পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○58 প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩৩৯ [ २थल छां★, २ग्न थe AM MMAMMMMA MeAAJJSJSJAAA SAAAAA AAAA SAAAMM MMAMMMMMMMMMMAMMeeAJJJeMMeeMMAMAMMMeMMAMMMMAMMMMMMAMAMMAMMAMS কী অপমান আমার হবে ভাবলে না তা, ছুটুল ভরত রামকে হেথায় ফিরিয়ে নিতে ;–কিন্তু রামের উদার দরদ মোর অপমান রক্ষণ করে' চাইলে নাকে রাজ্য পেতে,— পে বথ যে আমার মনে জাগল কত দিনে রেতে । সেই ত আমার স্নেহের ভাজন, সেই ক্ষমাবান, দুঃখে মুখী, কঁদিন আমার স্নেহ আমার তারেই দেবে। — দুখের দুর্থী। কাল সে ফিরে আসবে ঘরে, কিন্তু যদি 'মা' না বলে’ আমায় যদি নাই ডাকে সে, ঘৃণায় ছেড়ে যায় সে চলে’ ?— কোনখানে ঠাই থাকৃবে আমার ? কোন সুখে আর - বঁচে তে চাবো ? মর্ব থেয়ে-এই রেখেছি বিষের লাড়ু খাবই খাবে। কৈকেয়ী নাম ঘুচবে তবে, মুছবে সবার পথের কাটা, তার বেদন তারই সাথে বিলীন হবে-পাজর-ফাট । কিন্তু জানি এমন নিদয় নয় ত সে রাম—নয় ত কঠোর, আসবে সে ঠিক আমার পাশে,—বাধ রে আশ, রে চিত্ত মোর ! ঐ প্যারীমোহন সেনগুপ্ত ংলা ছন্দ ও সঙ্গীত আমরা দেখেছি গানে মাত্রার সমতা ( অর্থাৎ ধ্বনির গতি-সাম্য ) এবং ধ্বনির গতিক্রম গানের লয় ও লয়ের প্রকার-ভেদকে নিয়ন্ত্রিত করে । আবার ঐ গতিক্রম বা লয়ের দ্রুততা ও ধীরতা ভেদে মাত্রারও স্থায়িত্বকাল পরিবর্তিত হয় । কবিতায় এসমস্ত স্বক্ষ বিচারের প্রয়োজন হয় না । প্রথমত, কবিতায় গানের মত মাত্রার কাল-পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া অনাবশ্যক। সঙ্গীতশাস্ত্রে মোটামুটিভাবে এক মাত্রার একটি কাল-পরিমাণ নির্দিষ্ট নাই বটে ; কিন্তু প্রত্যেকটি বিশেষ গানে এক মাত্রা কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা নির্দেশ করে দিতে হয় ; — লয় দ্রুত হ'লে মাত্র অল্প স্থায়ী হয়, লয় মন্থর হ’লে মাত্রার স্থিতিকাল বেড়ে যায়। একটি লঘু স্বরের উচ্চারণে যে সময় লাগে তাই একমাত্রার পরিমাণ, এটি সাধারণ সংজ্ঞ। এবং এ সংজ্ঞ সঙ্গীতে ও কাব্যে সমভাবে থ টে। কিন্তু গানে লঘু-ভেদে একটি লঘু স্বরের উচ্চারণ-কাল বাড় তেও পারে কমতেও পাবে এবং সঙ্গীত-শাস্ত্রে মাত্র পরিমাণের বাড়তি-কম্তির স্বক্ষ হিসাব রাখতে হয় । কিন্তু কাব্য-ছন্দে তা নয়। কবিতায় ধ্বনির গতিসমতা ( অর্থাৎ লয় ) এবং গতিক্রমে ( অর্থাৎ লয়-ভেদের) গণনা করা হয় না ; সুতরাং লয়-ভেদে কবিতা বিশেষে মাত্র-পরিমাণেরও বাড়তি-কম্‌তি গণ্য হয় না। অর্থাৎ কবিতায় সকল প্রকার ছন্দেই মাত্রা-পরিমাণ মোট| মুটি স্থির থাকে বলেই ধরে নেওয়া হয়, স্বতরাং এক মাত্র। বলতে যে কতটা কাল বুঝায় তার হিসাব রাখা হয় না । কাজেই কবিতায় মাত্রার সংজ্ঞাটা অনেকটা অস্পষ্ট ও অনির্দিষ্টই থেকে যায়; একটি লঘু স্বরের উচ্চারণকালই এক মাত্র, সে কালটুকুতে কত অনুপল বা পল বুঝায় তার হিসাব রাখা কাব্যের ছন্দে নিম্প্রয়োজন বলেই १९ij श्ध्न । কিন্তু তা হ’লেও গীত ছন্দের মাত্রা ও লয় সম্পত্ত বিশেষত্বগুলোর সহিত কাব্য-ছন্দের যে কিছুমাত্র সম্বন্ধ নেই তা নয় । কারণ উভয় ছন্দই ধ্বনি এবং ধ্বনিশাস্ত্রকে অবলম্বন করে’ই আপন আপন অস্তিত্ব রক্ষণ করছে । কাজেই এদুয়ের মধ্যে খানিকট। সামান্য ধৰ্ম্ম আছে । কাব,-ছন্দে ও যে সঙ্গী ভ-ধৰ্ম্ম অন্তত অতি অল্প পরিমাণে বিদ্যমান আছে, কোনো-একটি কবিতার যথারীতি আবৃত্তি করলেই এতথ্যটি পরিস্ফুট হয়ে উঠ বে। কিন্তু কবিতায় সঙ্গীতের প্রকৃতি উপলব্ধি করতে হ’লে খুব তীক্ষ অন্তৰ্দ্দ ষ্টি থাকা প্রয়োজন। একটু নিগূঢ়ভাবে দেখলেই কবিতায় ও সঙ্গীতের মাত্রা ও লয়-সম্পৰ্কীয় লক্ষণ-গুলো লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কবিতায় এ লক্ষণগুলো স্পষ্ট ব্যক্ত নয় ; কারণ, পূৰ্ব্বেই বলেছি গানে ধ্বনির যত স্বক্ষ বিশ্লেষণ করতে হয় কবিতায় তত প্রয়োজন হয় না।