পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆన్చిటా

  • .

همبیی ه حامیانه میمی ঘাসের উপর অন্যমনস্কভাবে চুপ করে বসে ছিলেন— গ্রন্থ্যমকে আসতে দেখে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হলেন, হাসিমুখে বললেন, “এস, এস। আমি তোমার কথা প্রায়ই ভাবি । তোমায় সেদিন কিছু খেতে দিতে না পেরে আমার মন খুবই খারাপ হয়েছিল । এখন তুমি এখানে কিছুদিন থাকে।” তার পর তিনি দুজনকে খেতে দেবার জন্তে ব্যস্ত হ’য়ে কুটীরের মধ্যে চলে’ গেলেন । প্রদ্যুম্ন বললে, “কই, আমায় সে মন্ত্রপুত জল দিন তবে ?” গুণাঢ্য বললেন, “সত্যই তা হ’লে তুমি এতে প্রস্তুত ?” গ্রন্থায় বললে, “আমায় আর কিছু বলবেন না, জল निन .* দেবী কুটীরের মধ্যে আহারের স্থান করে দুজনকে থেতে দিলেন—অtহারাদি যখন শেষ হ’ল, তখন সন্ধ্যার আর বেশী দেরী নেই। বেতস-বনে ছায়া নেমে আসছে, রাঙ। স্বৰ্য্য আবার উরুবিম্ব গ্রামের উপর ঝুলে’ পড়েছে । গোধূলির আলোয় দেবীর মুখপদ্মে অপরূপ শ্ৰী ফুটে উঠল। তার পর তিনি ঘট-কক্ষে প্রতিদিনের মত নীচের ঝরণায় জল আনতে নেমে গেলেন । গুণাঢ্য বললেন, “আমি এখান থেকে আগে চলে’ যাই, তার পর এই ঘটপূর্ণ জল দেবীর গায়ে ছিটিয়ে দিও ।” র্তার চক্ষু অশ্রীপুর্ণ হ’ল। আবেগভরে তিনি প্রছ্যমকে আলিঙ্গন করে বললেন, “আমি কাপুরুষ, আমার সে সাহস নেই, নইলে—” তিনি কুটীর মধ্যে র্তার দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে নিলেন। তার পর সরু পথ বেয়ে বেতবনের ধার দিয়ে পাহাড়ের অপর পারে চলে গেলেন, তারই নীচে একটু দূরে মগধ থেকে বিদিশ৷ যাওয়ার রাজবক্স"। , eशब চারিদিক্‌ চেয়ে বসে’ বসে ভাবলে, ঐ নীল আকাশের তলে বিশ বৎসর আগে সে মায়ের কোলে শন্মেছিল,তার সে মা—বারাণসীতে তাদের গৃহটিতে বসে’ മസ് കുംബ് প্রবাসী - ফাঙ্কন, ১৩৩০ ASA SSASAS SSASAS AAAAAS AAAS SAAAAAS AAAAA AAAAS A SAS SSAS SSAS U २७* छाग, २ग्न थe S AASAASAAAS AAAAAS AAAAAeMS SSAS S S AAAAAS বাভায়ন-পথে সন্ধ্যার আকাশের দিকে চেয়ে হয়ত প্রবাসী পুত্রের কথাই ভাবছেন,—মায়ের মুখখানি একবারটি শেষবারের জন্য দেখতে তার প্রাণ আকুল হ’য়ে উঠল। ঐ পূব-আকাশে নবমী চাদ কেন উজ্জ্বল হয়েছে ? মগধ যাবার রাজপথের গাছের সারির মাথায় একটা তার ফুটে উঠল, বেতবনের বেতডাটাগুলো তরল অন্ধকারে অার ভালো দেখা যায় না । প্রদ্যুম্নের চোখ হঠাৎ অশ্রুপূর্ণ হ'ল। সেই সময় সে দেখলে - দেবী জল নিয়ে পাগড়ের গ৷ বেয়ে উঠে আসছেন। মন্ত্রপূত জলপূর্ণ ঘট সে মাটিতে নামিয়ে রেখেছিল ; দেবীকে আসতে দেখে সে তা হাতে তুলে নিলে। দেবী কুটিরের সাম্নে এলেন, তার হাতে অনেকগুলো আধ-ফোট কুমুদ ফুল । প্রদ্যুমুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সন্ন্যাসী কোথায় ?” প্রদ্যুম্ন বললে, “তিনি আবার কোথায় চলে’ গেলেন । আজ আর আসবেন না।” তার পর সে গিয়ে দেবীর পায়ের ধূলো নিয়ে তাকে প্রণাম করে বললে, “ মা, না জেনে তোমার উপর অত্যন্ত অন্যায় আমি করেছিলাম, আজ তারই শাস্তি আমাকে নিতে হবে। কিন্তু আমি তার জন্য এতটুকু দুঃখিত নই। যতক্ষণ জ্ঞান লুপ্ত না হ’য়ে যায়, ততক্ষণ এই ভেলে আমার স্বথ যে বিশ্বের সৌন্দৰ্য্যলক্ষ্মীকে অন্যায় বঁধেন থেকে মুক্ত করার অধিকার আমি পেয়েছি।” দেবী বিম্মিত দৃষ্টিতে প্রহ্লামের দিকে চেয়ে রইলেন। প্রদ্যুম্ন বললে, “শুমুন, আপনি বেশ করে’ মনে করে দেখুন দেখি আপনি কোথা থেকে এসেছিলেন ?” দেবী বললেন, “কেন, আমি ত বিদিশার পথের ধারে—* প্রছায় এক অঞ্জলি জল তার সৰ্ব্বাঙ্গে ছিটিয়ে দিলে। সদ্যোনিদ্রোখিতার মত দেবী যেন চমকে উঠলেন... প্রদ্যুম্ন দৃঢ়হস্তে আর-এক অঞ্জলি জল দেবীর সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে দিলে। নিমেষের জন্তে তার চোখের সামনে বাতাসে এক অপূৰ্ব্ব সৌন্দর্ঘ্যের স্নিগ্ধ প্রসন্ত্র হিল্লোল ব’য়ে গেল। তার সারা দেহমন আন শিউরে উঠল ; সঙ্গে