পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\be R حب ہمحمحکمہ পূর্ণিমা দরজার কাছ বরাবর গেছে, স্বমিত্র হঠাৎ তাকে ডেকে বললে, “হা, আর একটা কথা।” পূর্ণিমা ফিরে দাড়িয়ে বললে, “কি ?” —*কাছে এস ।" পূর্ণিমা আবার স্বমিত্রার কাছে দাঁড়াল। স্বমিত্রা আচমকা তার একখান হাত চেপে ধরে বললে, “আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি?” পূর্ণিমা অত্যন্ত বিস্মিত হ’য়ে বললে, “একথা কেন তুমি বলছ ?” —“আমি তোমাকে বিশ্বাস ক'রে একটা কথা বলব । কিন্তু প্রতিজ্ঞা কর, সে-কথা তুমি অন্য কারুকে বলবে না ?” —“আচ্ছা, প্রতিজ্ঞা করছি।” —“কলকাতায় গেলে তোমার সঙ্গে নিশ্চয়ই রতনবাবুর দেখা হবে।” প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩e [ २७* उां★, २ग्न थe حجیم. —“হ’তে পারে।” —“তা হ’লে রতন-বাবুকে বলবে, তিনি আমাকে যে অপমান ক’রে গেছেন, তার জন্যে এজীবনে আমি তাকে আর ক্ষমা করব না !” —“রতন-বাবু তোমাকে অপমান ক’রে গেছেন ? এ কি কথা !” —“আর-কিছু জানতে চেয়ে না”—ব’লেই স্থমিত্র বিছানার উপরে শুয়ে প'ড়ে পা থেকে মাথা পৰ্য্যস্ত একখানা গায়ের কাপড় মুড়ি দিয়ে ফেললে ! পূর্ণিমা নির্বক ও স্তম্ভিত হয়ে সেখানে খানিকক্ষণ দাড়িয়ে রইল, তার পর ধীরে ধীরে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল । { ক্রমশ: ) শ্ৰী হেমেন্দ্রকুমার রায় “মাহে”-নগর ( পূৰ্ব্বানুবৃত্তি ) ( 0 ) চারিটার সময় যখন আমার নির্দিষ্ট পাহারীর কাজ শেষ করিলাম তখন আমাদের জাহাজের সমস্ত নৌকাই চলিয়া গিয়াছে। তাই আজ ডাঙ্গীয় যাইবার জন্ত একটা দেশী ড়েঙ্গ ভাড়া করিতে হইল। এইসকল ডোঙ্গ, জাহাজের দড়ি-দড় প্রভূতি সরঞ্জামের জন্ত কতকগুলা নারিকেল লইয়া আমাদের নিকট আসিয়াছে। এই ডোঙ্গটি লম্ব, পাতলা, তীরের মতো গঠিত, ও “থামৃখেয়াল" । ( এইসব স্থৈৰ্য্যহীন নৌকাগুলা বাতাসের এক দমূকাতেই ভাঙিয়া যায় কিংবা উণ্টাইয়া যায়, তাই নাবিকেরা এইরূপ নৌকাকে “থামূথেয়াল” নৌকা বলে ) । এই ডোঙ্গটি। এরই মধ্যে জলে ভরিয়া গিয়াছে। ছোট ছোট উল্লম্মী তরঙ্গ ঠেলিয়া কতকগুল বোটিয়|.ীড়ের সাহায্যে তিন মাইল পথ অতিক্রম করিতে হইবে ; যাইতে সবন্ধে এক ঘণ্টারও বেশী লাগিবে – সে ত আরো খারাপ ! যাই হোক আমি ত ডেঙ্গায় উঠিয় পড়িলাম-বেশ যুৎ করিয়া বসিয়া লইলাম।—এই চাচাছোলা খোলট এতট চওড়া যে, কোনপ্রকারে বসিতে পারা যায়। আমরা খুব চীৎকার করিয়া যাত্রা করিলাম : বায়ু-উৎক্ষিপ্ত জলৰুণায় আমাদের কাপড় ভিজাইয় দিল। কিন্তু কিয়দৃদূর গিয়াই মনে হইল-বোটিয়া-দtড়ীর যেন কি ভাবিতেছে, তাহার খামিয়া পড়িল । প্রথমে উহার ইচ্ছা-সুখেই আমাকে আরোহীরূপে গ্রহণ করিয়াছিল, কিন্তু এখন, আরও বেশী দুরে যাইবার পুর্বে, তাহারা জানিতে চাহিল, আমি তাহাদিগকে কত টাকা দিব।” অামি যখন তাহাদিগকে এক টাকা দিব বলিলাম— কিংবা আরও বেশী, যদি তাহার শীঘ্র দাড় টানিয়া যায়, তখন তাহীদের উৎসাহের আর সীমা রহিল না। তাহারা আমার মাথার উপর একটা ছাত ধরিল, আমাকে হাত-পাখা দিয়া বাতাস করিতে লাগিল—এমন-কি গান গাহিয়াও আমাকে আমোদ দিবীর চেষ্টা করিতে লাগিল । যে ভারতবাসী আমাকে গান শুনাইবার ভার লইয়াছে, সে আমার মুখামুখী হইয়া উবু হইয়া বসিল,—আমার খুব কাছে—খুবই কাছে—এত কাছে যে আমার আর নড়িবার-চড়িবার জো নাই। আমরা দুজনে জলের মধ্যে বসিয়া আছি সরু ডোঙ্গার শেষপ্রাস্তেইtটুতে ইটুতে ঠেকাঠেকি হইতেছে। যে-সকল ছোট ছোট ঢেউ আমাদের চারিদিকে নৃত্য করিতেছে, আমাদের চোখ তাহদের অপেক্ষাও নীচু ; আমরা তাহদের মধ্যে ঘুরপাক দিতেছি ।-বেশ ঘনিষ্ঠভাবে বললেও হয়। জলের উপর শুইয়া থাকিবীর মতে, সন্তরণকারীর মতে, পুব নীচু হইতে ঐ ঢেউগুল দেখিতেছি। এমন উজ্জ্বল রং-মনে হয় যেন নীলবড়ির রস ঢলিয়া দিয়াছে। কখন-কখন ঢেউগুল আমাদের সম্মুখে পৰ্ব্বতকারে আসিয়া ও-দিক্কার মুঙ্গর হরিৎ রেখা কিয়ৎকালের জঙ্ক ঢাকিয় ফেলিতেছে— ঐ হরিৎ রেখাই ভারতভুমি । ভারতবাসীর গানগুলা বড়ই দীর্ঘ, ক্রমাগত ফিরিঙ্গ-ফিরিয়া আরম্ভ হয়। বোটিয়া-দাড়ির জলের উপর ধীড়ের আঘাত করিয়া, গানের সহিত সঙ্গত করিতে লাগিল ৷ যতটা সম্ভব আমার কাছে সরিয়া আসিয়৷ লোকটা গান গাহিতে লাগিল, খুব মুথব্যাদান করিয়া, শুভ্র দস্তুপাতির শেষ পর্য্যস্তু প্রদর্শন করিয়া সে আমার মুখের সামনে