পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐし、S)レー SAMASAMAAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA SAS A SASMSAS AeSAAAAAAS AAASASASS বক্তব্য। দৃষ্টান্ত দিলেই একথা পরিষ্কার হবে। যথা— +- + , “বন্দরে বন্ধনকাল এবারের মত হ’ল শেষ ।” এটা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নমুনা। এ পংক্তিটিতে আঠারোটি অক্ষর আছে। কিন্তু মাত্রাবৃত্ত-ছন্দর রীতি অনুসারে এখানে বিশটি মাত্রা পাওয়া যাবে, কেননা চিহ্নিত স্বর দুটোকে মাত্রাবৃত্তে দ্বি-মাত্রিক বলে ধরতে হবে। কিন্তু গানের রীতি অনুসারে এখানে মাত্রীও বিশটি বলেই গণ্য করতে হবে । মাত্রাবৃত্ত ছন্দে একমাত্রা এমন একটি আদর্শ কালপরিমাণ যা সকল কবিতাতেই সমভাবে খাটে ; মোটামুটিভাবে একটি লঘু স্বরের উচ্চারণকালই এ ছন্দের সেই আদর্শকাল ; এবং এ আদর্শ সৰ্ব্বত্র সম্পূর্ণ অপরিবর্তনীয় বলে ধরে লওয়া হয়। কিন্তু গানে এ আদর্শকালটি গান-ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং কোথাও দীর্ঘ-ক্ষণ-স্থায়ী, কোথাও অল্পক্ষণস্থায়ী হয় ; সুতরাং মোট কালপরিমাণ বেড়ে গেলেও মাত্রীসংখ্যা স্থিরই থেকে যায়। কবিতায় ও-হিসাবট অনেকটা চালান যায়। আর-একটা দৃষ্টান্ত দিই,— “কুন্দগুপ্ৰ নগ্নকাস্কি স্বরেন্দ্র-বন্দিতা” এখানে অক্ষর-সংখ্যা চোঁদ । বিস্তু মাত্র-সংখ্যা কত সেইটেই হচ্ছে প্রশ্ন । প্রথমেই দেখা যায় এখানে গুরুস্বর ছটি এবং লঘুস্বর আটটি। স্থত শং চোদটি লঘুম্বরের উচ্চারণে যে-সময় লাগে উক্ত পংক্তিটি যথাযথ রূপে উচ্চারণ করতে তার চেয়ে বেশী সময় লাগবে তা সহজেই বোঝা যায়। স্বতরাং একটি লঘুম্বরের উচ্চারণে সাধারণত যে সময় লাগে সেক্ট অপরিবর্তনীয় আদর্শকালটিকে একক ধরে', হিসাব করলে উক্ত ংক্তিতে মাত্রী-সংখ্যা চোদ ত নয়ই, বরং বিশ ; কেমন। এখানে ছ'টি গুরু বা দ্বিমাত্রিক এবং আটটি লঘু বা একমাত্রিক স্বর আছে । এটি হ’ল কাব্য-ছন্দের হিসাব। কিন্তু গানের হিসাবের দিকে লক্ষ্য রাখলে বলতে হবে এখানে মাত্রাসংখ্যাও বিশটি ; কিন্তু ছন্দ এখানে ধীর লয়ে চলছে বলে’ এখানে মাত্রা-পরিমাণও সৃাধারণ একক মাত্রার চাইতে কিছু বেশী। আরো একটু প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড “হাজার হাজার | বছর কেটেছে | কেহ ত কহেনি | কথা ভ্রমর ফিরেছে | মালতী-কুঞ্জে, । তরুরে ধিরেছে | লতা” । এ-দৃষ্টাস্তের সঙ্গে ঠিক এক লয়ে, অর্থাৎ মাত্রাবৃত্তের ধরণে নিম্নের পংক্তিটি পড়ন— কুন্দ-শুভ্র । নগ্ন-কান্তি । স্বরেন্দ্র-বন । দিতা। পড়লেই বুঝতে পারবেন এর প্রথম তিন পাদে ছ’টি করে মাত্রা আছে, এবং শেষ পাদে দু মাত্রা । সবস্থদ্ধ বিশটি মাত্রা । পড়ার ধরণ থেকেই বোঝা যাবে উপরের তিনটি পংক্তিতেই বিশ মাত্র করে আছে। স্বতরাং তৃতীয় ছত্রটিতে কেমন করে বিশ মাত্রার হিসাব পাওয়া যায় তা সহজেই দেখা গেল । বিস্তু মনে রাখতে হবে এখানে মাত্রার একক পরিমাণ অপরিবর্তনীয় আদর্শস্থানীয়, অর্থাৎ এক লঘুস্বরের উচ্চারণের সমস্থায়ী । এখন আবার সেই ছত্রটিই অক্ষরবৃত্তের তালে আবৃত্তি করুন । কুন্দ-শুভ্ৰ নগ্ন-কান্তি স্বরেন্দ্র বন্দিতা ৷ পড়লেই বোঝা যাবে এ ছন্দ কেমন ধীর-গম্ভীর লয়ে চলেছে ; অর্থাৎ এর লয় মন্থর । এখন সমগ্ৰ পংক্তিটা পড়তে মোট যে-পরিমাণ সময় লেগেছে তাকে চোদটি অক্ষরের মধ্যে সমভাগে পরিবেষণ করে দিন ; তা হ’লে প্রত্যেক অক্ষরেব ভাগে যে সময়টুকু পড়েছে তাকেও এক হিসাবে অর্থাৎ গীত-ছন্দের হিসাবে একমাত্রা বলা যায়। এহিসাবে এখানে চোদটি মাত্রা আছে, কিন্তু এর প্রত্যেকটি মাত্রা অপরিবর্তনীয় আদশ-কাল অর্থাৎ একটি লঘুম্বরের স্বাভাবিক উচ্চারণ-সময়ের চাইতে একটু বেশী হবে । অতএব দেখা গেল এক হিসাবে উক্ত ছত্রটিতে বিশ মাত্রা এবং আর-এক হিসাবে চোদ মাত্রা আছে, এবং বলা বাহুল্য দ্বিতীয়প্রকারের মাত্র। প্রথমপ্রকারের মাত্রার চাইতে ওজনে কিছু বেশি হবে। যদি লেখা হ’ত— কুসুম-ধবল-রূপ | স্বরেশ-পুজিত তা হ’লে এখানে অক্ষর-সংখ্যা তো চোদ হ’তই, মাত্রা-সংখ্যাও চোদই হ’ত এবং গীত-ছন্দ ও কাব্য ছন্দের হিসাবে এস্থলে মাত্র-পরিমাণের কোনো পার্থক্য বিশদ করিছ। একটা মাত্রাবৃত্ত ছন্দের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। যথা— থাকৃত না। আশা করি এতক্ষণে কাব্য-রীতি ও সঙ্গীত