পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] উদাম খেয়াল মাত্র-কিছুদিনের আদর্শনে তার এ খেয়াল কোথায় মিলিয়ে যাবে, তখন অাজকের এই দুৰ্ব্বলতা হয়ত তার নিজের কাছেই দুঃস্বপ্ন ব’লে মনে হবে ! পালিয়ে গিয়ে এই দুঃস্বপ্ন থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছে ব'লে ভবিষ্যতে সে মনে মনে রতনকে নিশ্চয়ই ধন্যবাদ না দিয়ে পারবে না! কিন্তু সেও যে স্বমিত্রীকে ভালোবেসেছে ! এ প্রেম এতদিন সে সন্তপণে অস্তরের আস্তরালে গোপন ক’রে রেখেছে, এক মুহূর্বের জন্যে চোখের ভাবেও তা প্রকাশ হ’তে দেয়নি—কারণ ভালোবেসেই সে স্বর্থী ছিল, স্বমিত্ৰাও যে তাকে ভালোবাসে, এ ত সে জান্ত না ! সুমিত্রাকে কখনো পাবে না বুঝেও তার মন আজ এই ভেবেই খুশী হয়ে উঠল—স্থমিত্রাও তো তাকে ভালোবাসে, তাই-ই যথেষ্ট—তাই-ই যথেষ্ট ! সে দূরে দূরাস্তরে চলে যাবে, এ জন্মে আর কখনো স্বমিত্রাকে দেখতে পাবে না, তবু সে তার স্মৃতিকেই নিরস্তর পূজা করবে—যেমন ক’রে পূজা করে অন্ধ ভক্ত, দেবীপ্রতিমাকে চোখে না দেখেও ! হঠাৎ রতনের চোখ পথের উপরে পড়ল, দূর থেকে কে একজন লোক এইদিকেই আসছে—পরনে তার সাহেবী পোষাক । রতনের মনে হ’ল, তাকে মিঃ চ্যাটোর মত দেখতে ! সে তখনি উঠে দাড়াল এবং মোটটা তুলে নিয়ে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে পড়ল ------ যথাসময়ে ষ্টেশনে এসে রতন ভাবতে লাগল, এখন সে কোথায় যাবে ? কলকাতায় ?......না, কি হবে আর সেখানে গিয়ে, কি টানে আবার সেই কলকাতায় যাবে ? তার পক্ষে এখন সব দেশই সমান । খানিক ভেবে রতন ঠিক করলে, দিন-কতক মাস্ত্রাজের দিকেই বেড়িয়ে আসা যাকৃ—ভাগ্য-দেবতা সেখানে আবার তার সঙ্গে নতুন কি খেল খেলেন, পরখ ক’রে দেখতে ক্ষতি কি ? রতন টিকিট-ঘরের দিকে অগ্রসর হ’ল, কিন্তু দু’পা এগিয়েই সচমকে থমকে দাড়িয়ে পড়ল! সে স্পষ্ট দেখতে পেলে, টিকিট-ঘরের সাম্নে দাড়িয়ে রয়েছেন বিনয়-বাবু, আনন্দ-বাবু আর পূর্ণিমা ! তারা যে তাকেই বেনো-জল

  • MM AMAMA MAMAMAMAMA AMAMAMMMAM AMAMAMSAAA AJSJAAA AAAA AAAA AAAA AMM SAS SSAS

(tఫిసి SSAAAASA SSASAS SS SAAAAAA AAAA SAAAAA SAAAAAS AAASASAAAAAS AAAAAS MMA AeAeA AMA AeMA Ae AeSBeSAAAA ধরতে এখানে এসেছেন, একথা বুঝতে তার বিলম্ব হ’ল না। সে তখনি একরকম দৌড়েই ষ্টেশন থেকে বেড়িয়ে পড়ল । তার পর পথের উপর দিয়ে হন হন ক’রে এগিয়ে চলেছে, হঠাৎ পিছন থেকে কে তার একখানা হাত চেপে ধ’রে বলে উঠল—“রতন, রতন !” এত ক'রেও ধরা পড়ুল ভেবে রতন হতাশভাবে ফিরে দাড়াল, কিন্তু তার পরেই সবিস্ময়ে সে ব’লে উঠল—“একি তুমি, অক্ষয় !"

  • —কি আশ্চৰ্য্য দেখা ! এত তাড়াতাড়ি কোথায়

ঘাচ্ছ ?” সে-কথার কোন জবাব না দিয়ে রতন বললে, “অক্ষয়, তুমি এখানে কোখেকে ?” —“আমি যে কটকেই কাজ করি । একদিনের জন্তে পুরীতে এসেছি, কালকেই ফিরে যাব। কিন্তু তুমি এখানে কেন ? মোট ঘাড়ে ক’রে যাচ্ছই বা কোথায় ?” —“মাদ্রাজে ।” —“মাদ্রাজে ? কেন, সেখানে চাকুরি-টাকুরি কিছু কর নাকি ?” —“না। জানই ত অক্ষয়, চিরদিনই আমি বোহিমিয়ান, দুনিয়ায় নিজের মনের খেয়ালে একলাটি ঘুরে বেড়াবার ছুটি পেলে আমি আর কিছুই চাই না— মাদ্রাজে যাচ্ছি নিরুদ্দেশ হ’য়ে ।” অক্ষয় বিক্ষিত-স্বরে বললে, “সে কি হে রতন ! তুমি কি এখনো বিবাহ করনি, তেমনি একুলাই আছ ?” —“বিবাহ ? ভগবান করুন, ও প্রবৃত্তি যেন আমার কখনো না হয়, বিধাতা যখন একুলাই আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তখন বুঝতে হবে যে তার একাত্ত ইচ্ছা এই, আমি যেন একুলাই থাকি। একৃলা থাকার কত আনন্দ তা কি তুমি জান, অক্ষয় ?” —“খুব জানি, তোমার চেয়ে ভালো ক’রেই জানি।” —“কি ক'রে তুমিও কি এখনো একুল আছ?” —“না, একূল থাকলে আমি একাকিত্বের আনন্দ এমন ক’রে বুঝতে পারতুম না । একূল থাকার আনন্দ মানুষ প্রথম বুঝতে পারে বিবাহ করে, দোকুলা হ’য়ে ।” —“আমি কিন্তু ও-সত্যটি বিবাহ না ক’রেই বুঝতে