পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\be 8 A్కూ^^. هماییها خاصیتختصاد এই ফাক জায়গা, যাহার ভিতরে আমরা পদচারণা করিতেছিলাম, ইহার প্রত্যেক ধারে তালীবনের সীমাপ্রাস্ত একটা জমূকালে কালে *#िांब्र भएउl ॐमांब्रेिउ-१३थांtन ईशब्लझे भरश्वा शनएषांद्र ब्रांख्रि আসিয়াছে; শ্মিবিf-পোক ডাকিতেছে ; আকাশের রংএ একটা অসাধারণ বেগ নী-আভা, যেন বাঙ্গালার রং-মশাল জ্বালান হইয়াছে। এবং যেসকল তারা ফুটিতে আরম্ভ করিয়াছে, মনে হয় যেন লাল জমির উপর ছোট ছোট সবুজ আগুন। কাল, এইসব অঞ্চলে, আমার কতকগুলি বন্ধু জুটিয়াছিল ; আমি অtজ আবার তাহীদের সহিত দেখা করিতে আসিয়াছি । তালীবনের কিনারায়, দুই বৃদ্ধ ভারতবাসীর কলা ও গরম মশলার একটি ছোট দোকান আছে। এইসকল জিনিষ তাহাদের নিকট উহার বিক্রয় করিবে । লোকবসতি হইতে বিচ্ছিন্ন উহাদের ক্ষুদ্র গৃহের সন্মুখ দিয়া কেহই যাতায়াত করে না। উহাদের গৃহ এবং যেখানে কয়েকজন পদচারী রহিয়াছে সেই অtল-পথের মাঝে একটা ধানের ক্ষেত। অামার দুই নিত্যসঙ্গীর সহিত এইখানে উপনীত হইলাম , উহার আমাকে চিনিতে পারিল, এবং তখনি আমার আহারের জন্য ভাল ভাল কলা বাছিয়া দিল। তাহার পর, দরজার সম্মুখে একটা মাছুরের উপর আমাকে বসাইল। ঝোলান ল্যাম্পট। জ্বালান হইল । -ল্যাম্পট তাবার এবং উহার আকার-গঠন প্রাচীন-ধরণের-উই৷ হইতে অনেকগুলা ডাল বাহির হইয়াছে ; মনে হয় যেন একটা তারা জ্বলিতেছে । বড় বড় বৃক্ষের পাদদেশে এই অতিক্ষুদ্র নগন্ত কুটারটি ধাপেধাপে উখিত মন্দিরের মত ছয়ট প্রস্তর-স্তরের উপর স্থাপিত। এইসব ধাপের উপর আমার দুই পথশ্রদর্শক আমার নীচে বসিল। এখন আর-কিছু দেখা যাইতেছে না। আলি-পথের উপর পথচলতি লোক খুৰ বিরল হইয়া পড়িয়াছে—কেবল কতকগুলা অস্পষ্ট আকৃতি দেখা যাইতেছে-কালে কিংবা সাদা । আকাশে এখনো গোলাপী ও লোহিত রং রহিয়াছে : উপরে সমস্ত তারা জ্বলিতেছে । এবং এই আলোর উপর একসারি কালো পালকের আকারে তালীবনের সীমাপ্রাঙ্কটা যেন কর্তিত হইয়াছে। ধান-ক্ষেত্রের মধ্যে সৰ্ব্বত্রই ঝিল্লীর রব শুনা যাইতেছে। বেশ একটু ঠাণ্ড হইয়াছে। পতঙ্গ ও মশা আসিয়া কোলান ল্যাম্পের চারিদিকে গুঞ্জন করিতেছে । লম্ব। হাতল-বিশিষ্ট একটা চামচ দিয়া, সময়ে সময়ে ল্যাম্পে একটু একটু করিয়া নারিকেল তৈল ঢালা হইতেছে । ওখান দিয়া প্রায় কেহই যাতায়াত করিতেছে না। জায়গাটা খুবই নির্জন হইয়া পড়িল । কিন্তু কতকগুলি ছেলে আমাকে দেখিতে আসিল ; ইহার কোথ৷ হইতে বাহির হইল জানি না—নিশ্চয়ই আমাদের পিছনকার ভালীবন হইতে। উহার জামার দিকে চোখ তুলিয়া ধাপের উপর আমার পায়ের কাছে বসিল । প্রতি মুহূৰ্ত্তে আরও ছেলে দলে দলে আসিতে লাগিল-নিঃশব্দে নগ্নপদে। খুব হালকা-ভাবে ছুটিয়া আসিল। সীদ পরিচ্ছদ উহাদের গুiমল অঙ্গের উপর, বাতাসে উড়িতেছে । বড় বড় নৈশ পতঙ্গের মতো, বড় বড় ফড়িংএর মতো উহার আসিয়া বসিয় পড়িল। এখন প্রায় ২০ জন—আমার নীচে সারি সারি বসিয়া । তলতরীর দীর্ঘ কালে কালে পাখী নৈশ আকাশকে কাটির বিভক্ত করিয়াছে এবং লাল আভাটুকু মরিয়া মরিয়া শেষে একেবারেই অস্তহিত হইয়াছে। তৃণভূমির উপর যেরূপ সাদা ধোয় ভাসিয়৷ বেড়ায়—সেইরূপ একটা ঠাও বাষ্প ধানের ক্ষেত হইতে উঠিয়া সমস্ত ৰীখি-পথে প্রসারিত হইল । & সেই ছোট ছেলেগুলি, আপনাদের