথা বর্তমান ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক মনে হইতে পারে । কিন্তু তাহা নহে। প্রবাসী বাঙালী আমাদিগকেও মনে রাখিতে হইবে, ধৰ্ম্মভাব মনকে উদ্বুদ্ধ আলোড়িত আলোকিত করিলে তাহা হইতে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের উদ্ভব হয়। অতএব ধৰ্ম্মভাৰ দ্বারা আমাদিগকে অনুপ্রাণিত হইতে হইবে। সংকীর্ণ অর্থে যাহাকে ধৰ্ম্মসাহিত্য বলে, আমি তাহার কথা বলিতেছি না । সাধারণতঃ প্রবাসী বাঙালীদিগের প্রতি আমার নিবেদন (tషి& প্রশস্ততর অর্থে যাহাকে সাহিত্য বলে, তাহার কথাই বলিতেছি । আমরা যে যে অঞ্চলে বাস করি, তথাকার লোকদের সহিত সদ্ভাব রাখিতে হইবে, ইহা ত সোজা সাংসারিক অর্থেও সহজবোধ্য। রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য সাধনের জন্য যে ইহা প্রয়োজন, ইহাও সৰ্ব্বদা কথিত হয় । আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে, যে, বাংলা সাহিত্য প্রবাসী বাঙালীর দ্বারা সমৃদ্ধ হইতে হইলে, ইহা একাত্ত আবশ্যক, যে, আমরা প্রবাসের স্থান-সকলের আদি অধিবাসীদিগকে শ্রদ্ধা ও গীতির চক্ষে দেখি । নতুবা, দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, যেমন ংলোইণ্ডিয়ানরা প্রায়ই শ্রেষ্ঠ ইংরেজী সাহিত্য রচনা করিতে পারেন নাই, তেমনি প্রবাসী বাঙালীরাও শ্রেষ্ঠ বাংলা সাহিত্য রচনা করিতে পারিবেন না । এবিষয়ে আমি অক্টোবর মাসের এসিয়াটিক রিভিউয়ে ষ্টানলী রাইস ( Stanley Rice ) সাহেবের লেখা এংলোইণ্ডিয়ান ঔপন্যাসিকদের ( Аnglo-Indian Novelists ) সম্বন্ধে লিখিত প্রবন্ধ হইতে কিছু উদ্ধৃত করিয়া আমার বক্তব্য বিশদ করিতে চেষ্টা করিব । মিষ্টার রাইস্ বলেন :– “To them Anglo-Indian Novelists | India is simply represented by the dances, the dinners, the polo matches, and the Anglo-India as races of some gay place. The Plains which are the i'ełul l iıtli:l aire• jusL :l kintl t»f sweltering desert, where of course it is infernally hot and where thunder-storms roll up bringing a breathless air tuid not it drop of rain, and where men work with bloodshot eyes and a terrible weariness at uncongenial tasks, slaving, not as in real life, with an absorbing interest in the work for its own sake and without thought of reward, but for the woman of their heart who is probably having a more or less “good time” in England or in the ever blessed I lills. India to these writers is the handful of British men and women and if the men are not in the Army, why of course they are in the Civil Service, which naturally includes the Public Works Deparť