পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য } তাই তাকে ছেড়ে না দিয়ে পারেনি । পুলিশ আকৃসারই করছে!” পূর্ণিমা বললে, “আমারও তাই মনে হয়। আচ্ছ। বাবা, কবে আমরা কলকাতায় যাব ?” —“এই হথাতেই। কিন্তু কলকাতায় গিয়েও রতনকে কি আর দেখতে পাব ?” পূর্ণিমা উদ্বিগ্নমুখে বললে, “কেন, বাবা ?” আনন্দ-বাবু বললেন, “প্রথমত, সে হয়ত কলকাতায় যায়নি । তার পর, কলকাতায় গেলেও সে যদি আর দেখা না দেয় ? জানিস্ত মা, রতনের দারিদ্র্যের জাক কতটা বেশী ! অর্থকষ্টে প’ড়ে সে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল, তবু ধনী মাতুলের গলগ্রহ হতে রাজি হয়নি! এই দারিদ্র্যের জাকেই সে হয়ত আর আমাদের ছায়া ও মাড়াবে না ।” - কিছুক্ষণ স্তব্ধ থেকে, তিনি দুঃখিতভাবে পূর্ণিমার মাথার উপর একখানি হাত রেখে বললেন, “কিন্তু রতনকে আমি ত ছড়িতে পারব না, আমি যে তোকে তার হাতেই দিয়ে নিশ্চিন্ত হ’তে চাই !" পূর্ণিমার মুখ লজ্জায় রাঙা হ’য়ে উঠল, তাড়াতাড়ি সে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইপি ছেড়ে বীচ ল । কলকাতায় যাবার আগের দিনে পূর্ণিমা, সেনপরিবারের সঙ্গে দেখ। কবৃতে গেল । সেন-গিন্নী ও সুনীতির সঙ্গে খানিকক্ষণ কথাবাৰ্ত্তার পর পূর্ণিমা জিজ্ঞাসা করলে, “কাকী-ম, স্থমিত্রাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন ?” সেন-গিল্পী বললেন, “আজ ক’দিন থেকেই স্থমি’র শরীর ভালো নেই, দিন-রাত বিছানাতেই শুয়ে থাকে, ঘর থেকে বেরুতে চায় না । যাওনা, তার সঙ্গে দেখা ক’রে এস, পাশের ঘরেই আছে।” পাশের ঘরে গিয়ে পূর্ণিমা দেখলে, বিছানার উপরে ব’লে স্বমিত্রা জানলা দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। তার অ-বাধা চুলের বেণী পিঠের উপরে লুটিয়ে পড়েছে, মাথাটা উস্কগুস্ক কক্ষ,—মুখের ভাব বিমর্ষ। পূর্ণিমা বললে, “স্থমিত্র, কাল আমরা কলকাতায় যাচ্ছি।” ناحس- و چه এমন ভুল তো বেনো-জল ৬০ ১ —"কেন ?” —“পুরী আর ভালো লাগছে না।” —“রতন-বাৰু তোমাদের চিঠি লিখেছেন ?” —*ন ।” স্বমিত্র তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে পূর্ণিমার মুখের পীনে নীরবে তাকিয়ে রইল । পূর্ণিমা বললে, “রতন-বাৰু চিঠি লিখলে তোমাদেরও লিখতেন।” সুমিত্র বললে, “তোমরা থাকৃতে তিনি জামাদের চিঠি লিখবেন কেন ?” স্বমিত্রার কথার অর্থ পূর্ণিমা কিছুই বুঝতে না পেরে চুপ ক’রে রইল। মুমিত্রাও আর কিছু বললে না । পূর্ণিমা বললে, “তোমার কি অস্থখ হয়েছে, স্বমিছা ? কণারক থেকেই ত তোমার শরীর ভালে নেই দেখছি।” স্বমিত্রা স্নান হাসি হেসে, অন্যমনস্কের মতন বললে, “ছ, কণারক থেকেই আমার অস্থখ স্বরু হয়েছে।” —“অস্থখটা কি ?” —“জানি না ।” পূর্ণিমা আরো খানিকক্ষণ ব’সে রইল, কিন্তু স্থমিত্রা আর কোন কথা কইলে না দেখে সে আস্তে আস্তে উঠে দাড়াল । স্বমিত্র বললে, ”চললে ?” —“হা, আবার কলকাতায় তোমার সঙ্গে দেখা হবে। আশা করি তখন তোমাকে স্বস্থ দেখব ।” স্বমিত্র। আবার একটু বিষাদ-মাখা হাসি হেসে বললে, “তোমার সঙ্গে আর আমার দেখা না হ’তেও পারে।” পূর্ণিমা বললে, “আজ তুমি কি আবল-তাবল বকুছ বল দেখি ?” —“আবল-তাবল বক। আমার স্বভাব, তা কি তুমি জান না ?” —“ও স্বভাব বদলে ফেল । ভাই !” --*এস * আমি এখন আসি