পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } مينه-عمخه٦ SAMMASJM AM AMM eM MMMJJSAM AAASA SAASAASSJSJJSMSMSAMAAA S বুঝলুম আজ সহজে সে ছাড়বে না। ভালবাসার দুঃখ তাকে আর দিতে চাই না, গোলাখুলি সব বুঝিয়ে দিই । - হেসে বললুম,-আমি হচ্ছি একট। অ্যানাকিষ্ট, মৃত্যুর দোসর আমার জন্য ভাব কেন ? কি করুণমুখে সে অামাব দিকে চাইলে । কত রূপে নারীকে পেলুম,—কেউ বুকে আগুন জালায়, কেউ চন্দনের প্রলেপ বুলোয়, কেউ আলেয়ার আলে৷ হ’য়ে দিশাহার। করে' ঘোরায়, কেউ স্নিগ্ধ গৃহে মঙ্গল প্রদীপ জালিযে সারারাত প্রতীক্ষা করে । ধীরে বল্লুম,—দেখ, তোমার কথা দিয়ে গান দিয়ে আমার এ ভাঙা মন তুমি সারিযে তুলেছ, তোমার ঋণ কোন দিন শুধ তে পারব না বন্ধু, কিন্তু এর উপর কোন (羽t5 (卒tび郊| Ri l তার বুকের রক্ত রিমঝিম্ কবৃছে, চোখ জলঙ্গলে হ’য়ে উঠল, বললে,—আমাকে শুধু তোমাব বন্ধুব কাজই করতে দাও,—তোমাব মধ্যে যে শক্তি আছে, তাকে ব্যর্থ কোরে না । ধীবে বললুম,—সেই শক্তিকেই সার্থক করুবাব জন্যে আমীয় চলে’ মেতে হবে । সে ভাঙা-গলায় বললে,—আবাব তুমি ওই পথে যাবে? বললুম,—ঠিক ওপথে নয়। দেখ, তুমি ধরে বসে’ কাগজ পড়, অত্যাচার-অবিচারের কথা , আমি ত পারি না, আমার গা জলে, ইচ্ছে কবে অত্যাচারীর টুটি টিপৃে" ধরিগে । রিভলভার আমি ফেরৎ চাইছি না, এবার প্রাণে প্রাণে আগুন জালাব, ওই নিপীড়িত পদদলিতদের জাগীতে হবে, তাদের প্রাণের বীরুদে বিদ্রোহের অগ্নি জালিয়ে অবিচারের মরণোৎসব হবে । তুমি কি ভাব, এই যে শ্রমিকের রক্তে রাঙান, নারীর অশ্রুতে ভেজনি ধনীর স্বর্ণ স্তুপীকৃত হচ্ছে, শক্তিমদমত্ত রাষ্ট্রশক্তির শাসনপেয়ালা অত্যাচাবের বিযে ভরে উঠছে, এই রাজ্য নিযে রাজনীতিবিদদের জুয়াখেলা, মানবাত্মা নিয়ে পুরোহিতদের ধাপ্পাবাজি, এই প্রবল জাতির নিষ্ঠুর, লোভ অভিমান, শক্তির ক্রুর অত্যাচার চিরকাল টিকবে ? এই যন্ত্রশক্তি অধিষ্ঠিত বণিক্‌-স্বত্মতা চূৰ্ণবিচূর্ণ হ’য়ে ঘারে, আমরা সেই অশোক S M AAAAS AAAAA SAAAAAS AAAA S AA AASAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAMSJAASMSM MSMSMMeeMS AASAASAASAAASSS SAAA ধ্বংসের যুগের অগ্রদূত, নটবর রুদ্র আমাদের হাতে র্ত্যর বজ্র দিয়ে পাঠিয়েছেন, ঘরে ঘরে গ্রামে গ্রামে দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে স্বাধীনতার মস্ত্রে পিনাক ধ্বনি করে” সবাইকে জাগাতে হবে । অতসীর মৃগ অগ্নিশিখার মত রাঙা হ’য়ে উঠল, চোপে স্বপ্নের গোলাপী আ ভা জড়াল, চুল ফুলে’ উঠল, বুক দুলতে লাগল। দীপ্তকণ্ঠে বলে উঠলুম, “হায় সে কি স্থখ এই গৃষ্ঠ ছাড়ি হাতে লয়ে জয়তুরী জনতার মাঝে ছুটিয়া পড়িতে বা জ্য ও বাজা ভাঙিতে গড়িতে অত্যাচারেব বক্ষে বসিয়া হানিতে তীক্ষু ছুবি ।” অতসী বলে উঠল,—আর আমরা ! বললুম,--বাংলাব ও সেদিন আসবে, তোমাদের পদ ছি ড়ে যাবে, গারদ ভেঙে যাবে, অবগুণ্ঠন খসে যাবে। আজি বাংলার এ কোণে যে প্রাণেব আ গুন জ্বলে’ নিভে যাচ্ছে দেখছ, ভবিছ ওর ফাসিকাঠে ঝুলিয়ে জেলে পূবে সে প্রাণকে মারবে ? — আজি শুধু পূৰ্ব্বস্বচন । ভাবত্বে এ যুগেৰ গুরুগোবিন্দ কোথায় কুচ্ছ, তপস্তা কবৃছেন জানি না, কিন্তু তিনি দুঃখেব সাধনা আরম্ভ করেছেন - তিনি আসছেন, তিনি আসছেন, তার আগমনের জন্যে আমাদেব আয়োজন করতে হবে । (ود) আজ নিশীথ-রাতে আবার ঝড় ঘনিয়ে এসেছে । ওই অন্ধকার শূন্ত হতে ঝঞ্চার কণ্ঠে প্রলয়পথে যাত্রার আহ্বান আবার এল। ভাঙা দেইমন ত সারান হ’ল, শান্তিনীড় ছেড়ে' আবার দুঃখের পথে বেরুতে হবে । তরুণী বন্ধুব করুণ চোখের চাওয়া কিছুতেই ভুলতে পারছি না । পৃথিবীর নড়াতে নাড়ীতে কি ব্যথার টান পড়েছে, এই আকাশ-জোড়া হাহাকারে গাছপালার করুণ মৰ্ম্মরে বুকের দীর্ঘশ্বাসে তারি বেদন পাচ্ছি। আজ রাতেই বেরিয়ে পড়ি, এদের কাছে বিদায় নিয়ে যেতে পারব না ।