পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] میمیای کبیسه حبیبی خدماتیت ابوریحه গান প্রাণধারায় আদিম ঝরণার গান, স্বষ্টিমুখী নীহারিকা দের গান, অনন্ত আকাশে দিকৃহারা কোন পথিক তারার গান ৷ (b. ) একদিন দুপুর বেলা কে তাকে বললে, “তুমি যে গোবৈদ্যের কথা ব ছিলে, তাকে এইমাত্র দেখে এলাম, পথের ধারে পুকুরে সে স্নান করছে।” শুনে ছুটতে ছুটতে গিয়ে সে পুকুরের ধীরে উপস্থিত হ'ল। দেখলে সত্যই গুণাঢ্য পুকুরের ধারে বস্ত্রাদির পুটুলি নামিয়ে রেখে পুকুরে স্বান করতে নেমেছেন। সে অপেক্ষা করতে লাগল । একটু পরে গুণাঢ্য বস্ত্র পরিবর্তন করে উপরে উঠে প্ৰহামকে দেখে কেমন যেন হয়ে গেলেন। বললেন, “তুমি এখানে ?” প্রদ্যুম্ন বললে, “আমি এখানে কেন তা বুঝতে পারেননি ?” গুণাঢ্য বললেন,"তুমি এখন বলছ বলে নয় প্রছায়,আমি একাজ করবার পর যথেষ্ট অমৃতপ্ত আছি। প্রতিরীত্রে ভয়ানক স্বপ্ন দেখি—কারা যেন বলছে তুই যে কাজ করেছিস এর শাস্তি অনন্ত নরক । আমি এইজন্তেই আজ এক পক্ষের ওপর আমার গুরু সেই আজীবক সন্ন্যাসীর কাছে গিয়েছিলাম। র্তারই কাছে এ বশীকরণ মন্ত্র আমি শিক্ষা করি। এর এমনি শক্তি যে ইচ্ছা করলে আমি যাকে ইচ্ছা বধিতে পারি, কিন্তু আনতে পারিনে। মস্ত্রের বন্ধনের শক্তি থাকলেও আকর্ষণী শক্তি নেই। এইজন্য আমি তোমাকে সঙ্গে নিয়েছিলুম, আমি নিজে সঙ্গীতের কিছুই জানিনে যে তা নয়, কিন্তু আমি জানতাম যে তুমি মেঘমল্লারে সিদ্ধ, তোমার গানে দেবী ওখানে আসবেনই, এলে তার পর মন্ত্রে বঁধিব । এর আগে আমার বিশ্বাসই ছিল না যে এমন একটা ব্যাপার হওয়া সম্ভব । অনেকটা মন্ত্রের গুণ পরীক্ষা করবার কৌতুহলেই আমি একাজ করি ।” প্রস্থায় বললে, “এখন ?” গুণাঢ্য বললেন, “এখন আমার গুরুর কাছ থেকেই আসছি । তিনি সব শুনে একটা মন্ত্র শিক্ষণ দিয়েছেন, মেঘ-মল্লার ৬২৭ هیر এটা পূৰ্ব্ব মন্ত্রের বিরোধী-শক্তিসম্পন্ন। সেই মন্ত্ৰপূত জল দেবীর গায়ে ছড়িয়ে দিলে তিনি আবার মুক্ত হবেন বটে, কিন্তু তার কোনো উপায় নেই।” প্রদ্যুম্ন জিজ্ঞাসা করলে, ”উপায় নেই কেন ?” “যে ছিটিয়ে দেবে সে চির-কালের জন্য পাষাণ হয়ে যাবে। আমার পক্ষে দুদিকই যখন সমান, তখন তাকে বন্দিনী রাখাই আমার ভালো। রাগ কোরে না প্রস্থায়, ভেবে দেখ মৃত্যুর পর হয়ত পরজগৎ আছে কিন্তু পাষাণ হওয়ার পর ? তা আমি পারব না।” আত্মবিস্মৃত বন্দিনী দেবীর চোখ দুটির করুণ অসহায় দৃষ্টি প্রহ্লামের মনে এল । যদি তা না হয় তা হ’লে তাকে যে চিরদিন বন্দিনী থাকতে হবে । যুগে যুগে যে উদার উচ্চ প্রেরণ আগে এসে তরুণদের নিৰ্ম্মল প্রাণে পৌঁছয়, আজও প্রদায়ের প্রাণের বেলায় তার ঢেউ এসে লাগল। সে ভাব লে— একটা জীবন তুচ্ছ । তার রাঙা পা-দুখানিতে একটা কাটা ফুটলে তা তুলে দেবার জন্তে আমি শতবার জীবন দিতে প্রস্তুত । হঠাৎ গুণাঢ্যের দিকে চেয়ে সে বললে, “চলুন আপনার সঙ্গে যাব । আমায় সে মন্ত্রঃপুত জল দেবেন।” গুণাঢ্য বিস্ময়ে প্রদ্যুম্নের দিকে চেয়ে বললেন, “বেশ করে' ভেবে দেখ । এ ছেলেথেল নয় । এ কাজ-* প্ৰদ্যুম্ন বললে, “চলুন আপনি।” ( > ) তারা যখন ফুটারের নিকটবৰ্ত্তী হ’ল তখন গুণাঢ্য বললেন, “প্রদ্যুম্ন, আর-একবার ভালো করে’ ভেবে দেখ, কোনো মিথ্যা আশায় ভুলে না । এ থেকে তোমায় উদ্ধার করবার ক্ষমতা কারুর হবে না— দেবীরও না । মন্ত্রবলে তোমার প্রাণশক্তি চিরকালের জন্য জড় হ’য়ে যাবে ; বেশ বুঝে দেখ। মন্ত্রশক্তি নিৰ্ম্মল অমোঘ, কাউকে রেহাই দেবে না।” প্রদ্যুম্ন বললে, “আপনি কি ভাবেন আমি কিছু গ্রাহ করি ?—কিছু না, চলুল ৷” কুটীরে তারা যখন গিয়ে উপস্থিত হ’ল তখন প্লোদ বেশ পড়ে এসেছে। দেবী কুটীরের বাইৰুে