পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] শূকরের মত মুখ প্রাপ্ত হইও না।” জাতকসমূহেও এই গল্পটির উল্লেখ আছে। ( Petavatthu Commentary, P. T. S, pp. 9ーI2) পুতিমুখ পেত কস্সপ বুদ্ধের সময় ভদ্রবংশীয় দুইজন যুবক ভিক্ষুবৃত্তি অবলম্বন করিয়া একটি গ্রাম্য মঠে অবস্থান করিতেছিল । তাহীদের ভিতর বন্ধুত্বের বন্ধন ছিল অতি দৃঢ়। আর-একজন ভিক্ষু অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হইয় তাহদের মঠে আগমন করিল। স্থানটির স্বথ স্ববিধা এবং আহাৰ্য্য ও পানীয়ের প্রাচুর্য্য দেখিয়া এই নবাগত ভিক্ষুটির মনে পূৰ্ব্বোক্ত ভিক্ষু দুইজনকে বিতাড়িত করিয়া এক সেই বিহারটি অধিকার করিয়া বসিবার অভিলাষ জাগিয়া উঠিল। সে উভয়ের ভিতর এমন একটা বিরোধের স্বষ্টি করিল যে তাহারা উভয়েই বিহার পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল । ইহার কিছুদিন পরেই সেই মন্দবুদ্ধি ভিক্ষুটি মারা যায়। মৃত্যুর পর সে তাহার পাপের জন্য অবীচি নামক নরকে নিক্ষিপ্ত হয় । অন্ত দুইজন থের ভ্রমণ করিতে করিতে আবার একদিন পরস্পর মিলিত হইল। নিজেদের কথা ব্যক্ত করিতেই তাহারা বুঝিতে পারিল তাহাদের মনোমালিন্য সেই দুষ্টবুদ্ধি ভিক্ষুর কার্য্য ব্যতীত আর কিছুই নহে। তাহারা পুনৰ্ব্বার বন্ধুত্ব-স্বত্রে আবদ্ধ হইল এবং পুনরায় তাহাদের নিজেদের বিহারে প্রত্যাবর্তন করিল । পরে তাহারা ‘অরহত হইয়াছিল । এক বুদ্ধের তিরোধান হইতে অন্ত বুদ্ধের জন্মের মধ্যবর্তী সময়ট নরকে বাস করিবার পর প্রেতটি গৌতম বুদ্ধের সময় পৃথিবীতে পাপের বাকী অংশটুকু ভোগ করিবার জন্য সে-নরক হইতে বাহির হইয়া আসে এবং পুতিমুখ প্রেত নাম লইয়া রাজগৃহে অবস্থান করিতে থাকে। মহাত্ম। নারদ একদা গিষ্মকুট পৰ্ব্বত হইতে নামিয়া আসিবার সময় তাহার দেখা পান এবং তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করেন—“চেহারায়ু তুমি পরম রূপবান, তোমার বাসস্থান আকাশে । কিন্তু তোমার মুখে ভীষণ দুৰ্গন্ধ, তাহাতে কীটসমূহ ইতস্ততঃ বিচরণ বৌদ্ধদিগের প্রেত-তত্ত্ব ৬১১ مربعصبی حیصح سر هم محسمحصصبح صح-محمص یحیم.م. করিতেছে। অতীতকালে তুমি এমন কি পাপ করিয়াছ যাহার জন্য তোমাকে এই শাস্তি ভোগ করিতে হইতেছে ?” প্রেত উত্তর করিল—“আমি একজন অসাধু ভিক্ষু ছিলাম, বাকু আমার মোটেই সংযত ছিল না। বাহিরের আচরণে আমি যোগী-ঋষির মত ছিলাম, সেইজন্য আমার চেহারাটা এত স্বন্দর হইয়াছে। কিন্তু আমার মুখের এই দুৰ্গন্ধও আমার নিজেরই কৰ্ম্মফল। বাক্যে যে আমি অত্যন্ত ঈৰ্ষাপরায়ণ ছিলাম এখন তাহারই ফল ভোগ করিতেছি ।” ( Petavatthu Commentary, P. T. S. pp. 12-16 ) পিটুঠধীতলিক পেত শ্রাবস্তী নগরে অনাথপিণ্ডিকের পৌত্রীর ধাত্রী তাহাকে একটি খেলার পুতুল উপহার প্রদান করিয়াছিল । পৌত্রীটি এই পুতুলটির সহিত খেলা করিত এবং তাহীকে কন্যার মত মনে করিত । একদিন খেলিতে খেলিতে এই পুতুলটি পড়িয়া ভাঙ্গিয়া যায়। ইহাতে ‘আমার কন্যা মরিয়া গেল?—বলিয়া বালিকাটি এমন ভাবে ক্ৰন্দন আরম্ভ করিল যে তাহাকে কেহই সাত্বনা দিতে পারিল না। অবশেষে ধাত্রী বালিকাটিকে অনাথপিশুিকের নিকট লইয়া গেল । তিনি তখন বুদ্ধের কাছে ভিক্ষুপরিবৃত হইয়া বসিয়া ছিলেন । অনাথপিণ্ডিক তাহাকে এই বলিয়া প্রবোধ দিলেন যে মৃত কয়ার উদ্দেশ্যে তাহার দান-ধ্যানের ব্যবস্থা করা উচিত । পরের দিন বুদ্ধ একটি মাধ্যাহিক ভোজে নিমন্ত্রিত হইলেন। তিনি সেখানে অনাথfপণ্ডিকের দানের ব্যবস্থা সমর্থন করিয়া কয়েকটি শ্লোক উচ্চারণ করিয়াছিলেন। সেই শ্লোকগুলির ভাবাৰ্থ এই যে, মৃত আত্মীয়ের আত্মা গৃহ-দেবতা বা অন্য দেবতা যাহার উদ্দেশ্যেই দান কর। হোকুন। কেন, দাতা নিজেও তাহার দ্বারা পুণ্য সঞ্চয় করেন। এবং দান-গ্ৰহণ-কারীরও উপকার করা হয়। শোক দুঃখ এবং ক্রন্দনের দ্বারা প্রেতের কিছুমাত্র উপকৃত হয় না, তাহ কেবলমাত্র জীবিত আত্মীয়দেরই দুঃখের কারণ হইয়া থাকে । pp. 16-10, ) o ( Petavatthu Commentary,