পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\be AeMAMMAeMAAAS AA SAASAASAASAASAAAS র্যাক ফিরতেই বা পাশের পাহাড়ে আড়ালটা সরে’ গেল। সেখানে সেদিকৃট ছিল খোলা। প্রত্যুম্ন দেখলে দূরে নদীর ধারে মন্দিরটার চুড়া দেখা যাচ্ছে। চূড়ার মাথার উপরকার ছায়াছন্ন আকাশ বেয়ে ঝাপসা ঝাপস পাখীর দল ডান মেলে বাসায় ফিরছিল। আরও দূরে একখানা শীদ; মেঘের প্রাস্ত পশ্চিমদিগের পড়ন্ত রোদে সিদ্বরের মত রাঙা হ’য়ে আসছিল, চারিধারে তার শীতোজ্জল মেঘের কাচুলি হালকা করে টান। হঠাৎ পেছন থেকে প্রহ্লামের কাপড় ধরে' কে ঈষৎ টানলে । প্রত্যুম্ন পেছন ফিরে চাইতেই যে কাপড় ধরে টেনেছিল তার চোখে কৌতুকের বিদ্যুৎ খেলে গেল। সে কিশোরী, তার দোলন-চাপা রংএর ছিপছিপে দেহটি বেড়ে নীল শাড়ী ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরা। নতুন কেনা একছড়া ফুলের মালা তার খোপাটিতে জড়ান। প্রস্থায় বিস্ময়ের স্বরে বলে উঠল, "কখন তুমি এসেছিলে, স্বনন্দা ! আমি তোমাকে এত খুঁজলাম, কৈ দেখতে পেলাম না ত?" প্রথমটা কিশোরীর মুখ লজ্জায় লাল হ’য়ে উঠল, তার পর সে একটু অভিমানের স্বরে বললে, “আমাকেই খুঁজতে যেন এখানে এসেছিলে আর কি ? যত রাজ্যের সাপুড়ে আর বাজিকরদের মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে মুরছিলে, সে আর আমি দেখিনি ?" “সত্যি বলছি সুনন্দা তোমাকেও খুজেছি। নাম্বার সময় খুজেছি, এর আগেও খুঁজেছি ; তুমি কাদের সঙ্গে এলে ?” এমন সময় দেখা গেল একদল মেয়ে পাহাড়ের উপর থেকে সেই পথে নেমে আসছে। স্বনন্দার সেদিকে চোখ পড়তেই সে তখনি হঠাৎ প্রস্থ্যমকে পিছনে ফেলে স্ক্রতপদে নামূতে লাগল। পিছনেই একদল অপরিচিত। মেয়ে, এঅবস্থায় আর স্বনন্দার অনুসরণ করা সঙ্গত হবে না ভেবে সে প্রথমটা খানিকক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে রইল, তার পর হতাশামেশানো ক্রোধে ঘাড় উচু করে সে সদৰ্পে লাফিয়ে লাফিয়ে পথ চলতে লাগল। প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩e جمعیعهمه مهمعیت اجتماعی بیمه تعیی [ २७° खां★, .३ब्र थe حمیے ہم معمے

  • সন্ধ্যার ঈষৎ অন্ধকার কখন মিলিয়ে গিয়েছে, অন্ধকারটাই তরল হ’তে তরলতর হতে হতে হঠাৎ কখন জ্যোৎস্নায় পরিণত হয়েছে, অন্তমনস্ক প্রদ্যুম্ন তা মোটেই লক্ষ্য করেনি । যখন তার চমক ভাঙল, তখন পূর্ণিমার শুভ্রোজ্জল জ্যোৎস্ব পথঘাট ধুইয়ে দিচ্ছিল। দুর মাঠের গাছপালা জ্যোৎস্নায় ঝাপসা দেখাচ্ছিল। পড়াশুনা তার হয় কি করে’ ? আচাৰ্য্য পূর্ণবৰ্দ্ধন ত্রিপিটকের পাঠ অনায়ত্ত দেখে তাকে ভৎসনা করলেই বা কি করা যাবে ? এ-রকম রাত্রে যে যুগযুগের বিরহীদের মনোবেদন তার প্রাণের মধ্যে জমে উঠে, তার অবাধ্য মন যে এইসব পরিপূর্ণ জ্যোৎস্না-রাত্রে মহাকোটুঠী বিহারের পাষাণ অলিনে মানস-সুন্দরীদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ায়, এর জন্তে সেই কি দায়ী !

দশপারমিতার মন্দিরে সন্ধ্যারতির ঘণ্টার ধ্বনি তখনও মিলিয়ে যায়নি, দূরে নদীর বাকের ভাঙা মন্দিরে ক্ষীণ আলো জলে উঠল, উৎসব-প্রত্যাগত নরনারীর দল জ্যোৎস্ন-ভরা মাঠের মধ্যে ক্রমে বহুদূরে অদৃপ্ত হ’য়ে গেল। প্রদ্ধামের গতি আরো দ্রুত হ’ল । পথের পাশে একটা গাছ । গাছের নিকট যেতে প্রদ্যুম্নের মনে হ’ল গাছের আড়ালে কেউ যেন দাড়িয়ে আছে—আর-একটু এগিয়ে গাছের পাশে যেতেই তার অত্যন্ত পরিচিত কণ্ঠের হালকা মিষ্টি হাসির ঢেউয়ে সে থমকে দাড়িয়ে গেল,—দেখলে গাছতলায় স্বনন্দ দাড়িয়ে আছে, গাছের পাতার ফাক দিয়ে চিক্‌চিকে জ্যোৎস্নার আলো পড়ে? তার সর্বাঙ্গে অালো আঁধারের জাল বুনেছে। প্রদ্যুম্ন চাইতেই স্বনন্দ ঘাড় ছলিয়ে বলে’ উঠল, “আর-একটু হ’লেই বেশ হত ! গাছের তলা দিয়ে চলে যেতে অথচ আমায় দেখতে পেতে না ।" স্বনন্দাকে দেখে প্রদ্যুম্ন মনে মনে ভারি খুলী হ’ল, মুখে বললে, “না; তা আর দেখব কেন ? ভারি ব্যাপারটা হয়েছে গাছতলায় লুকিয়ে ? অার না দেখতে পেলেই বা কি ? আমি তোমার উপর ভারি রাগ করেছি, স্বনম্বা, সত্যি বলছি।” স্বনন্দ বললে, “দোষ করলেন নিজে আবার রাগও করলেন নিজে । সেদিন কি কথা বলেছিলে মনে আছে ?