পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] حمیهای این حجمیرپن সঙ্গে তার মনে এল—বারাণসীতে তাদের গৃহে সন্ধ্যার আকাশে বন্ধআখি বাতায়নপথবৰ্ত্তিনী তার মা ! ( ه د ) কুমারশ্ৰেণীর বিহারে আচাৰ্য্য শীলব্রতের কাছে একটি মেয়ে অল্প বয়সে দীক্ষণ গ্রহণ করে । তার নাম স্বনন্দা, সে হিরণ্যনগরের ধনবান শ্রেষ্ঠী স্তমস্তদাসের মেয়ে । পিতামাতার অনেক অঙ্গুরোধ সত্ত্বেও মেয়েটি নাকি বিবাহ করতে সম্মত হয়নি। অত্যন্ত তরুণ বয়সে প্ৰব্ৰজ্যা গ্রহণ করায় সে বিহারের সকলের শ্রদ্ধার পাত্রী হ’য়ে উঠেছিল । সেখানে কিন্তু কারু সঙ্গে সে তেমন মিশ ত না, সৰ্ব্বদাই নিজের কাজে সময় কাটাত আর সৰ্ব্বদাই কেমন অন্তমনস্ক থাকৃত । জ্যোৎস্নারাত্রে বিহারের নির্জন পাষাণ অলিন্দে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সে আপন-মনে প্রায়ই কি ভাবত, মাঠের জ্যোৎস্নাজাল কাটিয়ে অনেক রাতে কাউকে বিহারের দিকে আসতে দেখলে সে একদৃষ্টে সেদিকে চেয়ে থাকৃত যেন কতদিন আগে তার প্রিয় আবার আসবে বলে চলে গিয়েছিল, তারই আসবার দিন গুনে গুনে এ শ্রাস্ত শাস্ত ধীর পথ-চাওয়া---প্রতি-সকালে সে AeBAeeMAeAeeAMSAeeAeAeeASAMAAAS নবীন স্পেন ఆఫిసి اهتمعهم ضمنهم ينهكيني AAAAAAAS AAASASAAAAAS AAAAA AAASS কার প্রতীক্ষায় উন্মুখী হয়ে রইত, সকাল কেটে গেলে ভাবত বিকালে আসবে, বিকাল কেটে গেলে ভাবত সন্ধ্যায় আসবে—দিনের পর দিন মাসের পর মাস এরকম কত সকাল সন্ধ্যা কেটে গেল,—কেউ এস না... তবু মেয়েটি ভাবত আসবে... আসবে কাল আসবে... পাতার শব্দে চমকে উঠে চেয়ে দেখ ত—এতদিনে বুঝি এল ? ( ১১ ) এক এক রাত্রে সে বড় অদ্ভূত স্বপ্ন দেখত। কোথকার যেন কোন এক পাহাড়ের ঘন বেতের জঙ্গল আর বঁাশের বনের মধ্যে লুকান এক অৰ্দ্ধ-ভগ্ন পাষাণ মুক্তি । নিঝুম রাতে সে-পাহাড়ের বেতগাছ হাওয়ায় দুলছে, বাশবনে শিরশির শব্দ হচ্ছে, দীর্ঘ দীর্ঘ বেতর্ডাটার ছায়ায় পাষাণ মুক্তিটার মুখ ঢাকা পড়ে গেছে। সে অন্ধকার অৰ্দ্ধরাত্রে জনঙ্গীন পাহাড়টার বঁাশগুলোর মধ্যে ঝোড়ো হাওয়া ঢুকে' কেবলই বাজছে মেঘমল্লার !... ভোরে উঠে” রাতের স্বপ্ন ভেবে আশ্চৰ্য্য হ’য়ে যেত —কোথায় পাহাড়, কোথায় বেতবন, কার ভাঙ। মুৰ্ত্তি, কিসের এসব অর্থহীন দুঃস্বপ্ন ••• শ্ৰী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় নবীন স্পেন ( > ) স্পেনও চাঙ্গ হইয়া উঠিতেছে। বিগত বিশ পচিশ বৎসর ধরিয়া স্পেনের নরনারীর কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় নাই। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট পরাজিত হইবার পর স্পেন একদম কাৰু হইয়া পড়িয়াছিল । সেই পরাজয়ের ফলেই এসিয়ার ফিলিপিন দ্বীপগুলা স্পেনের হাত হইতে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে আসে । বিগত মহাযুদ্ধের সময়েও স্পেন নিঝুম মারিয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু মাস-কয়েক ধরিয়া স্পেনে জাগরণ দেখা গিয়াছে। মরক্কোর মুসলমানদের সঙ্গে লড়াইয়ের ধাক্কায় স্পেনের লোকেরা জাগিয়া উঠিয়াছে বুঝিতেছি। এই জাগরণের আন্দোলনে মাথা তুলিয়াছেন সেনাপতি দ’রিভেরা । ইহঁাকে ইয়োরোপ আমেরিকার রাষ্ট্রকের ইতালীর মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করিতেছে। স্পেনের যুবক-সমাজেও ‘ফাসি’-পন্থী ন্যাশনালিষ্ট আন্দোলন দেখা দিয়াছে। যুবক স্পেন স্বদেশে শক্তি-কেন্দ্র-শিল্প-শক্তি এবং ধনশক্তি গড়িয়া তুলিতে উদ্যোগী। বিদেশে একটা "বৃহত্তর স্পেন” গড়িয়া তোলাও যুবক স্পেনের সাধনার লক্ষ্য দেখা যাইতেছে। ( & ) দ’রিভেরা স্পেনের রাজশক্তিকে প্রধগ করিয়া তুলিতেছেন । কার্টাগেলা শহরে ১৮৯৮ সালের মৃত