মধ্যে, ভারতীয় ভাষায় খুব প্রবাসী-ফাঙ্কন, 9లిe AeeAeMAeAMM AA AeeSeMAMMAeMAAASAAAA { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AM AeeM AeeA AeeA AeMMMMAAASAAAA আস্তে ফিসৃফিসূ করিয়া কথা কহিতে লাগিল—নিশ্চয়ই আমাকে দেখিয় তাহদের যে ধারণ হইয়াছে তাহাই বলাবলি করিতেছিল । তাহার পর আমি, বেশ বুঝিতে পারিলাম, আমাকে চমক্‌ লগাইবার জন্য কি একটা ষড়যন্ত্র করিতেছে, পরে পুরস্কারস্বরূপ কিছু পয়সা চাহিবে —ন জানি বিষয়টা কি ? -- হঠাৎ উহাদের মধ্যে একজন—দশবৎসর মাত্র বয়স—উঠিয়া দাড়াইল, উপরে উঠিল, একটু কাশিল, যেন কি-একটা কবিতা আবৃত্তি করিবে ; তাহার পর, টিয়াপার্থীল মতে মোটা কৰ্কশ হাস্যজনক স্বরে কুরু করিল 2– প্রবল যুক্তিই জেনে যুক্তির প্রধান এখনি আমরা তাহা করিব প্রমাণ••• ওঃ ! সত্যই উহার। আমাকে চমক্‌ লগাইয়া দিয়াছে। এট। এরূপ অপ্রত্যাশিত ও মজার যে, আমি যদি একলা না থাকিতাম, তাহী হইলে পাগলের মতো হাসিয়া কুটিকুটি হইতাম, কিন্তু আমি এখন একল। —মনে-মনেই হাসিলাম । এই আবৃত্তিটা আমার উপর কি কাজ করিয়াছে, তাহাই দেখিবার জন্ত উহারা আমাকে খুব নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । কবিতার বাকী অংশ উহার জনে না ; তই Black birdএর মতো একটা গানের গোড়াট। শিশ, দিয়াই হঠাৎ যেন থামিয় পড়িল ; উহাদের স্কুলে উহার ঐ পর্য্যন্তই শিখিয়ছে...আমার বাচ্চ। গাইড দুইজন আমাকে বলিল, দুই চারি অান পয়সা উহাদিগকে বক্শিস দিলে ভাল হয়। এই ছেলেগুলে। অামাদের ভাষার কথা কহিতেছে, আtমাদের দেশের লোক মনে করা একটা সম্মানের বিষয় মনে করিতেছে—এটা ভারি অদ্ভুত । আমি এখান হইতে প্রস্থান করিলাম । লোকালয় হইতে বিচ্ছিন্ন এই কালে জায়গাটায় একটু বিষণ্ণতা আসিতে স্বত্ব করিয়াছে, তা ছাড়া এইসব পাথরের উপর বসিয়া, সাদা পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া, আমার একটু শীত বোধ হইতেছে । এইসব ক্ষুদে “ফরাসীদের” নিকট হইতে বিদায় লইলাম। উস্থার আমার সঙ্গে সঙ্গে যাইতে চাহিয়াছিল কিন্তু আমি আমার সেই ক্ষুদে পাও। ছুইজনকেই সঙ্গে রাখিলাম। উহাদিগকে একটা-কিছু কাজে লাগাইবার জন্ত, আমি উহাদিগকে জিজ্ঞাস করিলাম, কাছাকাছি কোথাও কোন মন্দির দেখিবার অাছে কিনা ; আমি ত কোথাও একটি মন্দির দেখিতে পাই নাই। একটা মন্দির খুবই নিকটে আছে। যদিও রাত্রি, সেইখানে উহারা আমাকে এখনি লইয়। যাইবে। এটা উহাদের নিজ ধর্মের মন্দির, “Tiss" মন্দির ( কেননা এই বালক দুইটি ন৷ খৃষ্টান, নামুসলমান ) । ইহারী Tiss | Tiss জিনিষটা কি, তাহ না জানার ভাবটা আমার মুখে প্রকাশ পাওয়ায় উহার খুব আশ্চৰ্য্য হইল এবং এই শব্দটি আবার পুনরাবৃত্তি করিল। আমাদের মাথার উপর ঝু কিয়া একটা কালে উচ্চ দেয়ালের মতে কাঠের তক্ত ঝুলিতেছিল, প্রথমে আমরা তাহারই কিনারা ধরিয়া চলিতে লাগিলাম। এক-প্রকার ঢিবির গড়ানে অংশের উপর দিয়া চলিতে লাগিলাম । অন্ধকারের মধ্যে আমাদের পা পিছ লাইয়৷ মধ্যে মধ্যে ধানক্ষেত্রের জোলে কাদার মধ্যে বসিয়া যাইতেছিল। তাহার পর একটা সরু পথের মতো একটা-কিছুর ভিতর দিল্প, একটা নিবিড় অরণ্যের মধ্যে প্রবেশ করিলাম ; আমরা তালতরমওপের নীচে আসিয়া পড়িলাম—যোর রাত্রির মাঝেনিছক রাত্রির মাঝে জাসিয়া পড়িলাম। ঠিক যেরূপ শাস্ত দ্ধিমান্বু